সাইবার জগৎ: পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীলতার অপরাধ

মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
Published : 20 August 2012, 11:59 AM
Updated : 20 August 2012, 11:59 AM

মেগাসিটি রাজধানী নয়, কোন বিভাগীয় শহর, জেলা শহর এমনকি উপজেলা সদরও নয়; উত্তরাঞ্চলের একটি নিভৃত পল্লী গ্রামের এক কিশোরীর কাহিনী এটি। এই গ্রামের সুরভী নামের মেয়েটি কলেজে পড়ে। দেশের হাজারো মেয়ের মতো সুরভীও একটি সেলফোন ব্যবহার করে। মধ্যপ্রাচ্যে চাকুরিরত এক মামা তাকে একটি সুন্দর মোবাইল সেট উপহার দিয়েছে। এই মোবাইল সেটে ইন্টারনেট সুবিধা রয়েছে। উৎসুক সুরভী একদিন সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেইসবুকে একটি একাউন্ট খোলে। একাউন্টে কিছু ছবিও আপলোড করে সে। নিঃসন্দেহে এই সব ছবি ছিল রুচি সম্মত ও শ্লীল। সুরভীর বন্ধুদের তালিকা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। সে দেশ বিদেশের অনেক ছেলেমেয়ের সাথে মনের ভাব প্রকাশ করছে। নিজেকে অন্যের সামনে তুলে ধরছে, অন্যদের সম্পর্কেও জানছে। পরিচিত দুনিয়ার বদ্ধ জগতের চেয়ে ফেইসবুক তার কাছে একটি অনন্ত জগত খুলে দিয়েছে।

একদিন ফেইসবুকের বন্ধুদের তালিকা খুঁজতে গিয়ে সুরভী দেখল তারই নাম, ঠিকানা, পরিচিতি এবং ছবি ব্যবহার করে কে যেন ফেইসবুকে অন্য একটি একাউন্ট খুলেছে। একাউন্টের প্রোফাইল ছবিটিও তারই। তবে ভয়ংকর বিষয় হল তার ছবিটি নগ্ন। খুব কাছে থেকে দেখে বোঝা গেল সুরভীর নিজ একাউন্টের আপলোড করা ছবি থেকে একটি ছবি নিয়ে ছবির মাথাটি কেটে অন্য একটি নগ্ন ছবির সাথে জোড়া দেওয়া হয়েছে। এই ভাবে সুরভীর নামে খোলা এই নতুন একাউন্টে বহু সংখ্যক নগ্ন ছবি আপলোড করা হয়েছে যেগুলোর অধিকাংশই সুরভীর ছবির সাথে অন্য ছবির সংযোজন-বিয়োজন বা অশ্লীল বিকৃতি।

এর কয়েক মাস পরের ঘটনা। সুরভীর গ্রামের বাড়ির একটি বাজারের কম্পিউটারের দোকানে সুরভীর নগ্ন ছবি প্রদর্শিত হতে লাগল। কম্পিউটারের দোকান থেকে তা চলে গেল স্থানীয় যুবকদের মোবাইল ফোনে। কেউ কেউ এই ছবি প্রিন্ট করে সুরভীর গ্রামে নিয়ে গেল। সারা গ্রামে সুরভীর নগ্নতা ছড়িয়ে পড়ল। সুরভীর সহপাঠী, খেলার সাথী, বন্ধ-বান্ধব, গ্রামবাসী আত্মীয়-স্বজন, সবার কাছে সুরভীর নগ্ন ছবির সমালোচনা। ফেইসবুকসহ সাইবার জগতে কোটি কোটি কিশোরীর কোটি কোটি নগ্ন ছবি পাওয়া যায়। কিন্তু সেই সব ছবির নগ্নতায় গ্রামের কারো ঔৎসুক্য নেই, সমালোচনা নেই। সবাই হুমড়ী খেয়ে পড়ল সুরভীর কথিত নগ্ন ছবিটির উপর। সুরভীর জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠল। সুরভী আত্মহত্যা থেকে এখন খুব সামান্য দূরে।

ঠিক এমনি এক পর্যায়ে সুরভীর মামা, আমার এক পুরাতন বন্ধু, আমাকে ফোন দিয়ে তার ভাগনীর দুরবস্থার খবর জানিয়ে তার প্রতিকারের জন্য সাহায্য চাইল। আমি স্থানীয় থানায় ফোন করলাম। থানার অফিসারগণ সুরভীর গ্রামের বাজারের আলোচিত কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে তল্লাশী চালাল। সুরভীর কথিত কিছু নগ্ন ছবির প্রিন্টের কপি ও সফ্‌ট কপি উদ্ধার করা হল। কতিপয় যুবক দৌড়ের উপর থাকল। তবে তারা এই অপরাধ-আচরণ শৃঙ্খলের সর্ব নিম্ন স্তরের। আসল অপরাধী থাকল পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এমনকি সেই কথিত ফেইসবুক একাউন্টটিও চালু রইল।

তবে থানা পুলিশের কার্যক্রম ছিল ইহজগতের। এই জগতে কম্পিউটার, মোবাইল সেট, প্রিন্টেড ছবি, রক্তমাংসে গড়া কিছু বিক্রিত রুচির মানুষ ইত্যাদি রয়েছে। কিন্তু ভার্সুয়াল বা সাইবার জগতের পুরো অংশই রয়ে গেল থানা পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ফেইসবুকের অনন্ত জগতে পুলিশ প্রবেশ করতে পারল না। শত শত যুবকের মোবাইল সেটে, সারা পৃথিবীর কোটি কোটি কম্পিউটার বিন্যাসে, সুরভীর নগ্ন ছবির হদিস পুলিশ করতে পারল না। ফেইসবুকের এই একাউন্ট থেকে যে কেউ সুরভীর ছবি ডাউনলোড করতে পারে; কিংবা তা মনের মতো করে বিকৃত করে আবার নেটওয়ার্কে আপলোড করতে পারে। সেই ছোট্ট গ্রামে না হোক, পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে সুরভীর ছবি বিকৃতকাম মানুষের কামনা পূরণের মাধ্যম হতে পারে।

ধীর পদক্ষেপে হলেও বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই সীমাহীন এক সাইবার জগতে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫৫,০১,৬০৯ জন যা মোট জনসংখ্যার ৩.৫%। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই সংখ্যা খুব বেশি নয়। তবে এই সংখ্যা প্রতি বছর ১৫-১৬% বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু মজার ব্যাপর হল, এদের মধ্যে ২৬,৩১,৫৪০ জনই ফেইসবুক ব্যবহার করে। অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রায় অর্ধেকই ফেইসবুক ব্যবহার করেন। ব্যবহারকারীদের মধ্যে তরুণ-তরুণীরাই সংখ্যা গরিষ্ঠ। এদেশে ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ২৩% হল সুরভীর মতো কিশোরী-যুবতী-নারী[1]। যখন অন্যান্য ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ ১০-১৫% এর মধ্যে সীমীত, তখন ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যা আশা ব্যঞ্জক বলেন, আর হতাশা ব্যঞ্জকই বলেন, এটা উল্লেখ করার মতো। দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহারের সাথে সাথে সুরভীর মতো নারীগণ অতি সহজেই অশ্লীলতার শিকারে পরিণত হচ্ছে। তারা নিজেদের অজান্তে, অজ্ঞাতে ও কারিগরী জ্ঞানের অজ্ঞতাহেতু পড়ে যাচ্ছে পর্নোগ্রাফারদের পাল্লায়।

কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন ইত্যাদির ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশে একটি নতুন অপরাধ শিকড় গেঁড়ে বসছে। আমরা ধীরে ধীরে এক অনন্ত অপরাধ জগতের সাথে পরিচিত হচ্ছি। এর নাম হল সাইবার ক্রাইম জগৎ। বিস্তৃতির বিশালতা, কারিগরী জ্ঞানের সূক্ষ্ণতা, জটিলতা এবং একই সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সম্পদের সীমাবদ্ধতা বাংলাদেশকে দেশী-বিদেশী সাইবার অপরাধীদের একটি সম্ভাব্য নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে হাতছানি দিচ্ছে।

সাইবার ক্রাইম বিভিন্ন ধরণের হয়। কম্পিউটার সংক্রান্ত অপরাধ, তথ্য ও যোগাযোগ সংক্রান্ত অপরাধ, ইন্টারনেট সাইট হ্যাকিং, আর্থিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টে প্রবেশ করে অর্থ চুরি, প্রতারণা, ক্রিডিট কার্ড ইত্যাদি জালিয়াতি এবং আরো কত কি! আমরা এই নিবন্ধে সাইবার জগতের পর্ণগ্রাফী বা অশ্লীলতার অপরাধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকব।

পর্নোগ্রাফি কীঃ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ২ ধারায় পর্নোগ্রাফি কে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন অশ্লীল সাংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যাহা চলচ্চিত্র, ভিডিও চিত্র, অড্ি‌ও ভিজুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোন উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যাহার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই এমন বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাস্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কার্টুন বা লফলেট এবং এই সবের নেগেটিভ বা সফট ভার্সনও পর্নোগ্রাফির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হবে[2]।

পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তিঃ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ ধারায় পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির বিধান বর্ণিত হয়েছে। এই শাস্তির পরিমাণ সর্বনিম্ন ২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এর অতিরিক্ত এক থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ড। আইনের ১৩ ধারায় মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধের শাস্তিরও বিধান রয়েছে।

পর্নোগ্রাফির উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ ও প্রদর্শনের অপরাধের জন্য ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লক্ষ টাকার অর্থ দণ্ডের বিধান রয়েছে। পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে সামাজিক বা ব্যক্তি মর্যাদার হানি করা হলে বা কাউকে মানসিকভাবে নির্যাতন করা কিংবা ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন বা অন্যকোন মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি প্রচার করা হলে ৫ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। পর্নোগ্রাফি প্রদর্শনের মাধ্যমে গণউপদ্রব সৃষ্টি করা হলে বা পর্নোগ্রাফির বিজ্ঞাপন প্রচার, ভাড়া প্রদান, বিতরণ ইত্যাকার অপরাধের জন্য দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সহ এক লাখ টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে।

শিশু পর্নোগ্রাফির জন্য আইনের বিধান আরো বেশি কড়া। কোন শিশুকে ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফির উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ, মুদ্রণ বা প্রচারের জন্যতে জড়িত করে অপরাধ সংঘটিত করার জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সহ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১২ এর বাইরেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর আওতায় পর্নোগ্রাফি বা অশ্লীলতার অপরাদের জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। এই আইনের ৫৭(১) ধারা অনুসারে কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসুস্থ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরণের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি অনধিক দশ বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন[3]৷

বর্তমানে দেশে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত আইন আছে বললে অত্যুক্তি হবে না। তবে এই আইনের প্রয়োগের সক্ষমতাই হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পুলিশের কেন্দ্রিয় পর্যায়ে এবং সিআইডিতে সাইবার ক্রাইম অনুসন্ধানের জন্য যথোপযুক্ত প্রযুক্তি থাকলেও পুলিশের স্থানীয় পর্যায়ে এই অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা তৈরি হয়নি। তাই এই বিষয়ে থানা পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ এলে তারা বিব্রতবোধ করেন। কারণ সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ ও আলামত সংগ্রেহর জন্য থানা পুলিশের পর্যাপ্ত কারিগরী জ্ঞান, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও প্রযু্‌ক্তি নেই। এমনকি এই বিষয়ে সংসদ কর্তৃক পাশকৃত হাল আমলের আইন ও তাদের সর্বশেষ সংশোধনী সম্পর্কেও থানা পর্যায়ের অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াকেফহাল নন। এমতাবস্থায়, তারা প্রায়শই এই জাতীয় অপরাধের অভিযোগ এড়িয়ে যেতে চায়। থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ না করার চিরাচরিত অভিযোগটিতে সাইবার ক্রাইম একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

সাইবার ক্রাইম হিসেবে পর্নোগ্রাফি একটি বহুল আলোচিত অপরাধ। তবে এই অপরাধের বহিঃপ্রকাশ অনেক ক্ষেত্রেই সহজে হয় না। নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধেই এই অপরাধ বেশি সংঘটিত হয়ে থাকে। ব্যক্তিগত মান-সম্মান, পারিবারিক সম্পর্ক বিচ্ছেদের ভয় ইত্যাদি কারণে অনেক ক্ষেত্রে পর্নোগ্রাফির অপরাধ থানা পুলিশ পর্যন্ত আসে না। প্রতারণা, ব্লাকমেইলিং ইত্যাদির মাধ্যমে চাঁদাবাজিসহ অনেক অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু অপরাধ গোপন করে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।

এমতাবস্থায়, ভূক্তভোগীদের উচিত ঘটনা ঘটার পর যতদ্রুত সম্ভব পুলিশের সহায়তা নেওয়া। অন্যদিকে থানা পুলিশকে এই বিষয়ে আরো সংবেদনশীল হতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সাইবার ক্রাইম তথা পর্নোগ্রাফির মামলাসমূহ তদন্ত করা সম্ভব না হলে মামলা রুজু করে তা দ্রুত সিআইডিতে পাঠিয়ে দেওয়া উচিৎ। অন্যদিকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের উচিত সারা দেশে রুজুকৃত সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত মামলাগুলোকে সহজেই সিআইডিতে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা। অধিকন্তু সাইবার ক্রাইম তদন্তে স্থানীয় থানা পুলিশকে সক্ষম করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, কারিগরী ও প্রযুক্তিগত সুবিধাদি প্রদান করা।

বিঃদ্রঃ
এই সম্পর্কে আমার কয়েক বছর আগে লেখা একটি ইংরেজি নিবন্ধ পাঠকগণ Weekly Blitz এবং The New Age পত্রিকার ১৮ এপ্রিল ২০১০ সংখ্যা থেকে পড়ে নিতে পারেন।