বব ডিলানের গান, নোবেল এবং নয় লাখ ডলার

মোনেম অপু
Published : 25 Oct 2016, 04:48 PM
Updated : 25 Oct 2016, 04:48 PM

সাহিত্যে বব ডিলানের নোবেল পাওয়ার খবরটা নজরে পড়তেই ভেবে বসেছিলাম, আরে! এটা কেমনে বা কেনো হলো? বব ডিলানের নাম শুনেছি সেই কৈশোরেই। কিন্তু তার গান শোনা হয়নি সেভাবে। ফলে ধন্ধে পড়ে গিয়েছিলাম। এমনি এমনি তো আর নোবেল পাওয়া যায় না—এটা যেমন একটা দিক, তেমনই সাহিত্যে ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন নিয়ে বিতর্কও হয় প্রচুর। ঘটনা কী দেখার জন্য, দেরীতে হলেও এবার ইউটিউবে তার গান নিয়ে পড়লাম। ওয়েব ঘাটাঘাটি করে আরও দেখলাম, তিনি ডিসিডেন্টদের আইকন। ববের গানের কথাই বলে দেয় এর রহস্য। ডিসিডেন্ট ভয়েস এতো জোরালো হতে পারে! তার ১৯৬৩ সালের 'মাস্টার্স অব ওয়ার' গানটি একটি নজির।

উপরের ছবিটি ওয়েব থেকে নেয়া, গানের লিরিক থেকে কিছু বাছাই করা অংশ মাত্র তাতে রয়েছে।

'মাস্টার্স অব ওয়ার' লিরিক লিংক

https://www.youtube.com/watch?v=exm7FN-t3PY
.

How many times must a man look up
Before he can see the sky?
Yes, 'n' how many ears must one man have
Before he can hear people cry?
Yes, 'n' how many deaths will it take till he knows
That too many people have died?
The answer, my friend, is blowin' in the wind
The answer is blowin' in the wind
– BOB DYLAN, Blowin' in The Wind

১৯৬২ সালের 'ব্লোয়িং ইন দি উইন্ড' গানটিও ববের অন্যতম প্রধান একটি গান। উপরের কথাগুলো সে গানটিরই শেষ অংশ।

'ব্লোয়িং ইন দি উইন্ড' লিরিক লিংক

https://www.youtube.com/watch?v=3l4nVByCL44
.
গান দুটো শোনার পর আরেক প্রশ্ন আমার মতো দুর্ভাগার মনে ঘুরঘুর করতে শুরু করলো। যারা ববের পুরোনো ভক্ত এবং অনেক আগে থেকেই তাকে জানেন, খবরটা শোনার পরপরই তাদের মাথায়ও নিশ্চয়ই প্রশ্নটা ঘুরঘুর করতে শুরু করে দিয়েছিলো।—তাকে কি টাকাটা গছানো যাবে?

নয় লক্ষ ডলার বলে কথা! শুধু একটা লেকচার বা কনসার্টের মূল্য নয় লাখ ডলার! কিন্তু নোবেল কর্তৃপক্ষ ববের টিকিটিও খুঁজে পাচ্ছেন না। এক কর্মকর্তা তো ববের এ আচরণকে রুক্ষতা আর ঔদ্ধত্য বলে আখ্যায়িত করে বসেছেন। ববের গলায় নোবেল ঝুলে গিয়েছে; তিনি চাইলেই কী, আর না চাইলেই কী। কিন্তু ৯ লাখ ডলারের কী হবে? এটা পেতে হলে একটা লেকচার বা সেরকম একটা কিছু যে লাগে! এটাই নিয়ম। নোবেল প্রত্যাখ্যানের নজির আছে। আর্থিক দুরবস্থায় পড়ে, পরে টাকা চেয়ে না পাওয়ারও নজির আছে। কিন্তু এমন চরম উপেক্ষার নজির বোধ হয় নেই।

ববকে কি শেষ পর্যন্ত বশ করা যাবে?

মনে হয় না। যে গান বব গেয়ে চলেছেন সেই ষাটের দশক থেকে, তাতে একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়, গান-পাউডার মানি তার বাড়িতে গিয়েও তার হাতে পুড়ে দেয়া যাবে না।

দেখা যাক কী হয়।

***

বব ডিলানের আরও গানের জন্য: BobDylanVEVO

***