মুক্তিযুদ্ধ কি বৈষম্য বাড়ানোর জন্য হয়েছিল?

হাবিব
Published : 16 June 2011, 01:38 PM
Updated : 16 June 2011, 01:38 PM

মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের জন্যও চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা – কোটার নামে বৈষম্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। মুক্তিযুদ্ধ কি বৈষম্য বাড়ানোর জন্য হয়েছিল?
মুক্তিযোদ্ধার স্বজনদের জন্যও চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা – মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট ওয়ালা পরিবারে বিয়ে করার প্রতিযোগিতা শুরু হতে পারে।

এদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়ে বিশেষ বিবেচনায় একবার কোটার মাধ্যমে সুযোগ তো দেওয়াই হয়েছে, যোগ্যতায় মাধ্যমে টিকতে না পারলে আবার সুযোগ কেন?? বিসিএসেও কোটার মাধ্যমে বলদ কেন? কোটার মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দেয়া, ডাকাত দিয়ে রোগীর অপারেশনের নামান্তর মাত্র।

২৯তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারের ৪১২ জনের মধ্যে ২১১ জন কোটায় আর ২০১ জন মেধায় নিয়োগ পেল।

২৮তম বিসিএস সাধারণ ক্যাডারে মোট ৬৫৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৪৭ জনই নিয়োগ পাচ্ছেন বিভিন্ন কোটায়।
মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে সত্য ইতিহাস হচ্ছে প্রায় শতভাগ লোক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সেখানে ০.১২% মুক্তিযোদ্ধার সনদ প্রদান করে যে বৈষম্য করা হয়েছে তা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। প্রকৃত অর্থে ১৯৭১ সালে দেশের গুটিকয়েক রাজাকার ছাড়া প্রায় সবাই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুক্তিযোদ্ধা। যে দেশের/সংগ্রামের জন্য কবিতা লিখেছে, যে বৃদ্ধ পিতা-মাতা মুক্তির জন্য জায়নামাজে দাঁড়িয়ে মোনাজাত করেছে, যে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার বা আশ্রয় দিয়েছে, যে শিশু শত্রুদের গোপন খবর বয়ে এনেছে, যারা মাঠে যুদ্ধ করেছে তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের (নাতি-নাতনি) জন্য সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা থাকবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সমাজের যেকোনো শ্রেণীর মানুষকে বিশেষ সুযোগ দেয়ার প্রয়োজনটা যেকোনো সমাজের জন্য অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেটা কখনো ৫০ শতাংশ বা ৫৫ শতাংশ হতে পারে না। আর প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তো অবশ্যই নয়। কারণ গাড়ির চালকের আসনে কোনো হেলপারকে বসানোর পরিণতি কী হতে পারে তা আমাদের প্রশাসনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। কোনো সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীকে যেখানে সহযোগিতা করার অনেক উপায় রয়েছে সেখানে অসংখ্য মেধাবীকে বাদ রেখে কম মেধাবীদের সুযোগ ড্রাইভার রেখে হেলপারকে চালকের আসনে বসানোর নামান্তর মাত্র।

আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিশেষ সুবিধা পাওয়ার আশায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না করলেও কিছু স্বঘোষিত সুশীলরা সম্পূর্ণ আবেগ ও অযৌক্তিক কারণে মুক্তিযোদ্ধা কোটা না কমানোর দাবি করছেন। পাশাপাশি বর্তমানে আমাদের দেশের মেয়েরাও কোটা নয় বরং তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে। কোনো কোটা ছাড়াই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী নারী। প্রায় ২৬.২ শতাংশ নারী তাদের যোগ্যতায় শিক্ষক হতে পেরেছেন। সেখানে ১০ শতাংশ কোটা রাখা তাদের জন্য অমর্যাদাকর ও অপ্রয়োজনীয়।

এর পরও কোনো বিশেষ শ্রেণীকে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণীর চাকরির কিংবা আর্থিক সুবিধা দেয়া যেতে পারে। কিন্তু জাতির নীতিনির্ধারক ও দাতারা কোন যুক্তিতে দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনে ৫০ শতাংশ কোটার সুপারিশ করেন তা মোটেই বোধগম্য নয়। এর অর্থ কি তারা আমাদের সিভিল সার্ভিসকে উন্নত দেশের তুলনায় অদক্ষ ও অযোগ্য রাখতে চায়? দেশের মেধাবীরা কোটার ব্যাপারে পিএসসি'র বর্তমান সুপারিশে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছে। পরিশেষে বলতে চাই একবিংশ শতাব্দীর অগ্রসরমান বিশ্বে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে অযৌক্তিক আবেগ পরিহার করে বাস্তবমুখী হওয়া দরকার।

I am dead against to Quota System.because Where there is 55% people Dull Headed.This is why Bangladesh needs long time to implement any project. You cant expect any Dynamic Administration in Bangladesh by this Half Educated people. This should be baned immediately other wise we have to suffer heavily than now we are. More over, Now it is publicly known that The Appointments are given On the political back ground. This is another thing responsible for lagging Behind.

I think there is no necessity of quota system in BCS except for those who are physically disable. FFQ(freedom fighter), TQ(tribe) is really an absurd decision/system……..coz they have already taken this facility in UNIVERSITY ADMISSION TEST………………we need to raise a strong voice against this absurd system…………

With due respect to the freedom fighters,
I wanna say to them, did u fight for your own interest?? I am sure a pure fighter can never supposed to hanker after such interest, facility. They sacrificed their lives to uphold the status of the whole nation, not for a specific group.But what we are observing around us?? A large number of disqualified people are settled in govt, sector
and hence the merit is unjustified.But , Do the people of the country want that???? I would like to offer thanks to my teacher for presenting a such article with logical sequence.We request the govt. to withdraw all types of quotas & to ensure the status of the merit students.

কোটার মাধ্যমে সর্বোচ্চ পর্যায়ে অযোগ্যদের নিয়োগ দেয়া, ডাকাত দিয়ে রোগীর অপারেশনের নামান্তর মাত্র।