পর্দা না মানাই যৌন হয়রানীর প্রধান কারন

আতাস্বপন
Published : 21 April 2015, 03:38 AM
Updated : 21 April 2015, 03:38 AM

ইসলাম ধর্মে প্রত্যেক নারী ও পুরষের পর্দা ফরজ। শুধু নরীই নয় বা শুধুই পুরষই নয়। উভয়েরই পর্দা করতে হবে। সুরা নুরে এই বিষয়ে মহান আল্লাহ বিস্তারিত বলেছেন। একজন মুসলমান হিসেবে যদি নিজেকে মনে করলে তার অবশ্যই পবিত্র কোরআন আর হাদিস শরিফ থেকে পর্দার শিক্ষা নেযা উচিত। চোখের পর্দা, হাতের পর্দা, কানের পর্দা, হাতের পর্দা সর্বসাকুল্যে দেহের পর্দা করতে হবে। নারী ও পুরুষ এর মধ্যে অবাধ মেলামেশায় একটা সীমা ইসলাম টেনে দিয়েছে। এটা অতিক্রম করা নারী পুরুষ কারোই উচিত নয়। সিস্টেম লস হলে বিপত্তিতো ঘটবেই।

ছেলেরা বলে মেয়েদের পোষাক ঠিক নেই । মেয়েরা বলে ছেলেদের চরিত্র ঠিক নেই। চরিত্র জিনিসটি যদি তাকওয়ার পোষাক দ্বারা আবৃত হত তাহলে নারী পুরুষ কেউই বিপদে পড়তো না। কেউ কাউকে দোষ দেবার প্রযোজন পরত না। নারী পুরুষ উভয়ের জন্য উত্তম পোষাক হল তাকওয়ার পোষাক। মানে আল্লাহর ভয়। সবধর্মের জন্য যদি বলি ইশ্বরের ভয়। আল্লাহ আমায় সর্বাবস্থায় দেখছেন। আল্লাহ ভিতি কিভাবে একজন মানুষকে চরিত্র বান করে তা বুঝতে হলে তাকওয়া সম্পর্কে সাম্যক ধারনা দরকার।

একটা গল্প বলি,,,,,,,,,,,,, এক লোক হুজুরের কাছে যেযে বলে হুজুর আমি মেয়ে দেখলেই কেমন জানি হয়ে যাই। খালি বদ মতলব মাথায় ঘোড়ে। একটা উপায় বাতলান । নয়তো জাহান্নাম হবে আমার ঠিকানা। হুজুর বলল দেখ মিয়া! তোমার ঘরে মা আছে?
হ আছে।
বোন আছে?
আছে
কেউ যদি তোমার মা আর বোনের দিকে কু নজরে তাকায তোমার ভাল লাগব
না হুজুর
তাইলে তুমি অন্যের মা বোনের দিকে কু নজরে তাকাইলে তাগোতো খারাপ লাগে । আজ থেইকা এই কথা ভাববা দেখবা আল্লায় তোমারে সহিহ রাস্তা দেখাইবো।
হুজুর । কথাটাতা সত্য বলছেন তবে সবাই যদি মা বোন হয় বৌ হইব কেডা?
দেখ মিয়া‍‍! কু নজরে তাকাইয়া বেগানাগা বৌ ভাবা গুনার কাজ। তুমি তাকওয়ার পথে আস।
এইডা আবার কি?
এই নাও এইাখানে দুইটা কাচের শিশি আছে এগুলা তোমার গলায় ঝুলাইয়া দিলাম। গলা থেইকা এগুলান নামাইবানা। সোজা বাসায় যাইবা। আর খেয়াল রাখবা একটা শিশি যাতে আরেকটার লগে বাড়ি না লাগে খুব সাবধানে হাটবা । কাইল এই দুইডা শিশি নিয়া আমার কাছে আসবা। এরপরে তোমার সমস্যা সমাধান করমু।

পরদিন শিশি দুইটা গলায় ঝুলানো অবস্থায় খুশি খুশি মনে হুজুরের কাছে ঐ লোক হাজীর। হুজুর এই নেন আপনার শিশি। সম্পূর্ণ অক্ষথ আছে। একটারে আরেকটার লগে লাগতে দেই নাই। খুব সাধানে ছিলাম।
তুমি মিছা কথা কইতাছো । আমার বিশ্বাস হয় না। আচ্ছা কওতো দেখি তুমি যখন রাস্তাদিয়া হটাতাছিলা তখন তোমারে কে কে দেখছে?
হুজুর রাস্তাদিয়া এমন সাবধানে হাটতে ছিলাম যে, কারো দিকে তাকানোর সুযোগইতো পাই নাই।
কেন? রাস্তায় কোন মাইয়ালোক দেখ নাই।
কি কইলাম হুজুর এমন সাবধান ছিলাম শিশি দুইটারে নিয়া এমন ব্যস্ত ছিলাম পেত্নী গেল হুরপরী গেল টের পাই নাই
কাইল তুমি জিজ্ঞাসা করছিলা তাকওয়া কি? বাবা এই যে তুমি সবাধান ছিলা একটা ভয় ভয় ভাবে ছিলা কখন কি হয় কখন কি হয় এর নাম হইল তাকওয়া। এই তাকওয়া তোমারে ডাইনে বামে তাকানির ফুরসত দেয় নাই।

আসলে তাকওয়া যার মধ্যে আছে সে সারক্ষন আল্লহর ক্রোধ থেকে বাচার জন্য সাবধান থাকে। আরে এই সাবধানতাই তকে যাবতিয় নষ্টামি থেকে ফিরিয়ে রাখে। যারা একনিষ্ঠভাবে ধর্ম চর্চা করে তাদের মধ্যে কুলষ কালিম আসতেই পারে না। তাই ধর্মী অনুশাষন মানার মধ্যেই রযেছে আসল মুক্তি

পুরুষ বা নারী আসুন সবাই পর্দা করি। পর্দাতেই রয়েছে পোকামাকরের হাত থেকে মুক্তি। আমরা খাবার ঢেকে রাখি। কেন?
যাকে তাতে কোন কিছু না পরে। খাবরের পর্দা করি কিন্তু শরিরের পর্দা কেন করি না? শরিরতো আক্রান্ত হতে পারে?
চিন্তা মননে পর্দা করতে হবে। মনতো কুলিষিত হতে পারে? শালিন ভাবে সবসময় জীবন যাপন করলে নিরাপত্তা হীনতার সম্ভাবনা কম। তাই আবারও আহবান জানাই আসুন আল্লাকে ভয় করি । সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করি। দেখবেন সব মুশকিল আসান হয়ে গেছে।