প্রতিক্রিয়া: জামাতি ব্লগারের প্রতিক্রিয়া এবং চারিত্রিক সনদ

বাংগাল
Published : 29 Dec 2012, 06:08 PM
Updated : 29 Dec 2012, 06:08 PM

জামাতি ব্লগারকূল (পেইড) যেভাবে মরিয়া হয়ে চারিত্রিক সনদ হাসিল করার জন্য নিজেরাই নিজেদের সুচরিত্রের ভান্ডার উপুড় করে দিচ্ছে তা দেখে ও পড়ে ওদের অসহায়ত্ব নিয়ে দুচার কথা লিখতে ইচ্ছা করল ।

শ্রদ্ধেয় ব্লগার আইরিন সুলতানার ব্লগের প্রতিক্রিয়ায় আরেক শ্রদ্ধেয় ব্লগার পথহারা জামাতিদের কুচরিত্র প্রমাণ করার জন্য বাঙালিদের আবার দেশপ্রেমের পরীক্ষায় বসতে বলেছেন তা হাস্যকর কিনা ভেবে দেখার বিষয় । আমি রাজাকারদের ব্লগে মন্তব্য লিখতে পছন্দ করিনা তাই পোস্ট লিখব স্থির করেছি ।

এই সময়ে তিন শ্রেণীর জামাতি ব্লগার আছে , ১) মধ্যপন্থী লাজুক জামাতি ব্লগার ২) আনপেইড জামাতি শিক্ষানবিশ ব্লগার ৩) পেইড জামাতি ব্লগার ।

প্রথমোক্ত শ্রেণীটি প্রকাশ্যে স্বীকার করতে চায়না সে জামাতি, কারণ এখনো তাদের এই অনুভূতিটি সক্রিয় যে, জামাতি হওয়া লজ্জাস্কর একটি ব্যপার । কোনও কারণে স্বাধীনতা পন্থী রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা করতে হবে , অতএব অজান্তেই সে ঘৃণ্য জামাতি কার্যকলাপের পক্ষাবলম্বন করে বসে । এই শ্রেণীতে আরেকটি উপদল আছে যারা সুযোগ পেলেই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক বলে থাকে , কিন্তু অজানা বঞ্চনার জ্বালায় আওয়ামী লীগের নাম শুনলেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে এবং জ্বালা নিভানোর সুখানুভূতি পাওয়ার জন্য জামাতি (অপ) কার্যকলাপের সমর্থন করে মুখে ফ্যানা তুলে । আঃ 👿 ।

দ্বিতীয় শ্রেণীভুক্তটি উত্তরাধিকার সুত্রে জামাতি ধ্যান ধারণার বাহক অথবা বিত্তহীন পরিবার থেকে শহরে নতুন আসা গ্রামীণ তরুণ অর্থনৈতিক সুবিধার লোভে জামাত শিবিরের ফাঁদে আটকে পড়া একটি অসহায় গোষ্ঠী । এই শ্রেণীটির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ঝুকিপূর্ণ রাজনৈতিক এবং অনৈতিক কার্যকলাপে এদের ব্যবহার করা হয় ।

তৃতীয় শ্রেণীভুক্ত ব্লগার + আনরেজিস্টার্ড মন্তব্যকারি যাদের লজ্জা শরমের বালাই নেই , যেহেতু পেইড অতএব দেহপসারিণীর মানসিকতার সমগোত্রীয় । ওদের আবার লাজই কী আর শরমের ই কী । দেহপসারিণীদের সন্তান যেমন পূর্বপ্রজন্মের পেশা নিয়ে কোনরূপ হীনমন্যতায় ভোগেনা এরাও তেমনি।

এক জামাতি পেইড ব্লগার তার ব্লগে লিখেছে এভাবে …
আসুন আমরা যারা জামাতের নির্মূল চাচ্ছি তারা আদর্শগতভাবে তাদের নির্মূল করি। তাদের আসল চরিত্র জনতার সামনে তুলে ধরি তাদের ভন্ড প্রমাণ করি। তাহলেই জনগন এমনিতেই তাদের ছুরে ফেলে দেবে, তার আগে আমাদেরকেও নিজেদেরকে দেশপ্রেমিক প্রমাণ করতে হবে।

জামাতীদের আকাম কুকাম প্রমাণ করতে আবার বাঙালি জাতিকে দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিতে হবে ব্লগার পথহারা ? আমার মনে হয় আপনি ৭১ দেখেননি, বাঙ্গালির দেশপ্রেম কাকে বলে তাও দেখেননি । এই স্বপ্ন না দেখা আপনাদের জন্য মঙ্গল জনাব জামাতি পেইড ব্লগারকূল ।

বাঙালি জাতি রক্তের সাগরে ডুব দিয়ে উঠে স্বাধীনতার আনন্দে
দেশপ্রেমে হাবুডুবু খেয়ে জামাতি রাজাকার গোষ্ঠীকে মাফ করে দিয়েছিল, এখন আবার বাঙ্গালির দেশপ্রেমের পরীক্ষা নেওয়ার দু:সাহস জামাতিদের ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে বৈকি ।

বাঙালি যখন ফুসে উঠবে, জামাতিদের সুচরিত্রের সার্টিফিকেট ফেলে পালাবার পথ খুজে পেতে কষ্ট হবে। দ্বিতীয়বার বাঙালি জাতিকে দেশপ্রেমের পরীক্ষায় বসানোর সুযোগ ওরা জামাতিরা পায় কিনা ভবিষ্যতই বলে দিবে ।