বেশ কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত সাহেব বলেছিলেন প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রনের কথা।ঘুরে ফিরে একই রকমের প্রস্তাব দিলেন কিছু বুদ্ধিমান(!) মানুষ।মুহিত সাহেব বলেছিলেন প্রাইভেট কার শেয়ার করার গল্প।অন্যরা তাও বললেন না।গোলটেবিল বৈঠক শেষে চা চক্র এরপর যার যার গাড়িতে চলে গেলেন । তারা বিশিষ্টিজন(ভি আই পি)। তাদেরকেতো কেউ নিয়ন্ত্রনের কথা চিন্তা্ও করবেননা।যানজটের প্রকৃতকারন চিন্হিত করে তার সমাধান করা খুব বেশী কঠিন নয়। যানজটের সম্ভাব্য কারনসমূহ:
১)লোকাল বাসের সল্পতা ও বাসের বেহাল দশা।যে কারনে ব্যাক্তিগত গাড়ির আধিক্য,ব্যাস্তায় রিক্সার ব্যাবহার পরিনতিতে যানযট।
২)একই রূটে একাধিক পরিবহন কম্পানির বাস।যে কারনে প্রতিযোগিতা এবং রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা।
৩)অজ্ঞাত কারনে ফিটনেস বিহীন লেগুনার উপস্থিতি
৪)ড্রাইভারদের তারাহুরার প্রবনতা,ট্রাফিক নিয়ম না জানা।
৫)ফুট ওভারব্রীজ ব্যবহারে উদাসিনতা
৬)ইউটার্ন নিতে যায়গার সল্পতা
৭)রং সাইডে চলার প্রবনতা
৮)যেখানে সেখানে পার্কিং
৯)ফুটপথের দখল
১০)সমন্নয়হীন ওয়সা/তিতাস/টি এন্ড টির রাস্তাখোড়াখূড়ি পরবর্তিতে সিটি করপোরেশনের উদাসীনতা
সম্ভাব্য সমাধান:
১)ফিটনেস বিহীন লোকাল বাস চলাচল বন্ধ নিশ্চিত করা।ভালো মানের আরামদায়ক বাস সংযোজন করা যাতে সবাই বাসে চড়তে সাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
২)বাসরুট পুন:র্নিধারন করা।একই রুটে একাধিক পরিবহন না থাকা।সকল রুটে পর্যাপ্ত এসি বাস সংযোযন করা।বেসরকারী খাতকে উৎসাহিত করা যাতে ভালো মানের যাত্রী সেবা নিশ্তিচ করা যায়
৩) লেগুনা বন্ধ করে সেসকল রুটে ভালো বাসের রুট চালু করা।
৪) ড্রাইভিং লাইসেন্সধারীদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষনের ব্যাবস্হা করা।যোগ্য প্রার্থীদের লাইসেন্সপেতে হয়রানি বন্ধ করা।
৫)ফুট ওভারব্রীজ ব্যবহার না করলে জারমানা আদায় নিশ্চিত করা।ট্রাফিক পুলিশকে জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা প্রদান করা।
৬)ইউটার্ন নেয়ার স্হানে পর্যাপ্ত জায়গা সীমানা দিয়ে নির্ধারিত রাখা
৭)ফুটপাথের দখলমূক্ত করা
৮)ওয়াসা/তিতাস/টি এন্ড টির প্রোজেক্টের সাথে সিটি করপোরেশনের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।রাস্তাখোড়াখূড়ির প্রয়োজন হলে সিটি করপোরেশনের তত্তাবধানে তা করা উচিত এবং কাজশেষে সিটি করপোরেশনের তত্তাবধানে দ্রুত মেরামত করে জনগনের চলাচলের উপযোগী করা উচিত ।সেক্ষেত্রে ওয়সা/তিতাস/টি এন্ড টির প্রোজেক্টের বাজেটের সাথে রাস্তা মেরামতের বাজেট রাখা প্রয়োজন।
ঢাকা বিশ্বের অন্যতম জনবহুল একটি দেশ।পর্যাপ্ত রাস্তা নেই বলে মুলতঃ এই জনদূর্ভোগ।পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়/রাজউক/সিটিকরপোরেশন/সওজ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত একটি সৎ প্রচেষ্টাই পারে ঢাকা শহরকে একটি আধুনিক রূপ দিতে।