শব্দ দূষণ ও আমাদের নাগরিক জ্ঞান

মনিরুল ইসলাম
Published : 7 Oct 2015, 06:26 PM
Updated : 7 Oct 2015, 06:26 PM

ঢাকা শহরে নাগরিক বিড়ম্বনার সীমা নেই। বায়ু দূষণ, পানি দূষণ ও শব্দ দূষণ মানুষের জীবনকে দিন দিন অতিষ্ট করে তুলছে। বায়ু দূষণ ও পানি দূষণ থেকে বাঁচতে যথাযত কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন প্রয়োজন হলেও শব্দ দূষণ থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সাধারণ জনগণের আন্তরিক সচেতনতা। যত্রতত্র কলকারখানার পাশাপাশি জনগণ সব থেকে বেশি শব্দ দূষণে আক্রান্ত হয় রাস্তায় চলন্ত যানবাহনের অযথা বাজানো হর্ণের শব্দ থেকে। রাস্তার পাশে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি ও হাসপাতালের সামনে হর্ণ না বাজানোর সাইনবোর্ড থাকলেও কোন গাড়ীর চালকই তার তোয়াক্কা করে না।

আমাদের অনেকই এখন শব্দের সহনীয় মাত্রার থেকে অতি উচ্চ শব্দের মাত্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যা আমাদের নীরবে মারাত্মক ক্ষতি করে চলেছে। চালকেরা একটু সচেতন হলে অপ্রয়োজনে হর্ণ না বাজিয়ে এবং অতি প্রয়োজনে হর্ণ বাজালে ঢাকা শহরের রাস্তার শব্দ দূষণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আমরা যে যানবাহনের যাত্রী হয় না কেন যদি কোন চালক অপ্রয়োজনে হর্ণ বাজায় তবে তাকে হর্ণ না বাজাতে নিষেধ করতে পারি। অযথা হর্ণ বাজানো যে একটি আদবহীন কাজ তা আমরা উন্নত দেশ আমেরিকাতে দেখতে পায় কারণ সেখানে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে হর্ণ বাজনোকে একটি আনস্মার্ট কাজ বলে বিবেচিত হয়। এই মানসিকতাটি আমরাও লালন করতে পারি।