ধানমন্ডি থানার ওসির মনিরুজ্জামানের অপসারণের দাবিতে গত ১১ই মে থেকে বিক্ষুব্ধ ঢাকার অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকরা। তেতে ওঠা রাজপথে একের পর এক বিক্ষোভ কর্মসূচি দিচ্ছেন তারা।
কিন্তু, একদমই চুপ পুলিশ প্রশাসন। ঘটনা কি? প্রশাসন কি পাত্তা দিচ্ছেন না? নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কিছু?
কি ঘটেছিলো সেদিন যার প্রতিবাদে এমন উত্তাল রাজপথ?
গত ১১ই মে অফিস যাবার পথে ধানমন্ডি দুই নম্বর সড়কে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিভাস চন্দ্র সাহা।
ধীর, স্থির, স্থিতধী ও নমিত প্রজ্ঞায় উজ্জল বিভাসের থেতলে যাওয়া মাথা থেকে চুইয়ে চুইয়ে পড়ছিলো রক্ত। দিনের আলোয়, শত শত মানুষের সামনে। আঁতকে উঠেছিলেন সবাই, যারা দেখেছেন মর্মান্তিক এ ঘটনা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তখনও হৃদকম্পন ছিলো তাঁর। অথচ দায়িত্বরত পুলিশ ছিলো নির্লিপ্ত। পাশে অনেকগুলো হাসপাতাল থাকলেও কয়েক ঘন্টা পড়ে ছিলো নির্বিবাদি এই সাংবাদিকের দেহ।
সেকেন্ড যায়, যায় মিনিট। ঘড়ির কাঁটা একসময় জানিয়ে দেয় ঘন্টা পেরিয়ে গেছে। তবু পড়ে থাকে বিভাসের দেহ। একসময় ফুঁসে ওঠে জনতা। পরে তাতে যোগ দেন সাংবাদিকরাও।
বিক্ষুব্ধ লোকজন ও সাংবাদিকরা জানান, বিভাসের জন্য কিছু না করলেও, একটি ল্যাব বাঁচাতে এসময় তৎপর হয়ে ওঠেন ওসি।
ধানমন্ডি থানার তরফ থেকে বলা হয়েছে, জনগণের জানমাল বাঁচানোর জন্যই এমনটা করেছেন তারা।
জবাবে বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা বললেন, সেদিন ল্যাবটির জন্য অতিরিক্ত মমতা/মায়া/আনুগত্য দেখেছি ওসির।
এতোসব বিতর্ক হলেও ওসিকে বহাল কেনো রাখা হচ্ছে?
সাংবাদিকরা দেখা করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শকের সাথে। কিন্তু, তিনি রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ।
বিক্ষুব্ধ কয়েকজন সাংবাদিক জানান, পুলিশ মহাপরিদর্শকের সাথে শীতল যুদ্ধ চলছে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে নুর তাপসের। ওসি নাকি তাপসের রিক্রুট।
আবার কেউ বলছেন, তাপসকে চাপে রাখতে বিতর্কটি জিইয়ে রেখেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক।
অভিযোগ যদি সত্যি হয় তাহলে কি বলা যেতে পারে ধানমন্ডি থানার ওসি তাপসের দাপনে পুলিশের চেইন অব কমান্ড মানছে না? নাকি তাপসের সাথে অন্য কোন ঝামেলার শোধ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শক ওসি'র ঘটনাকে পুঁজি করছেন?
আইজি-তাপসের দ্বন্দ্ব—দ্বিতীয় কিস্তি। পড়তে ক্লিক করুন: