রাস্তার ধারে ধুলাবালিসহ জমজমাট খাওয়া

নুরুন্নাহার শিরীন
Published : 30 March 2015, 07:38 PM
Updated : 30 March 2015, 07:38 PM

আজ আমার আগারগাঁও পাসপোর্টের জন্য যাওয়া ছোট ছেলের সনে। আমার পুরনো পাসপোর্টটি হাতে লিখিত পাসপোর্ট, অচল হবে অচিরে। তাই মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের জন্য যাওয়া ছিলো জরুরী। চৈত্রের গরমে লম্বা লাইন মানুষের। বুঝি বা দেশসুদ্ধো মানুষ সবার জরুরী পাসপোর্ট চাই-ই চাই! কি কান্ড! বাইরে হরেক খাবার। খোলা পথের খোলা খাবার। তাই মানুষ খায় খিদে যে পায় – হয়তো তা-ই। তরুণ কালে খেয়েছি আমরাও দেদার – ঝালমুড়ি, ফুচকা, চানাচুর মাখানো। আজও দেখলে খেতে বিষম ইচ্ছে হলেও সংক্রামক ব্যাধির ভয়ে লোভকে সামলাই। যদিও সেকালে বাতাসে এত বায়ুদূষণ ছিলোনা বলেই ব্যাধির দাপট এত ছিলো না। আজ তো বায়ুদূষণে ঢাকা জগতখ্যাত। সেকালে আমরা এইডস/সোয়াইন ফ্লু নাম শুনিনি জগতে কোথাও। আর জনসংখ্যা ছিলো অনেক কম। এখন সাড়ে সাতকোটির দেশ হয়েছে ষোল কোটির দেশ। যানজটের যাতনা পথে যে না বেরুবে বুঝিবেনা সে – এমনই কঠিন দশা। পথের মানুষ কী করে / কী খায়/কীভাবে দিনরাত্রি কাটায় – ভাবাও কঠিন। কাজে বেরুনো সাধারণ মানুষদের উপায়ন্তর থাকেনা – যখন সুদীর্ঘ সময়ের কারণে খিদে পায় ও সস্তায় যা মেলে তাই খেতেও হয়।

আমার খোলা সালাদ টাইপের খাবার বিক্রতা যেভাবে কাটে এবঙ লোকজন ধোঁয়া কী না ধোয়া সেসব খায় কিনেই – তাতে পেটের ক্রনিক রোগের প্রকোপ যে ছড়ায় – সে বিষয়টিকেই তুলে ধরা ও বিক্রতা-ক্রেতার সচেতনতা বাড়ানো যায় কিভাবে – সেই ভেবেই ছবি ধারণ আর এখানে আপলোড করার মাধ্যমে খানিক সচেতন করার চেষ্টা চালানো।

চৈত্র। ১৪২১ বঙ্গাব্দ।
মার্চ। ২০১৫ সাল।