বিআরটিএ বিজ্ঞপ্তি এবং ঢাকায় ‘উবার’ চলা না চলা

আশরাফুল আলম
Published : 27 Nov 2016, 08:19 PM
Updated : 27 Nov 2016, 08:19 PM

ব্যবসা শুরুর পরের দিনই কোন প্রতিষ্ঠানকে নিষিদ্ধ হতে হলো বাংলাদেশে। তাও আবার দুনিয়া কাঁপানো ৬০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি উবার (UBER) । মনে কি কিছু প্রশ্ন জাগছে না? ৬০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি এতো অবুঝ মতো একটা কাজ করতে পারে? মনে হয় না।

উবার একটা সফটওয়্যার কোম্পানি যা ট্যাক্সি সার্ভিসের অনলাইন সল্যুশন দিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু সফটওয়্যার বা অনলাইন বা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে এদের সার্ভিসটুকু দিয়ে থাকে আর কাস্টমার সাপোর্ট অনেকটা ভার্চুয়াল। এদের হেড অফিস আমেরিকার সান ফ্রান্সিস্কো শহরে আর এই মুহূর্তে আমেরিকাতে উবারের নামে ৭০টি মামলা কোর্টে বিচারাধীন আছে। উবারের বাংলাদেশে কোন অফিস নেই। সবচেয়ে কাছের উবার অফিসটি হচ্ছে ভারতের কলকাতায়। অমিত জৈন উবারের দক্ষিণ এশিয়া প্রেসিডেন্ট, মোটামুটি পৃথিবীর এই অংশের দেখাশুনা করেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশে উবার কিভাবে আসলো তাও আবার বিআরটিএ'র নিয়ম না মেনে?

আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ, সাপোর্ট কনসালটেন্ট উবার বাংলাদেশ। মাশীদ রহমান, কান্ট্রি এন্ড পলিসি এডভাইজার উবার বাংলাদেশ।কাজী জুলকারনাইন, সিনিয়র ম্যানেজার উবার বাংলাদেশ। নাম আর পদবীগুলো দেখে হয়তো ভাবছেন উবার মহাপ্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ অপারেশন শুরু করেছিল।   এদের সবার লিংকেডিন প্রোফাইল ঘেঁটে দেখলাম, এরা সবাই নিতান্তই ছেলেমানুষ আর ইন্টারনেট-ওয়েবসাইট  নিয়ে উঠতি বয়েসের ছেলেদের যেমন ফ্যান্টাসি থাকে এদেরও অনেকটা তেমন।

ঠিক এই মুহূর্তে উবারের এর সাইটে বাংলাদেশ এর জন্য জেনারেল ম্যানেজারের বিজ্ঞপ্তি আছে। সমস্যা হচ্ছে ঢাকাতে উবারের অফিস কোথায় সেটাই এখনো নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

(http://www.mercurynews.com/2016/07/04/uber-battling-more-than-70-lawsuits-in-federal-courts/)

২২শে নভেম্বর ২০১৬'তে গ্রামীণ ফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার ইয়াসির আজমান, অমিত জৈন, প্রেসিডেন্ট উবার দক্ষিণ এশিয়া আর আমাদের মাননীয় আইসিটি মন্ত্রী এক সাথে উবারের অফিসিয়াল স্টেটমেন্টসহ প্রেস রিলিজ প্রদান করেন। অর্থ্যাৎ গ্রামীণ ফোন, মাননীয় মন্ত্রী, উবার দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান আর উবার হেড অফিস এরা সবাই শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তারপর প্রেস রিলিজ প্রদান করেন। তাহলে ভুলটা করলো কে?

উবারের সাইটে প্রাপ্ত বক্তব্য এইরকম – "The world's largest on-demand mobility platform will be available in Dhaka (from today) to offer safe, reliable and affordable rides at the push of a button while opening up flexible, economic opportunities for driver-partners."

(http://en.chinagate.cn/2016-11/22/content_39762298.htm)

এই বক্তব্যের উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে শেষের দুটো শব্দ- ড্রাইভার পার্টনার।

অর্থাৎ বাংলাদেশে উবারের একটি ড্রাইভার পার্টনার আছে যারা উবারের কাছ থেকে অনলাইন এবং সফটওয়্যার সাপোর্ট কিনেছে। এক্ষেত্রে আসলে উবার পৃথিবীর সবখানে যা করে থাকে বাংলাদেশেও তা করেছে। আর গ্রামীণ ফোনের অংশটা হচ্ছে যেহেতু একটা মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে এই অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে তাই গ্রামীণ ফোন নিজেদের বিক্রি বা ব্যবসা প্রসারে তাদের প্রধান বিক্রয় বাবস্থাপককে পাঠান উবারের এই অনুষ্ঠানে। উবার ৬০ বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি। পৃথিবীর ৭৫টি দেশে প্রায় ৭০০ শহরে এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এবং অবশ্যই টেলিনর বা গ্রামীণ ফোন থেকে অনেক গুণ বেশি শক্তিশালী আমেরিকান ব্র্যান্ড। নিদেন পক্ষে গ্রামীণ ফোনের সিইও পদের একজনকে তো ওই দিন উপস্থিত থাকা দরকার ছিল।

উবারের  সাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর লাগবে । আর এই অনলাইন ইন্টিগ্রেটেড ভেরিফিকেশন শুধু মাত্র সম্ভব নির্বাচন কমিশন থেকে যদি এই ধরনের ভেরিফিকেশনের অনুমতি নিয়ে থাকে । এবং অবশ্যই উবারের এই অনুমতি আছে। তা না হলে উবারের সাইটে আমার দেশের জাতীয় পরিচয় পত্রের অনলাইন ভেরিফিকেশন কিভাবে হয়?

দেশের প্রায় সব কোটি ব্যাংক উবারের টাকা-পয়সার লেনদেন করে থাকে। কিভাবে করে বা কার একাউন্টে টাকা যায় এটা মুহূর্তের মধ্যে জানার কথা ব্যাংকগুলোর। যদি উবারের নিজস্ব কোন কর্পোরেট একাউন্ট না থাকে তাহলে উবারের সাইটে আমাদের দেশের প্রায় সবকটি ব্যাংকের তালিকা থাকা কি ভাববার বিষয় নয়?

এতো গেলো উবারের রহস্য কাহিনী কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা পর্যবেক্ষণের পর মনে হচ্ছে উবার ট্যাক্সি ঢাকার রাস্তায় আবার চলছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে উবারের আবির্ভাব আর বন্ধ হয়ে আবার চালু হওয়া থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, সরকারের এ ধরণের ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবসার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এখন যা করতে পারে তা হচ্ছে, প্রথমত, এই ধরণের ব্যবসায়িক ধারায় কারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তাদের চিহ্নিত করা এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া। এক্ষেত্রে খুব সহজে আপনি বলতে পারেন উবারের ফলে সরাসরি ক্ষতির সম্মুখীন হবে বর্তমানে প্রচলিত ধারার ট্যাক্সি ড্রাইভার, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, সরকারের রাজস্ব বিভাগ এবং উবারের যাত্রীরা ।

মূল ধারার ট্যাক্সি ড্রাইভারদের নিয়ে কিছু বলার নেই কারণ তাদের ক্ষতি সরাসরি এবং চোখে পড়ার মতো। কিন্তু সরকারে রাজস্ব আয়ের ব্যাপারটা একটু আলোচনা করা যেতে পারে । উবার প্লাটফর্মে টাকা-পয়সার লেনদেনে সরকার কিভাবে ট্যাক্স বা মূল্য সংযোজন কর আরোপ করবে এই ব্যাপারটি সরকারকে এখনি নির্ধারণ করতে হবে। আপনি যদি ভারতের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন উবার ভারতে নগদ টাকার লেনদেন করে থাকে। অর্থাৎ ভারত হচ্ছে একমাত্র দেশ যেখানে উবারের ভাড়া আপনি নগদে পরিশোধ করতে পারবেন। যদি উবার ভারতের জন্য এটুকু করতে পারে তবে আমাদের দেশে উবার অবশ্যই সরকারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে আসবে।এটা আমাদের সরকারে জন্য একেবারে যে নতুন কিছু তা কিন্তু না ।

বিটিআরসি বা সরকারের টেলিযোগাযোগ মনিটরিং সংস্থা খুব ভালো ভাবে টেলিকম খাতের সুরক্ষা করছে। যেমন ধরুন, আমাদের দেশের থেকে দেশের বাইরে একটা ফোন কল করতে গেলে সরকারি গেটওয়ে ব্যবহার করতে হয়। এতে করে সরকার মনিটর করতে পারে কয়টা কল হলো আর কত টাকা বিল হলো । ঠিক এইভাবেই উবারসহ সকল ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহারকারীদের একটা নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে নিয়ে আসতে পারে সরকার। আর এই ধরণের প্লাটফর্ম আমাদের সরকারের আছে। যেমন .bd ডোমেইন। এই ডোমেইন নিতে হলে বিটিআরসি'র মাধ্যমে অনেক যাচাই বাছাই করে ব্যাবসার ধরণ দেখে তারপর ডোমেইন পাওয়া যায় । ঠিক যেমনটা ইংল্যান্ডের জন্য .co.uk আর আমেরিকার জন্য .us এই রকম উবার তাদের বাংলাদেশ অংশের জন্য এই .bd ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করতে পারে। এর ফলে উবারের ওয়েবসাইটের বাংলাদেশ অংশের নিয়ন্ত্রণ আমাদের বিটিআরসি'র কাছে থাকব।  বিআরটিএ এবং বিটিআরসি'র মধ্যস্ততায় মিনিটের মাঝেই এটা করা সম্ভব।

এবার আসুন যাত্রীদের নিয়ে। ঠিক এই মুহূর্তে যাত্রীরা ভাবছেন অনেক কম ভাড়ায় তারা উবারে চড়তে পারবেন। আর এ কারণেই উবার নিয়ে তাদের এতো আগ্রহ। তবে এটা অনেকটা কমে যাবে যদি সরকার উবার এ জাতীয় অনলাইন ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সাইটের নিবন্ধন এবং মনিটরিং শুরু করে। বর্তমানে উবার ঢাকাতে তিনটি ট্যাক্সি কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ। মানে এই তিনটি ট্যাক্সি পরিবহন সংস্থাই কিন্তু উবার  বাংলাদেশ অংশের ড্রাইভার পার্টনার। এর মধ্যে ট্রাস্ট ট্যাক্সি পরিবহন সরাসরি সেনাবাহিনীর সংস্থা।

যাত্রীদের উবার নিয়ে অভিজ্ঞতা কিন্তু খুব একটা সুখকর নয়। বর্তমানে ঢাকাতে চলা উবারগুলো দৈনিক ভিত্তিতে চলছে। মানে বেস স্টেশন থেকে ড্রাইভারদের দৈনিক ২০০০ বা ৩০০০ টাকা করে দিচ্ছে আর এর বিনিময়ে এরা যাত্রী পরিবহন করছে । যেটা উবারের মূল ধারার সম্পূর্ণ উল্টো।

এভাবে কখনোই উবার বা অন্য যে কোনো রাইড শেয়ারিং কোম্পানি টিকে থাকতে পারবে না। যাত্রী হয়রানিও অবধারিত। কারণ দৈনিক ২০০০ টাকা তুলতে না পারলে পরের দিন নিশ্চিত কেউ রাস্তায় ট্যাক্সি নামাবে না আর যাত্রীরাও উবারের ট্যাক্সি অনলাইনে খুঁজে পাবেন না। যাত্রী অসন্তোষ হবে চরম।

উবার যে জিপিএসের মাধ্যমে দুরত্ব নির্ধারণ করে বিল করে তা নিয়েও বিভিন্ন দেশে উবারের সাথে আইনি লড়াই চলছে ড্রাইভারদের। সরকারের উচিত এই জিপিএস ব্যবহারের আগে সরকারি ভাবে অনুমতি দেয়া। এক্ষেত্রেও বিটিআরসি ভূমিকা রাখতে পারে ।

১০০০০ ডলারের উপর যদি কোনো সেটেলমেন্ট ক্লেইম থাকে তাহলে কিভাবে তা নির্ধারণ হবে বা এর নিচে থাকলে কিভাবে হবে এসব উবারের অফিসিয়াল সাইটে নির্ধারণ করে দেয়া আছে । তাহলে নিশ্চিত ভাবেই উবার ড্রাইভাররা বা যাত্রীরা সেটেলমেন্টের জন্য আবেদন করবেন। এটা হতে পারে উবার ট্যাক্সি চালানো অবস্থায় কোনো ধরণের দুর্ঘটনার কারণে বা অন্য কিছু। এক্ষেত্রে যাত্রী বা ড্রাইভার এদের জীবন বা দুর্ঘটনা বীমা কিভাবে সেটল করবে তা কিন্তু পরিষ্কার নয় আমাদের দেশে। সরকারের এই ব্যাপারটি নিয়ে সিদ্ধান্তে আসা প্রয়োজন ।

সিঙ্গাপুরে উবারের সাথে পাল্লা দিচ্ছে নিজেদের GRAB TAXI নামের এক কোম্পানি । আর সিঙ্গাপুর সরকার সংসদে বিল পাস্ করে এই দুই রাইড শেয়ারিং কোম্পানির ড্রাইভারদের জন্য আলাদা করে ট্যাক্সি ড্রাইভিং লাইসেন্সের পারমিট নিতে বাধ্য করেছে। এর কারণ সাধারণ যে ড্রাইভিং লাইসেন্স আমরা পাই তা কমার্শিয়াল না। ব্যক্তি তার ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ট্যাক্সি বা পাবলিক পরিবহন চালাতে পারবেন না । কিন্তু উবারের ক্ষেত্রে ব্যক্তি সাধারণ লাইসেন্স দিয়েই এই ট্যাক্সি চালাতে পারবেন।

http://www.straitstimes.com/singapore/transport/parliament-uber-grabcar-drivers-to-have-vocational-licences-undergo-background

আমেরিকাতে এই ধরণের লাইসেন্সকে বলা হয় টিএলসি লাইসেন্স। আপনি আপনার গাড়িকে উবার করতে পারবেন কিন্তু এর জন্য আপনার গাড়ির এবং আপনার নিজের ড্রাইভার লাইসেন্স বদলাতে হবে। আমাদের দেশে এটা করা খুবই জরুরি।

এবার আসুন উবারের স্বার্থ রক্ষা নিয়ে কথা বলি। উবারের ব্যাবসার ধরণ হচ্ছে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে প্রাইভেট গাড়ি মালিকদের এক্সট্রা কিছু আয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া। যেহেতু উবারের কোনো বেইজ স্টেশন নেই, এর মানে উবারের অপারেটিং খরচ বলতে শুধু অনলাইন মেইনটেনেন্সের জন্য যাবতীয় খরচ। উবার কিন্তু কোনো গাড়ির তেল বা গ্যাসের বিল বা ইন্সুরেন্স কিছুই দেবে না। সুতরাং উবারের স্বার্থ রক্ষা নিয়ে না ভাবলেও চলবে। কারণ উবারের ইনভলমেন্ট জিরো অপারেটিং খরচে। বরং সরকারিভাবে যখন উল্লেখিত বিষয়গুলোতে উবারের সংশ্লিষ্টতা চাইবে ধারনা করা যায়, উবার বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ হারাবে।


বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঢাকা শহরের অসহনীয় যানজট বা পরিবহন ব্যবস্থা থেকে রক্ষা পেতে উবারের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা ভাববার বিষয়। গবেষণা মতে উবার বাংলাদেশকে কখনোই নিজেদের জন্য ব্যবসা বান্ধব মনে করে না। তাহলে কেন উবার ঢাকাতে নিজেদের শাখা খুললো? এই ব্যাপারটি সরকারের ভালো করে খতিয়ে দেখা উচিত। কারণ উবারের  মতো ব্র্যান্ড আমাদের দেশে আসাটা যেমন সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে ঠিক তেমনই চলে যাওয়াটাও কিন্তু খারাপ। কারণ, দেশের ডিজিটাল প্লাটফর্ম কারিগররা আগ্রহ হারাবে । তাই সরকারের খুব দ্রুত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। কারণ এই মুহূর্তে উবারকে চেনে এমন হাজারো বিদেশি চোখ আমাদের কার্যকলাপ দেখছে আর বোঝার চেষ্টা করছে কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। হয়তো এর মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবসা বিষয়ক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে। সরকারের উচিত এখনই একটা নীতিমালা প্রণয়ন করা । এরপর উবার আসবে কি আসবে না সেটা সময়ের ব্যাপার। আমাদের দেশ এই ধরণের পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে এটা প্রমাণ করা খুবই জরুরি। বিআরটিএ যেভাবে নোটিশ দিয়ে উবার বন্ধ করে দিলো ঠিক সেভাবেই নীতিমালাগুলো পরিষ্কার করে নোটিশ দিয়ে দেয়া হোক। বাইরের দৃষ্টি দেখে বুঝতে পারবে আমরা ডিজিটাল প্লাটফর্মের জন্য প্রস্তুত ।