মেট্রোরেল হচ্ছে একটি পাতাল রেল ব্যবস্থা। ১৮৬৩ সালে চালু হওয়া লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড বিশ্বের প্রথম ভূগর্ভস্থ রেলপথ। নাম যাই হোক, এই রেলপথে ৫৫ শতাংশই ভূপৃষ্ঠস্থ। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই প্রযুক্তিটি ইউরোপের অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও কয়েকটি উড়াল ব্যবস্থা চালু হয়। প্রথমে এই সব রেলপথে বাষ্পচালিত ইঞ্জিন ব্যবহৃত হত। ১৮৯০ সালে এই পথে প্রথম ইলেকট্রিক্যাল ট্রেন চলাচল শুরু করে। দ্রুত পরিবহণ ব্যবস্থার বৃহত্তম প্রসার ঘটেছে এশিয়াতে। এশিয়ায় চালকবিহীন রেলও এই ব্যবস্থায় চালু আছে।
রেলপথের দৈর্ঘ্য ও স্টেশন সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম মেট্রো রেল হল নিউ ইয়র্ক সাবওয়ে। যদিও লাইনের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম মেট্রো ব্যবস্থা হল লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড ও সাংহাই মেট্রো। দৈনন্দিন যাত্রী পরিবহণ সংখ্যা অনুযায়ী, বিশ্বের ব্যস্ততম মেট্রো ব্যবস্থাটি হল টোকিও মেট্রো ও মস্কো মেট্রো।
দৈর্ঘ্য অণুযায়ী (কয়েকটি) ঃ-
১। সাংহাই মেট্রো ——— দৈর্ঘ্য ৪২৪.৮ কিঃ মিঃ, —– ষ্টেশন ঃ ২৩৭টি — চালু হয় ঃ ১৯৯৫
২। লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড —- দৈর্ঘ্য ৪০২ কিঃ মিঃ —— ষ্টেশন ঃ ২৭০টি। – চালু হয় ঃ ১৮৬৩ (প্রথম)
৩। নিইয়র্ক সিটি সাবওয়ে – দৈর্ঘ্য ৩৩৭ কিঃ মিঃ —— ষ্টেশন ঃ ৪২২টি। – চালু হয় ঃ ১৮৭০
৪। বেইজিং সাবওয়ে —— দৈর্ঘ্য ৩৩৬.০ কিঃ মিঃ —- ষ্টেশন ঃ ১৭২টি। – চালু হয় ঃ ১৯৬৯
৫। বার্লিন এস-বান ——- দৈর্ঘ্য ৩৩১ কিঃ মিঃ —— ষ্টেশন ঃ ১৬৬টি। – চালু হয় ঃ ১৯২৪
এছাড়া দৈর্ঘ্যে সবচেয়ে কম ঃ কাতানিয়া মেট্রোরেল লাইনের দৈর্ঘ্য ৩.৮কিঃ মিঃ, ষ্টেশনের সংখ্যা ঃ ৬টি। এটি ইতালির সিসিলি দ্বীপের কাতানাইয়া শহরকে সেবা প্রদানকারী দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা। এটি ১৯৯৯সালের ২৭শে জুন তারিখ থেকে চালু হয়েছে। লাইনটির অধিকাংশই পাতালে অবস্থিত।
মেট্রোরেল এর কিছু ছবি ঃ-
সাংহাই মেট্রো
লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড
নিইয়র্ক সিটি সাবওয়ে
বেইজিং সাবওয়ে
বার্লিন এস-বান
ইতালির সিসিলি দ্বীপের কাতানিয়া মেট্রোরেল
মেট্রোরেল এর আরো কিছু ছবি
Lima_metro_train
Namma metro Bangalore
Dubai_Metro_Station_আর্টিস্ট
Houston Metro