এই প্রথম ভয়াবহ ভিড় ঠেলে ট্রেনে উঠেও অস্বস্তিকর এবং দম বন্ধ পরিবেশের কারণে গন্তব্যে আসার আগেই নেমে যেতে হয়েছে! এটা ঘটনা গতকালের।
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মহানগরে ভৈরব থেকে উঠে নরসিংদী পর্যন্ত এসে নেমে গিয়েছিলাম। পরে সেখান থেকে বাসে করে ঢাকায় ফিরেছি। এই ট্রেনে যত নারী মহিলা ছিলেন এক অর্থে তাদের শতকরা ৮০ জনই নানাভাবে হেনস্তা-অপমান সহ্য করে যাত্রা শেষ করেছেন। উপায় নেই বলেই হয়তো।
ঈদের পর গ্রামের বাড়ি যেতে ভয়ংকর কষ্ট হয়েছে। ফিরে আসতেও অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। শুধু আমি নই এই দুর্ভোগ যন্ত্রণার শিকার প্রতিটি মানুষ। যারা ঈদের আগে গিয়েছে বা পরে ফিরেছে তারা কেউ স্বস্তিতে যাত্রা করতে পেরেছে বলে মনে হয় না।
প্রতি বছর এমন দুর্ভোগ নিয়েই ঈদের আগে এবং পরে প্রায় এক কোটির বেশি মানুষ ঢাকা চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেটসহ দেশের নানা বিভাগ-জেলা-শহরে যাচ্ছে আর ফিরে আসছে। ছোট কিছু পদক্ষেপে জনসাধারণের দুর্ভোগ কমিয়ে আনা যায় কিন্তু যথাযথ তত্ত্বাবধানের অভাবে তা হয়না। এসব অনিয়ম দেখার কেউ নেই। অদ্ভুত এক পরিস্থিতি!
আমজনতাদের কষ্ট দুর্ভোগ লাঞ্ছনা অপমান নিয়ে কারোই যেন মাথা ব্যথা নেই। অথচ কানের কাছে সারা বছর ঘ্যানঘ্যান রেকর্ড বাজানো হয় আমরা জনগণের জন্য হেন করছি ত্যান করছি! এসব সার্কাস আর কতদিন দেখতে হবে? কবে শেষ হবে আমাদের দুর্ভোগযাত্রা!
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন মহানগর এর ছবি।