রাজউকের অভিযান যেন রাতের আঁধারে পকেট ভরার অভিযান না হয়

বাংগাল
Published : 18 Jan 2016, 07:36 PM
Updated : 18 Jan 2016, 07:36 PM

রাজউক অভিযানে নেমেছে। রাজউক আগেও অভিযানে নেমেছিল কয়েকবার। আমরা দেখেছি রাজউক দিনে অভিযান করে গেছে , রাতে টাকা কালেকশন টিম ফিল্ড অভিযান করে পকেট ভরে টাকা নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করেছে ।

বিগত সামরিক সরকার গুলোর আমলে একই ঘটনা ঘটেছিলো । রাজউক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার এক মাসের মধ্যে পূর্বাবস্থায় ফিরে এসেছিলো সবকিছু ।

ভাংচুরের শিকার এবং অবৈধ দখলদার , ফুটপাথ দখল করে র‍্যাম্প বানানো এমনকি রেস্টুরেন্ট দোকান মার্কেট এবং ডায়গন্সটিক সেন্টার বানানো বড় বড় ভবন মালিকরা রাজউকের কোন কোন কর্মকর্তাকে বিপুল অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে এক মাসের মধ্যে আগের অবস্থায় ফেরত গিয়েছিলো ? জাতি জানতে চায়।

আগে সেই সব খাদক রাজউক কর্মকর্তাদের সনাক্ত করুন, অভিযান অব্যাহত রাখুন ।

অথবা অভিযান শেষ হবার পর আবার যদি ভবন / মার্কেট মালিকরা আগের অবস্থায় ফেরত যায় তবে অভিযান পরিচালনাকারীদের গ্রেফতার করে কৈফিয়ত চাইতে হবে । কারণ সবাই জানে , অভিযান পরিচালনাকারীরাই পরবর্তীতে দফারফা করে থাকে ।

ব্যস্ত রাস্তার উপর অবৈধ পারকিং এ সহায়তাকারী সরাসরি পুলিশ বিভাগ । ধানমন্ডী তে সিটি কলেজ মোড় থেকে ২৭ নং রোডের মোড় পর্যন্ত প্রত্যেকটা মার্কেট, ডায়গনস্টিক সেন্টার , হাসপাতাল , রেস্টুরেন্ট, স্কুল একটি বিশেষ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সাথে মাস হিসাবে চুক্তি করে রাস্তায় অবৈধ পারকিং এর বন্দোবস্ত করে দেয় । প্রত্যেকটা ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ড পারকিং ভবন মালিকরা ভাড়ায় দিয়ে সম্পূর্ণ ফুটপাথ জুড়ে গাড়ী পার্ক করার ব্যবস্থা রাখে । ধানমন্ডি ২ নং সড়কের পপুলার হাসপাতালের সামনে তিন সারি গাড়ী পারকিং করে রাস্তা অচল করা কি পুলিশের অজান্তেই হয় ? অসম্ভব । মিরপুর রোডের মার্কেট গুলো একই কায়দায় চলে ।

আমরা দেখতে চাই এবারের অভিযান লোক দেখানো নয় , আমরা দেখতে চাই রাতের আঁধারে ভবন মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযান নয় এটা ।