মানবতা বনাম নিরাপত্তা

বাহার রায়হান
Published : 8 Sept 2017, 06:13 AM
Updated : 8 Sept 2017, 06:13 AM

.

সিএনএন, আল-জাজিরা, বিবিসি সহ বিশ্বের সব দামি নিউজে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে মানবতার দেশ বাংলাদেশ। নিজের চোখে দেখতে পেলে নিজের দেশের সুনাম কত ভালো লাগে বুঝাতে পারবো না। রোহিঙ্গাদের পাশে বাংলাদেশ। দেশের সকল স্তরের মানুষ আজ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্যক্তি, সংগঠন সহ অসংখ্য সংস্থা।

গত ১২ দিনে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সীমান্তে তারা কোন রকম আশ্রয়টুকু পাচ্ছে। বদনা থেকে শুরু করে খাবার পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় যা দরকার তা দিয়ে যাচ্ছে। হয়তো সবাই চাহিদা অনুযায়ী পাচ্ছে না। তারপরেও সর্বচ্ছো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকরা। জানিনা কত দিন এইভাবে আমরা সাহায্য করতে পারবো!

জানা গেছে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও আমেরিকা বার্মাকে সাপোর্ট দিচ্ছে। এই দেশ গুলোর নাম আলাদা করে বলার কি আছে, পৃথিবীর ৯০% দেশ তো চুপ। জাতিসংঘ বিবৃতি একটা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছে। জাতিসংঘ যদি চায় এই সমস্যা কি এক সাপ্তাহে সমাধান দিতে পারে না? আসলে কেউ চাচ্ছে না বার্মাকে চাপ দিতে। রাখাইন রাজ্যে রয়েছে তেলের খনি। যে লোভে সবাই জিব্বাহ বের করে আছে।

এক রোহিঙ্গার মুখে শুনেছি তাদের ধরে ধরে মেরে ফেলছে, জবাই করে দিচ্ছে, শিশুদের কেও জবাই করে দিচ্ছে সেই বাস্তব চিত্র গুলো এখনো কেউ কোথাও দেখাতে পারেনি। বাংলাদেশের সীমান্তে যা চলছে তা দেখছি, অনেকে ভীবৎস ছবি, ভিডিও আপলোড দিচ্ছে তা একে বারে ভুয়া।

নেট সবার হাতে হাতে কিন্তু তা এনালাইস করার ক্ষমতা বাংলাদেশের মানুষের খুব কম আছে। বিশেষ করে যদি কেউ ধর্ম কে একটু ব্যবহার করলে হল সেটা যা হোক বিশ্বাস করে নিবে। এটা কে ধর্মের প্রতি ভালবাসা বলে না, অন্ধ বিশ্বাস বলে।

যা হোক বাংলাদেশে তিন লক্ষ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে, এই  তিন লক্ষ মানুষকে কে খাওয়াবে? কে জায়গা দিবে? আপনি বলছেন তারা চলে যাবে। আচ্ছা ধরে নিলাম তারা চলে যাবে, সবাই কে পাঠিয়ে দিতে পারবেন? যারা রয়ে যাবে তারা কি পরিচয়ে থাকবে?

বাস্তব একটি কাহিনী বলি……

আমার এলাকার পাশাপাশি এলাকা কাকারা ইউনিয়নের আওতায় বারআওলিয়া নগর ১ নং ওয়ার্ড। এই খানে যারা ঘর করেছে কেউ স্থানীয় নয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা। তার মধ্যে রোহিঙ্গা অর্ধেক। যারা বর্মা থেকে এসেছে সবাই বিয়ে করে নিয়েছে কয়েক মাসের মধ্যে। কাদের? বাংলাদেশি অশিক্ষিত মেয়েদের। অনেকে তো এসএসসিও দিতে পারে নাই বিয়ের জন্য। আবার দালালেরও অভাব নাই। কিছু টাকা দিলে সুন্দর মেয়ের মায়ের সামনে ছেলের প্রসংশা করতে থাকে। বিয়ে করার সময় তো মোটা অংকের টাকা যৌতুক হিসেবে থেকবেই। বিয়ের কয়েকমাস পর ছেলে কিছু করবে না, মেয়ের বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে, ঐ টাকা যত দিতে পারে ততদিন ভালো চলে। হঠাৎ খবর পাই ছেলে পালিয়ে গেছে। এইবার বলুন।

তাদের শারীরিক আচারণ, ইয়াবা চালান, খুন, দেহ ব্যবসা সহ অন্য বিষয় তুলে ধরলাম  না।

সাম্প্রতি কিছু ব্যক্তির পোস্ট দেখে খুব হাসি আসে, তারা সচেতন শিক্ষিত নাগরিক। বাংলাদেশের বর্ডার নাকি খুলে দেওয়া উচিৎ! তারা মুসলিম তাই বলে। ইতিমধ্যে কয়েকটা পাহাড় কেটেছে, কিছু রোহিঙ্গা কক্সবাজার শহরে বাসা ভাড়া করে নিয়েছে বিদেশ চলে যাবে বাংলাদেশের পাসপোর্ট করে। তাদের সমস্যা সমাধান হলে আমার পাহাড় কি এনে দিতে পারবে? বিদেশ গিয়ে মানুষ হত্যা করবে, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এইভাবে নষ্ট করে।

বাহার উদ্দিন রায়হান

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়