ফেসবুক হোক সকল শুভ কাজের ভিত

নীলকণ্ঠ জয়
Published : 1 Nov 2012, 06:35 AM
Updated : 1 Nov 2012, 06:35 AM

ফেসবুক। বাংলায় মুখবই!!!
মুখ দেখাদেখি আর আড্ডা দেওয়ার প্রধান একটা মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে আজকাল।সামাজিক যোগাযোগের এক ডিজিটাল সংস্করণও বলা যায়।ছেলেমেয়েরা ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডায় মত্ত।এ যেন দারূন এক নেশায় বুদ হয়ে যাওয়ার অপুর্ব একটা ক্ষেত্র।যেখানে পরিচিত অপরিচিত মানুষের সাথে মনের কথা শেয়ার করার কি ধুম।

হারিয়ে যাওয়া বন্ধু অথবা কম যোগাযোগ রাখা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখার সস্তা একটা পন্থা বটে।মাঝে মাঝে বন্ধুত্বের ফাটল ধরাতেও ভুমিকা রাখে এই মুখবইটি।তখন তা আর ফেসবুক না থেকে হয়ে যায় প্যাঁচবুক।

ফেসবুক ব্যাবহারকারীদেরকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়।যেমনঃ
১.দায়সারা গোছের ইউজারঃ যারা হাই/হ্যালো দিয়েই খালাস।
২.বন্ধুপ্রতিম ইউজারঃ যারা বন্ধুদের স্টাটাস এ কমেন্ট দিতে খুব ভালোবাসেন।
৩.মি/মিস লাইকঃ এরা লাইক দিবে কিন্তু কষ্ট করে কমেন্ট করবে না কখনই।
৪.কপি-পেষ্ট ইউজারঃ এরা অন্যের স্টাটাস বা ছবি কপি-পেষ্ট মারে।
৫.রোমিও-জুলিয়েট টাইপের ইউজারঃ এরা সারাদিন ধরে রোমান্টিক স্টাটাস/ছবি ছুড়তে থাকে।
৬.একচোখা ইউজারএই টাইপের ইউজাররা মেয়েদের স্টাটাস ছাড়া অন্য কোথাও লাইক বা কমেন্ট দিবে না।
৭.প্রবীন ইউজার উনারা কয়েকটি দামি কথা বলে মাস খানিকের জন্য হারিয়ে যান।
৮.হতাশাগ্রস্থ ইউজার এদের স্টাটাসে চীরকালীন হতাশার ছাপ পাওয়া যায়।
***তবে এই টাইপগুলোর বাইরেও লেখক-সাহিত্যকদের একটা বিশাল অংশও রয়েছে।আছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফ্যান পেজ/গ্রুপ পেজ আছে।

আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে হতে পারে শুভ কাজের সুচনাও ।শুভ কাজের আহবান জানানোর জন্য এর চেয়ে ভালো মাধ্যম আর আছে বলে মনে হয় না। এখানে চাইলেই হাজার হাজার বন্ধুদের এক করা যায় খুব সহজেই।বন্ধুত্বের শক্তি যে কত বড় তা বলার অপেক্ষা রাখে না।যুগে যুগে হয়েছে তো বন্ধুত্বেরই জয়।

এমন কয়েকটি গ্রুপের কথা না বলে পারলাম না।যারা এই ফেসবুক ব্যাবহার করেই বিভিন্ন সময় পাশে দাড়াচ্ছে সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে।
Amra khati gorib

আমরা বন্ধুরা মিলে করেছি নিচের এই গ্রুপটি।সকলকে আহবান জানাবো আমাদের সাথে যোগ দিতে।

অবশেষে সকলের কাছে আবেদন থাকবে,ফেসবুক যেন হয় সকল শুভ কাজের ভিত।