যুদ্ধক্ষেত্রে মরে যায় ওরা; কিন্তু গুর্খা’রা হারে না

সুকান্ত কুমার সাহা
Published : 3 May 2015, 04:21 AM
Updated : 3 May 2015, 04:21 AM

কথায় আছে- একজনের সর্বনাশ আর অন্যজনের পৌষ মাস। পড়শির বাড়িতে আগুণ লাগলে কেউ আসে তা নেভাতে; আর কেউ কেউ আসে পোড়া আলু খেতে।

নেপালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পেও হয়েছে তাই! কেউ কেউ আসছে সাহায্যের বদলে হাতে হাতে বাইবেল ধরিয়ে দিতে; আর অন্য দল এসেছে- আর কিছু না পাড়ুক ক্ষুধার্ত মানুষদের গোপনে গরুর মাংস খাইয়ে দিয়ে তাদের ধর্ম নষ্ট করার নামে নিজেরা পুণ্য কামাতে। সত্য কথা হলো, এরা যুগের সাথে ছিল, আছে এবং থাকবে। তাই তাদের নিয়ে বেশী চিন্তিত হওয়ার কোন দরকার নেই।

এইমাত্র ধর্মেন্দ্র'র সাথে কথা হলো, দুইদিন পর ওর সাথে কথা বলতে পাড়লাম। ও নিজ পরিবারকে ভায়ের বাসায় রেখে নিজে নেমেছে মানুষকে সাহায্য করার ভলান্টিয়ার কাজে। ওর ছয় মাস বয়সী ছেলেটা ভীষণ ভয় পেয়েছে; ভূমিকম্পের পর থেকে সে নাকি কোন কান্নাকাটি বা হাসাহাসি কিছুই করেনি। আজ থেকে কিছুটা নর্মাল দেখাচ্ছে ওকে। সামান্য একটা ছোট শিশুও বুঝেছে দুর্যোগের ভয়াবহতা।

কথা প্রসঙ্গে বললাম, দেখো ধর্মেন্দ্র- তোমাদের ওখানে কিন্তু এখন এন্টিক চোরেরা হরিলুট চালাবে। ধ্বসে যাওয়া পুরাতন মন্দির ও স্থান থেকে কিন্তু সব এন্টিকগুলো চুরি হয়ে যাবে। সাবধান হও। শোনামাত্র ও বলল, অলরেডি চুরি শুরু হয়ে গেছে। দুই একজন ধরাও পড়েছে এবং সরকার তার সাধ্যমত পাহারা বসিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।

যে দেশে লক্ষ মানুষ আছে ধ্বংসস্তূপের নিচে আঁটকে; না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। নেপালি সরকার তার স্বল্প রিসোর্স দিয়ে তাদের জন্য কিছুই করতে পারছে না। আর এর মধ্যে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ের মত ধর্মীয় দুর্বিত্ব ও চোরেরা জেঁকে বসেছে সেদেশে।

তাই বলতেই হচ্ছে, জানে মানে নিজেদের রক্ষা করার এক বড় চ্যালেঞ্জে পড়েছে নেপালবাসীরা। নিজেদের রক্ষা করার এক প্রচণ্ড বাধ্যবাধকতায় পড়েছে তারা। গুর্খাদের যারা চেনে, তারা জানে ওরা তা পাড়বে। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোন যুদ্ধে ওরা কোনদিন পরাজিত হয়নি; আত্মসমর্পণ করেনি। যুদ্ধক্ষেত্রে মরে যায় ওরা; কিন্তু হারে না। প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করাকে শ্রেয় মনে করে তবুও আত্মসমর্পণ করে না।

নতুন তথ্যঃ ধর্মেন্দ্র নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছে। এবং ও যাদের সাথে ব্যবসা করে তাদের সবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাল আছে। আগামীকাল ওর জন্য তথা নেপালের উদ্দেশ্যে পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়ছি আমরা। সামনের সপ্তাহে আরও একটা। ও ছাড়াও আরও অনেকেই নতুন নতুন পণ্যের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে। অপরদিকে নেপালের মাউন্টেইন ট্র্যাকার শেরপা'রা পর্বত চূড়ায় ওঠার জন্য নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আর পশুপতিনাথ মন্দির অক্ষত আছে!

০২/০৫/২০১৫ রাতঃ ৯.২৯

আজ সকালে ধর্মেন্দ্র'র ইমেইলটা পেলাম; আমি অভিভূত হলাম! এখানে শেয়ার দিলাম >>>

Dear Mr Saha

Life is coming into normalcy slowly. Nevertheless, we can do nothing with natural calamity except taking affordable precautions. Now I myself deployed to most affected area with medical team to help injured people. Situations are worst than any one can imagine here.

Thank you very much for all of your concern during the tough time. Whatever the disaster and loss caused to my nation and my people, have to accept it and go ahead with businesses and all. You are requested to send me the export documents of upcoming shipment and go ahead to get the export document ready for (Erased) as discussed yesterday.

Please keep us in all of your prayer.

Thanks & regards

Dharmendra

আপডেটঃ ০৩/০৫/২০১৫ দুপুরঃ ১২.০৮

পূর্বের লেখাঃ বাংলাদেশ তুমি সাবধান হও,ভূমিকম্প আসছে!