আর মৌনতা নয়, শিশু যৌন হয়রানি বন্ধে আওয়াজ তুলুন

আমিনা মুন্নী
Published : 2 Jan 2017, 11:21 AM
Updated : 2 Jan 2017, 11:21 AM

শিশু যৌন হয়রানির বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে এদেশে সচেতনতামূলক উদ্যোগ তুলনামূলক কম। অথচ সামান্য সচেতনাই পারে এ বিষয়টি অনেকাংশে প্রতিরোধ করতে। আর এই সচেতনতার মূল দায়িত্বটি পালন করতে হবে অভিভাবকদের। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি। কারণ শিশু যৌন হয়রানির অধিকাংশ ঘটনাগুলো ঘটে নিকট আত্মীয় ও পাড়া-প্রতিবেশীর দ্বারা। এ বিষয়ে কোন বিশেষজ্ঞ না হওয়া সত্ত্বেও এই জাতীয় উপসংহারে যাওয়াটা অনেকের কাছে খানিকটা দৃষ্টিকটু মনে হলেও আমার শৈশবের অভিজ্ঞতা এবং পরিচিতদের কাছে শোনা সব ঘটনায় আসলেই এ উপসংহারে আসতে ভূমিকা রেখেছে।

আমাদের সমাজের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির কারণে অনেকেই আছেন শিশু যৌন হয়রানির এই বিষয়টি নিয়ে কোন কথা বলতে চান না। এড়িয়ে যান বা চেপে যান। এই এড়িয়ে যাওয়া বা চেপে যাওয়ার প্রবণতায় এদেশে শিশু যৌন হয়রানির হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় কারণ।

এ লেখাটি শুরু করার আগে আমি খানিকটা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগেছি। কেন বলছি। শুরুতেই বলেছি, অধিকাংশ হয়রানির ঘটনাগুলো ঘটে নিকট আত্মীয় ও পাড়াপ্রতিবেশীর দ্বারা। সুতরাং এ মন্তব্যের পর শৈশবে যে মানুষ আর পরিবারগুলোকে কেন্দ্র করে আমি বেড়ে উঠেছি তাদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তাই কারো সম্মানহানি না করে কঠিন সত্যিগুলো সঠিকভাবে বলতে পারাটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

শৈশবে আমার ধারণা ছিল, খুব বিশ্রি এই ঘটনাটা বোধহয় আমার সাথেই ঘটেছে। কিন্তু বেড়ে উঠার সাথে সাথে সহপাঠীদের সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম- না, এই বিশ্রী ঘটনাগুলো প্রতিনিয়ত আমার চারপাশের অনেকের সাথেই ঘটে চলেছে। কোন কোন শিশু এসব অস্বাভাবিক আচরণে এতোটা ভয় পেয়ে যায় যে মা-বাবার কাছেও তা শেয়ার করতে পারে না। অথচ বিকৃত রুচির মানুষগুলোর পশুসুলভ আচরণ এভাবেই বহু শিশুর শৈশব নষ্ট করে আসছে যা দীর্ঘমেয়াদে অনেকের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মাত্রার মানসিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এবার কিছু ঘটনা শেয়ার করছি। ঘটনাগুলো আমার এবং আমার মত ভুক্তভোগী অনেকের। আমার বাবার এক কলিগ ছিলেন। তিনি তখন নতুন এসে জয়েন করেছেন। আমি তখনো স্কুলে ভর্তি হই নি। অফিস আর অফিসের কোয়ার্টারগুলো একই জায়গায় হওয়ার কারণে আমি প্রায় বাবার অফিসে খেলতে যেতাম। আমার বাবার পাশের ডেস্কে এক ভদ্রলোক বসতেন। তিনি একদিন 'আসো মামনি' বলে আদর করার বাহানায় কোলে বসিয়ে অশোভন আচরণ করতে লাগলেন। এতোটা নিখুঁত ভঙ্গিতে তিনি অশোভন আচরণ করলেন যে পাশে বসে আমার বাবা পর্যন্ত ধারণাও করতে পারলেন না পাশের চেয়ারে তার একমাত্র মেয়ে কি ভয়াবহ আর বিকৃত অভিজ্ঞতার শিকার হচ্ছে। একই ধরনের ঘটনার শিকার হতে হলো খুব ঘনিষ্ঠ দু'জন প্রতিবেশীর কাছ থেকেও যারা কিনা ছিলেন আত্মীয়দের চাইতেও ঘনিষ্ট। যাদের ছেলেমেয়েরা ছিল আমার ঘনিষ্ঠ খেলার সাথী। যৌন হয়রানির এই কথাগুলো বড় হওয়া পর্যন্ত আমি পরিবার, খেলার সাথী বা সহপাঠী কারো সাথে শেয়ার করতে পারি নি। বড় হওয়ার পর যখন বুঝতে শিখলাম, তখন মনে হলো এই সত্যিগুলো প্রকাশ করা দরকার।

শিশু অবস্থাতে ভদ্রতার মুখোশ পড়া যে অসুস্থ মানুষগুলো আমাকে নোংরা উদ্দেশ্যে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করেছে, তারা যে অন্য কোন শিশুর ক্ষেত্রেও একই চেষ্টা চালায় নি সে কথা তো বলা যায় না। তার মানসিক বিকৃতির শিকার হয়তো আরো অনেকেই হয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ হয়তো ভয়ে আমার মতো পরিবারের কাছে লুকিয়েছে। কারো ক্ষেত্রে হয়তো জানা সত্ত্বেও পরিবারের অভিভাবকেরাই সম্মানের কথা ভেবে অথবা ঝামেলা হবে চিন্তা করে বিষয়টি চেপে গেছে। অথচ যদি ঘটনাগুলো ওই সময় তুলে ধরা হতো, প্রতিবাদ করা হত, তাহলে ওই বিকৃত মানসিকতার দুই প্রতিবেশীর ব্যাপারে অন্য অভিভাবকেরা সাবধান হয়ে যেত। মজার বিষয় হচ্ছে আমার যে খেলার সাথীর বাবারা অশোভন আচরণটি আমার সাথে করেছিলেন, তার নিজের মেয়েটিও বহুবার অন্যদের দ্বারা একই ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছে যা সে নিজে আমাকে বলেছে। অথচ আমি কখনো তাকে বলে উঠতে পারি নি যে একই দোষে তার নিজের বাবাও দুষ্ট।

শিশু যৌন হয়রানির আরো বীভৎস রূপটা জানতে পারলাম ভার্সিটিতে উঠার পর। সেখানে মেয়েদের হলে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে দেখলাম ৯৫ শতাংশেরই কম-বেশি এই অভিজ্ঞতা হয়েছে; যাদের অধিকাংশই ভয়ে এবং লজ্জায় পরিবারের কারো সাথে কখনো শেয়ার করতে পারে নি। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই কালপ্রিট ব্যক্তিটি হয় বাবার বন্ধু অথবা মায়ের বন্ধু, মাতৃ-পিতৃ সম্পর্কিত মামা, চাচা, রক্তসম্পর্কিয় ভাই অথবা ভাইয়ের বন্ধু, গৃহশিক্ষক এবং প্রতিবেশী। দূরের কেউ হঠাৎ একদিন কিছু সময়ের জন্য এসে আপনার আদরের সন্তানটির ক্ষতি করতে পারবে না। শিশু যৌন হয়রানির অতীত এবং বর্তমান চিত্র থেকে দেখা যায়, এই ধরনের হয়রানি তারাই বেশি ঘটায় যাদের সাথে আত্মীয়তা এবং যোগাযোগ বেশি থাকে।

যে মানুষগুলোকে বিশ্বাস করে পরমাত্মীয় মনে করে আপনি আপনার সন্তানকে সহজেই তার কাছে রেখে যাচ্ছেন, তার সাথে মিশতে দিচ্ছেন, সেই মানুষটিই হয়তো দিনের পর দিন আপনার শিশু সন্তান কে এ্যাবিউস করে যাচ্ছে। যৌন হয়রানির এই ঘটনা তাকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ করে দিচ্ছে অথচ আপনি জানতেও পারছেন না।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুযোগের অভাবে এসব ঘটনা হয়রানির পর্যায়ে থাকলেও যথাযথ সুযোগ পেলে তা রূপ নেয় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া আখিঁর মতো বীভৎস ধর্ষণের ঘটনায়। আর ঠিক এ কারণেই অভিভাবকদের উচিত এ বিষয়গুলো চেপে না রেখে জোরালো প্রতিবাদ করা। দোষীদের বিষয়ে অন্যদের সাবধান করে দেয়া যাতে এই ধরনের অপকর্ম যেন তারা আর ঘটাতে না পারে। দোষী ব্যক্তি তা তিনি যত নিকট আত্মীয়ই হোক না কেন বা যত বড় শুভাকাঙ্খী হোন না কেন, তার অপকর্মের প্রতিবাদ করতে হবে।

শিশু যৌন হয়রানি কিন্তু এমন নয় যে কেবল মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে ঘটছে। ছেলে শিশুরাও এসব বিকৃত চরিত্রের দ্বারা সমান হয়রানির শিকার হচ্ছে। অনেক অভিভাবক আছেন যারা মেয়ে শিশুদের বেলায় সাবধানতা অবলম্বন করলেও ছেলে শিশুরাও যে শারীরিক ভাবে হয়রানির শিকার হতে পারে, সে বিষয়টি ভেবে দেখেন না। অথচ বাস্তবতা হলো ছেলে শিশুরাও সমান ভাবে এই বিকারগ্রস্ত মানুষদের লালসার শিকার হয়। ভাবনার বিষয় এই যে যৌন নিযার্তনকারী এই মানুষগুলো কিন্তু সমাজের বাইরের কেউ নন। এই সমাজে আমাদের ঘিরেই তাদের বসবাস। তারা আমাদেরই, বাবা, ভাই, স্বামী অথবা স্বজন। তাই এদের বিকৃত কাম থেকে শিশু সন্তানদের বাঁচাতে অভিভাবকদেরই সচেতন থাকতে হতে হবে।

এই ধরনের ঘটনা ঘটলে অতি দ্রুত দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শিশুর আচরণের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। অধিক যত্নবান হতে হবে। বিশেষ কোন ব্যক্তি বা বিশেষ কোন বাড়িতে যেতে সন্তানের আপত্তি থাকলে তা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না, বরং বন্ধুত্বপূর্ণ উপায়ে কারণটা জানার চেষ্টা করতে হবে। জোরপূর্বক আপনার সন্তানের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ আদরের অছিলায় তার গায়ে হাত দিতে চাইলে তাকে বাঁধা দিতে হবে। কোন আত্মীয় বা প্রতিবেশির বিরুদ্ধে শিশু যৌন হয়রানির অভিযোগ আসলে আত্মীয়তার অজুহাতে তা চেপে যাওয়া যাবে না। বরং তার বিষয়ে পরিবারে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে অন্য অভিভাবকদের সাবধান করে দিতে হবে।

এদেশে শিশু যৌন হয়রানির সঠিক সংখ্যাটা জানা না গেলেও এর ব্যাপকত্ব সহজেই অনুমেয়। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয় হলো অভিভাবককে তাদের ব্যাপারেই সচেতন থাকতে হবে যারা তার নিকট আত্মীয়। বিষয়টি যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিংও বটে। কারণ এক্ষেত্রে পরিস্থিতি সামলে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভিভাবককে যথেষ্ট দৃঢ়তার প্রমাণ রাখতে হয়। গবেষণা থেকে জানা যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মস্থলে কর্মরত ছেলেশিশুদের ২৮ শতাংশ এবং স্কুলপড়য়া ছেলেদের ১৬ শতাংশ যৌন হয়রানীর শিকার হয়। কেবল ছেলেদের সংখ্যা যদি এতটা হয়, তাহলে মেয়ে শিশুদের বিষয়টা কতটা ব্যাপক সেটা সহজেই অনুমেয়।

বিকৃত এই কাজটি যারা করেন তারা 'পিডোফিলিয়া' নামক মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। শুনতে খারাপ হলেও এটাই সত্যি যে আমাদের চারপাশের অধিকাংশ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। আপনার অজান্তেই যদি আপনার সন্তান দিনের পর দিন এমন হয়রানির স্বীকার হতে থাকে, দীর্ঘ মেয়াদে তার ফলাফল হতে পারে ভয়াবহ। এটি আপনার সন্তানকে সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাহীন, অসামাজিক, মাদকাসক্ত করে তুলতে পারি, কোন নির্দিষ্ট জেন্ডার বা বয়সের মানুষের প্রতি তার ভেতর তীব্র ঘৃণা তৈরি হতে পারে। তবে গবেষকদের গবেষণা বলছে ছেলে শিশুদের থেকে মেয়ে শিশুদের প্রতিক্রিয়া হয় দীর্ঘমেয়াদি এবং অধিকাংশ মেয়ে শিশুই এ ঘটনাগুলো চেপে যায়।

অনেক অভিভাবক আছেন যারা নিরাপত্তার কারণে বাসার কাজের ছেলে, ড্রাইভার. মালী বা দারোয়ান এ জাতীয় মানুষদের কাছ থেকে শিশু সন্তানদের দূরে রাখেন। কিন্তু নিজেদের বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয়স্বজনদের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সজাগ থাকার প্রয়োজন বোধ করেন না। অথচ হয়তো এদেরই কেউ ভয়ঙ্কর ভাবে এদের সন্তানের মানসিক পীড়া আর অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশু যৌন নির্যাতনের বিষয়ে যারা মুখ খুলেছে তাদের অধিকাংশই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের দ্বারা এই ক্রাইমের শিকার হয়েছেন বলে শিকার করেছেন। তাই অভিভাবকদের বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। সন্তানকে তার বোধগম্য করে কিছু লক্ষণ এর কথা জানিয়ে দিতে হবে যাতে করে সে বুঝতে পারে, তার সাথে যেটা হচ্ছে সেটা ঠিক হচ্ছে না। তাকে সাহস জোগাতে হবে যেন এমন কোন পরিস্থিতির শিকার হলে সেটা যে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অভিভাবকের সাথে শেয়ার করতে পারে। মনে রাখতে হবে, এটি এমন একটি বিষয় যার সাথে আপনার সন্তানের মানসিক সুস্থতা ও ভবিষ্যত নির্ভর করছে। এ বিষয়ে অভিভাবকের উদাসীনতা এবং অমনোযোগ শিশুর ভবিষ্যত কে অন্ধকার করে দিতে পারে।

নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে লেখাটা শুরু করেছিলাম। শেষটাও করছি নিজের এবং চারপাশের মানুষগুলোকে দিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি তখন সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। কোন একদিন গল্পচ্ছলে শৈশবের এই বিকারগ্রস্থ ঘটনার কথা শেয়ার করলাম। অবাক বিস্ময়ে দেখি মোটামুটি এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সবার রয়েছে। পার্থক্য কেবল কম আর বেশিতে। আমার দুটো ভাতিজি আছে। মাত্র স্কুলে যেতে শুরু করেছে। নিজের পরিবারে যাতে এ জাতীয় অভিজ্ঞতার আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই ভাইয়া, ভাবী, আম্মু সবার সাথে একদিন বসলাম। ছোটবেলা থেকে যে কাছের মানুষগুলোর বিকৃত আচরণের কথা লুকিয়ে রেখেছিলাম, সেগুলো খুলে বললাম আর সেগুলোকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরে ভাইয়া ভাবীকে বুঝিয়ে বললাম, তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে। সেদিন পরিস্কারভাবেই আম্মুর চেহারাতে অপরাধবোধ দেখতে পাচ্ছিলাম। এই বিষয়গুলো নিয়ে খানিকটা সচেতন থাকলে অনেক অভিভাবককেই ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধবোধে ভুগতে হবে না।

শিশু যৌন হয়রানির এ বিষয়গুলো নিয়ে প্রত্যেক পরিবারে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত। সমাজের রক্ষণশীলতা আর লোকলজ্জার দোহাই দিয়ে আমরা প্রায়শই এমন অনেক বিষয় এড়িয়ে যাই বা চেপে যাই, যেগুলো আসলে চেপে যাওয়াটাও এক ধরনের অপরাধ। কারণ এ ধরনের নির্লিপ্ততার সুযোগ নিয়ে বিকারগ্রস্থ মানুষটি তার বিকৃত কাম চরিতার্থ করে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়। তাই শিশু যৌন হয়রানীর বিরুদ্ধে মৌনতা পরিহার করে আওয়াজ তুলতে হবে। পরিবার থেকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে 'পিডোফিলিয়া' নামক এই ভয়াবহ ব্যাধিটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে আওয়াজ তুলে শিশুর সুন্দর ও সুস্থ ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে।