ট্রাফিক পুলিশ ও গণপরিবহনের আত্মভোলা যাত্রীগণ

মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
Published : 24 August 2014, 10:04 AM
Updated : 24 August 2014, 10:04 AM

'বাস থামিয়ে যাত্রী নামিয়ে দিলেন সার্জেন্ট' জনাব আরিফ আহমেদ এর এ লেখাটি আইন-শৃঙ্খলা বর্গে না ছাপিয়ে সংগত কারণেই 'নাগরিক সমস্যা' বর্গে ছাপানো হয়েছে। জনাব আরিফের ব্লগটির তথ্যগুলো সম্পূর্ণ নয়। সে কথা অবশ্য তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তার কথায়,

সার্জেন্টকে জিজ্ঞাসা করলাম, গাড়ি থামানোর কারণ। তিনি তো মহা বিরক্ত, শেষমেষ যা বোঝাতে চায় তা হলো গাড়ি আর যাবে না, আপনারা অন্য গাড়িতে যান। লোকভর্তি গাড়ি সেখানেই থামিয়ে দিলো সার্জেন্ট।

অর্থাৎ সার্জেন্ট কেন গাড়ি থামিয়েছিলেন, আর কেনই বা যাত্রীদের নামিয়ে দিলেন, তার সঠিক কারণ (তা লেখকের কাছে গ্রহণযোগ হোক বা না হোক) জানা গেল না।

অনেক কারণে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ গণপরিবহনের মোটরযানকে রাস্তায় আটক করা তথা থামাতে পারে। এদের মধ্যে নিম্নলিখিত কারণগুলো প্রধান, যথা-
১. গাড়ির দলিলপত্র পরীক্ষার জন্য,
২. গাড়ির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকলে,
৩. গাড়ি কোন সংকেত অমান্য করলে,
৪. গাড়ি সরকারি প্রয়োজনে রিকুইজিশন করা হলে।

এর বাইরেও কারণ থাকতে পারে যে গুলো বৈধ-অবৈধ উভয়ই হতে পারে। অনেক সময় কোন ব্যক্তি পুলিশ অফিসার বিদ্বেষ বসতও গাড়ি আটক করতে পারে। তবে এসব কারণ আইন সঙ্গত বা বিভাগীয় নির্দেশিত নয়। তবে গাড়ির থামানো বা আটকের কারণ যাই থাকুক কর্মরত পুলিশের নির্দেশ মান্য করা নাগরিকদের আইনী কর্তব্য।

যাত্রীভরা বাস আটক করলে যাত্রীগণ বিরক্ত হন। তাই সাধারণত পুলিশ এটা এড়িয়ে চলে। আর এ সুযোগটি নিয়ে বাস মালিকগণও সব সময় বাস যাত্রী ভরিয়ে রাখেন। উপরিউক্ত কারণগুলোর জন্য গাড়ি আটক করতে হলে হয়, যাত্রীভরা গাড়ি আটক করতে হবে, নয়তো মালিকের গ্যারেজ থেকে বা বাসটার্মিনাল থেকে বাস আটক করতে হবে। রাস্তার বাইরে অন্য দুইটি অপশন ঝুঁকিপূর্ণ, সাংঘর্ষিক ও বাংলাদেশের অনিয়ন্ত্রিত ট্রেড ইউনিয়নিজমের যুগে বাস্তবে অসম্ভব । কোন গাড়ি রাস্তায় হাজারটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে শতাধীক লোকের জান কবজ করে কোন প্রকারে যদি একবার টার্মিনালে ঢুকতে পারে, তালে তাকে আর পায় কে?

তাই রাস্তায় গাড়ি আটক করাই পুলিশের জন্য সুবিধা জনক। কিন্তু এতে যাত্রীগণ বিরক্ত হন। বিষয়টি আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি। যে লোকটি ধামরাই বা মানিকগঞ্জ থেকে প্রত্যুষে গাড়িতে উঠে গুলিস্তানে নেমে মতিঝিলে গিয়ে নয়টার অফিস ধরতে চান, তিনি যদি আজিমপুরে পুলিশের গাড়ি জব্দের জন্য বাধাগ্রস্ত হন, তাহলে পুলিশে চৌদ্দগোষ্ঠী তিনি তো উদ্ধার করবেনই। কিন্তু যে গাড়িতে তিনি ভ্রমণ করছেন, সে গাড়ির যে কোন কাগজপত্রই ঠিক নেই, তা কি তিনি জানেন? কোন দিন কি তিনি ভেবে দেখেছেন, যে গাড়িতে তিনি উঠেছেন, তার চালকটি দক্ষ না অদক্ষ, তার ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে না নেই?

রংপুর থেকে ঢাকার কাঁচপুর পর্যন্ত একটি ট্রাক কোন প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই কাঁচামাল নিয়ে এলো এবং তা ডেলিভারি দিয়ে চলে গেল। ট্রাকের যেমন কাগজপত্র নেই, তেমনি চালকেরও কোন ড্রাইভিং ডকুমেন্ট নেই। এরা যখন কোন কারণে ফেরার পথে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, তখন শুরু হয় উৎকোচ প্রদান করে ছাড়িয়ে নেয়ার পালা। এরা প্রতি ট্রিপে পুলিশকে ঘুষ দিবেন, কিন্তু কাগজপত্র ঠিক করবেন না।

কারণটা অবশ্য যাত্রীরা জানেন না। তারা কোন দিন জানার চেষ্টাও করেন না। বলতে কি অনেক গাড়ির হালনাগাদ কাগজপত্র যেমন, ফিটনেস, রুট পারমিট, ইনসুরেন্স ইত্যাদি বাধ্যতামূলক ডকুমেন্ট তৈরি করা সম্বভ না। কারণ, এদের অনেক গাড়ি রাস্তায় চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে অনেক বছর আগে। একটি ইন্জিন এত বার পরিবর্তন করে ভিন্ন মডেলের সাথে যোগ দিয়ে হাইব্রিড গাড়ি তৈরি করা হয়েছে যে, তাদের সেই নতুন গাড়ির জন্য কোন ডকুমেন্ট শুধু বাংলাদেশে কেন, জাপানেও পাওয়া যাবে না। তারা মিৎসুবিসি মাইক্রোবাসকে দিব্বি মিনি ট্রাক বানিয়ে রাস্তায় নামিয়েছেন। কেউ কেউ পুরাতন বেড ফোর্ড ট্রাকের ইন্জিনের উপর বসিয়ে দিয়েছেন মিনিবাসের সুদৃশ্য কাঠামো। তাই বিআরটিএ তো দূরের কথা, প্রগতি পর্যন্ত তাদের কাগজপত্র দিতে অপরারগ। এ সব গাড়িই যখন রাস্তায় নামে, তখন তারা পুলিশ, মাস্তান, রাজনৈতিক ক্যাডার এমনকি ফুটপাতের টোকাইদেরও চাঁদা দিয়ে ম্যানেজ করে।

আমরা যাত্রী হিসেবে যখন এ সব গাড়িতে উঠি তখন কেউ অবশ্য মাইন্ড করি না। কারণ, আমাদের গন্তব্যে যাওয়াই হল আসল উদ্দেশ্য। আমরা আইন মান্যকারী নাগরিক হিসেবে দিব্যি বেআইনী ভাবে চলাচলরত গাড়িটির একটা সিট দখল করে বসি ( আরে সিট কোথায়? কোন প্রকারের ঠাঁই)। পুলিশ যদি কোন ভাবে আইন প্রয়োগ করতে যায়, তাহলে আমাদের স্টাটাসকোতে আঘাত পড়ে। আমরা বিরক্ত হই। যে গাড়ির মালিক, চালক বা কন্ট্রাকটর আমাকে সাধারণ পণ্যের মতো একটি অবৈধ গাড়িতে বসিয়ে সরকারের ট্যাক্স, সংসদের আইন, আর আমার নিরাপত্তাকে দিনের পর দিন ফাঁকি দিয়ে আসছে, তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনই অভিযোগ নেই। যারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাদা কলারের শার্ট পরে কোটি কোটি টাকা কামাচ্ছেন, তারাই আমার বন্ধু!

কিছু দিন আগে মাওয়ায় যে লঞ্চটি ডুবে গেল তার কথা একবার ভাবুন। ভরা লঞ্চ আটক করে যদি বিআইডাব্লিউটিএর কর্মকর্তারা যাত্রীদের নামিয়ে দিতেন তাহলে তারা নির্ঘাত একটা যুদ্ধের মধ্যে পড়ত। এই যুদ্ধের একপক্ষে থাকত মালিকে সাথে শত শত যাত্রী। আর অন্যপক্ষে থাকত কয়েকজন মাত্র সরকারি কর্মচারি যারা শুধু তাদের চাকরির খাতিরে গণপিটুনির শিকারে পরিণত হত। কিন্তু তার পরও যদি যাত্রীবোঝাই এই লঞ্চটি আটকিয়ে দেয়া যেত তাহলে শত শত যাত্রীর জীবন রক্ষা পেত।

রাস্তার গাড়ির ক্ষেত্রে অবশ্য এমন ধরনের বক্তব্য যাত্রীরা মানতে নারাজ। তারা দেখেন বাস সাধারণত দুর্ঘটনায় পড়ে না। বিশেষ করে ঢাকা শহরে যাত্রিক ত্রুটির জন্য বাস বিকল হলে আহত হলেও নিহত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই তারা পুলিশের গাড়ি আটকের কাজকে কোন ভাবেই সমর্থন দিবেন না।

২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। আমি তখন ঝালকাঠী জেলায় কর্মরত। গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সময় আমি নিজেই মাঠে থাকতাম। তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানা করে গাড়ি ছেড়ে দেয়ার একটা রীতিরও চালু করেছিলাম। কারণ, এতে আর্থিক জরিমানা হলেও গাড়ির চালক-মালিকগণ উপকৃত হত। দুর্নীতিও রোধ করা যেত। একদিন বিকেল বেলা আমার লোকজন ঝালকাঠীর গাবখান ব্রিজের পশ্চিম তীরে চেকপোস্ট বসিয়েছে। আমি অন্যকাজে বাইরে গিয়ে চেকপোস্ট তদারক করছি এবং সেই সুযোগে কিছু কিছু প্রসিকিউশনেরও ফয়সালা দিচ্ছি । যারা তাৎক্ষণিক জরিমানা দিতে রাজি ছিলেন, তাদের জরিমানা আদায় করার পর ছেড়ে দেয়া হল। অন্যরা মামলা নিয়ে চলে গেলেন । পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে ট্রাফিক অফিসে এসে জরিমানা দিয়ে মামলামুক্ত হবেন।

এক সময় একটি লক্কর-ঝক্কর মার্কা গাড়িকে পশ্চিম দিক থেকে আসতে দেখলাম। লক্কর-ঝক্কর হলেও তার গতি কম ছিল না। আমাদের চেকপোস্টের কাছাকাছি এসে গাড়িটি বহু কষ্টে থামতে পারল। আমার লোকজন ড্রাইভারের কাছে গিয়ে সমূদয় কাগজপত্র দেখতে চাইলেন। ড্রাইভার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারলেন না। তার গাড়ির কাগজপত্র নেই, নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। আমরা পড়লাম বিপদে! কারণ তখন ঈদের পরে অফিস আদালত খুলতে শুরু করেছে। মানুষ জন বরিশাল শহরে তাদের কর্মস্থলে ফিরছেন। এখন গাড়িটি যদি জব্দ করতে হয়, সেটা ভাল দেখাবে না। কিন্তু গাড়ির কোন কাগজপত্র না থাকলে তা হবে কিভাবে? আর আমি এসপি হয়েই যদি এই অপরাধ ক্ষমা করে দেই, তাহলে প্রশাসন চলবে কিভাবে?

যাত্রীগণ অস্থির হয়ে উঠেছেন। কিন্তু স্বয়ং এসপি যেখানে মাঠে, সেখানে কোন উচ্চবাচ্যতে কাজ হবে না ভেবে সবােই চুপ। ড্রাইভারকে নামিয়ে আনা হল। তিনি বললেন, আমার গাড়ির কোন কাগজপত্র নেই। মালিক আমাকে কোন কাগজপত্র দেননি। আমি বললাম, তাহলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটি দেখান। তিনি বললেন, সেটাও নেই। আমি বললাম, অন্তত ফটোকপি দেখান। ড্রাইভার বললেন, তাও নেই। আমরা তাজ্জব বনে গেলাম। তাহলে পিরোজপুর থেকে গাড়িটা গাবখান পর্যন্ত আসল কিভাবে?

গাড়ির যাত্রীদের ধৈর্যচ্যূতি ঘটছে। আমি যাত্রীদের বিষয়টি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা দিতে চাইলাম। তারা তো সব সময় পুলিশের দোষই দেখেন। এবার দেখুন গাড়ির মালিক ও চালগকগণ কি দোষ করেন। ড্রাইভারকে নির্দেশ দিলাম, আপনি গাড়িতে উঠুন। যাত্রীদেরকে বলুন, কেন আমরা আপনাকে আটক করেছি এবং কেনই বা আপনার গাড়ি জব্দ করা হবে। ড্রাইভার তাই করলেন। যাত্রীদের বললেন, আমার গাড়ির ফিটনেস নেই, বীমা নেই, ব্লুবুক নেই, রুট পার্মিট নেই। আমার নিজের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। আর সব চেয়ে বড় কথা হল, আমার গাড়ির হেডলাইট জ্বলে না। তাই বরিশালে যাতে সন্ধ্যার আগেই যেতে পারি, তাই একটু বেশি জোরেই চালাচ্ছিলাম।

ড্রাইভারের স্বীকারোক্তি শুনে যাত্রীদের চোখ ছানা বড়া! কেউ কেউ পারলে তাকে জুতাপেটা করেন। অনেকেই গাড়ি থেকে স্বেচ্ছায় নেমে গেলেন, কেউ কেউ ভাড়া ফেরত চাইলেন কেউ বা আবার হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। কয়েকজন যাত্রীকে জোর করেই নামাতে হল। কেননা, তারা এসব কিছু বিশ্বাসই করতে চাইলেন না।

কোন গাড়ি যখন কোন সার্জেন্ট বা পুলিশ সদস্য থামায় তখন প্রচলিত বিশ্বাস ও কুসংস্কার অনুযায়ী যাত্রীগণ মনে করেন, পুলিশ হয়তো উৎকোচের জন্যই এ কাজ করেছে। তাদের বিষয়টি খারাপ ঠেকে। তারা চায় পুলিশ গাড়িতে যাওয়ার সময় তাদের যেন বিরক্ত না করে। কিন্তু পুলিশের যে মোটরযান আইন প্রয়োগ করে যাত্রীদের যাত্রাকে নিরাপদ করার একটা আইনী দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা যাত্রীগণ মনেই করেন না। তাদের স্বার্থ আর মালিক-চালকের স্বার্থ তখন এক হয়ে যায়। কিন্তু এই যাত্রীগণই আবার সমালোচনায় মুখর হয় যে ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি রাস্তায় চলে পুলিশ তা দেখে না। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া অনভিজ্ঞ পুচকে পোলাপান গাড়ি চালিয়ে নিজেদের যাত্রীদের ও পথচারীদের জীবন বিপন্ন করছে পুলিশ নির্বিকার। যখন তারা গাড়িতে ওঠে তখন তাদের অবস্থান পুলিশের বিপক্ষে মালিক-চালকদের পক্ষে। কিন্তু গাড়ি থেকে নেমে বাসায় গেলেই তারা মালিকদের যাত্রীদের জীবন বিপন্ন করে অর্থ কামই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা, অদক্ষা ও দুর্নীতির সমালোচনা করেন।

যে সব দেশে পুলিশকে ফিরিস্তাতুল্য মনে করা হয় বলে আমরা বিশ্বাস করি, সেসব দেশেও পুলিশ আসলে পুলিশই। পুলিশ সব সময় মানুষের স্বাধীন চিন্তা বা চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পুলিশ প্রচলিত প্রজন্মের চেয় প্রতিক্রিয়াশীল হয়। তারা সমাজের স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখতে চায়। কিন্তু স্থিতিতাবস্থাপূর্ণ সমাজ পরিবর্তনশীল সমাজ নয়। পুলিশি ও পরিবর্তনের পক্ষে । তবে তা আইনের সাথে সংহতিপূর্ণ হতে হবে। আইন প্রায়শই পুরাতন হয়। আইন সহজে পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু সমাজের মনোভাব প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হয়। যে সব দেশে আইন সমাজের চাহিদা অনুসারে নিত্য নতুন সংশোধিত হয়, সেই সব দেশের পুলিশ প্রতিক্রিয়াশীলতা অতিক্রম করতে পারে।

অপছন্দনীয় পুলিশ সমাজের মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি অপছন্দের পুলিশ হল ট্রাফিক পুলিশ। এরা জনগণের কাছে সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাদের প্রাত্যহিক দায়িত্ব পালন, মানুষের প্রাত্যহিক আচরণকে বেশি প্রভাবিত করে। ট্রাফিক পুলিশ আপনাকে পথে আটকায়। সিগন্যাল অমান্য করলে ধরে ফেলে, ধাওয়া দেয়। আপনি যদি গাড়ির মালিক হন, ট্রাফিকপুলিশকে আরো বেশি অপছন্দ করবেন। আর যদি বাংলাদেশের বাসিন্দা হন, তাহলে আপনার সাথে সমঝোতায় না গিয়ে যে পুলিশ আইন অনুসারে আইন প্রয়োগ করেন, আপনাকে ছাড় দেন না, সেই পুলিশ আপনার কাছে আরো বেশি অপ্রিয় হবেন।

(২৪আগস্ট, ২০১৪)