এই বুড়ি মা হতভাগ্য একজন মা। উনার তিনকুলে কেহই নাই। বয়স সত্তুরোর্ধ। চোখের নজর কমেছে। ভালোবেসে কে একজন একটা চশমা কিনে দিলেন বলে একটু ভালো দেখেন আগের চাইতে। আমি ও আমার স্বামী উনাকে পার্কে প্রায়ই দেখি। বিষম মায়া লাগে ও সাহায্য হিসেবে মাঝেমাঝে মালা না কিনেই কয়েকখানা শত টাকার নোট ঝোলায় দেন আমার স্বামী, তোলেন ছবি, আমিও সেটি প্রিয়তে রাখি, আমিও তুলেছি উনার ছবি। বুড়ি মা দোয়া করেন। তাঁর দুচোখ জলভরা দেখতে হৃদয় ক্যামন করে। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে পথ পেরোন দীর্ঘতম। বকুলতলায় বকুল ফুল কুড়ান। মালা গাঁথেন। দুই চোখের জলে সূচের মাথায় সূতো পরান। বিশ্বে কত না ধুমধামে পালিত হয় এখন মা দিবস। এই দেশেও মা দিবস অনেক উতসাহে পালিত হয়। আমার কাছে আমার চোখে বয়েসি এই বুড়ি মা যেন জগতে জ্বলন্ত উদাহরণ। উনাকে দেখার পর এমন লাগে আমার। আমার প্রয়াত মা কে বিষম মনে পড়তে থাকে … দুচোখ ঝরে মায়ের তরে।
মে। ২০১৫ সাল।
ঢাকা। বাংলাদেশ।