মুক্তিযুদ্ধের অজানা-অলিখিত ইতিহাসঃ বাসুদেবস্মরণ বনাম বাউধরন !

সংকলক
Published : 29 Oct 2011, 04:50 PM
Updated : 29 Oct 2011, 04:50 PM

মোঘল , বর্গি , ইংরেজ ক্রমান্বয়ে এল , এ গায়ে কিংবা আর পাঁচ-দশ গাঁয়ে যে আর্থ-রাজনৈতিক পরিবর্তন সেভাবেই বোধকরি পরিবর্তন হয়েছিল কিংবা হয়ে থাকবে। চারিদিকে নলুয়ার হাওর বেষ্টিত । চারিদিকে জল আর জল । যেদিকে চোখ যায় অথৈ জল । বছরের প্রায় আট মাস জলবেষ্টিত থাকে এই গ্রামসহ আশেপাশের সহোদর গ্রামগুলি । ঠিক উত্তর-পূর্ব দিকে থানা/উপজেলা সদর , আর উত্তর-পশ্চিম জেলা শহর । সোজা দক্ষিণে মাইল দুয়েক হাঁটলেই কুশিয়ারা নদী । আর্থ-রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনে তাই এই গ্রাম কিংবা আশেপাশের গ্রামগুলোর যে ভূমিকা কিংবা চিন্তা-ভাবনা নাই তা এতোটা সরল করে বলা যায় না । কারণ

হেমন্তে নাও , বর্ষায় পাও

এই আপ্ত বাক্যটি কিন্তু এই গ্রাম কিংবা আশেপাশের গ্রামগুলোর ক্ষেত্রে পুরাই গরহাজির । যেখানে স্রোতস্বিনী কুশিয়ারা তৎকালের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সিলেট-ভৈরব বায়া ঢাকা লঞ্চ সার্ভিস আজোও খুঁড়িয়েখুঁড়িয়ে তার সাক্ষ্য বহন করে যাচ্ছে । তো এইসব ভাঁটির জনপদের মানুষজনদের কীভাবে বলি যে , কালপরিক্রমায় এঁরা গরহাজির ?

আজ এই গ্রামগুলো মোবাইল কোম্পানির আকাশছোঁয়া টাওয়ারের উচ্চতায় খর্বকায় । পল্লীবিদ্যুতের তারে গ্রামগুলো প্যাঁচানো , বিদ্যুতের রোশনাই নয় , আজও গ্রামগুলো কুপিবাতি নয়তো বেনিয়া কর্পোরেট দোকানের সৌরবাতির ঝিলিকে চোখে ঝিঁঝিঁপোকা দেখে মাসকাবারি সুদসমেত সৌরবাতির কিস্তি জমা দিতে দিতে চোখে সর্ষেফুল দেখছেন । তো বলছিলেম , ইংরেজ সাম্রাজ্যের রোশনাই কাটতে না কাটতেই এলো পাকিস্থান জমানা । চারিদিকে তুমুল আন্দোলন-সংগ্রাম । ১৯৪৭-১৯৫২ , ১৯৬৯-'৭১ হয়ে যে বৈপ্লবিক ফলাফল হল তাতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হয় । এটা মোটাদাগে বলা সত্যকথন , তয় ভয়াবহতা , প্রাণহানি-বেবুশ্যতাকে একেবারেই উপস্থাপন করে না বললেই চলে । আমার কথা সেটাও না । তবে এর সাথে এই সময়কালের গভীর সংযোগ আছে বিধায় এই ভূমিকার অবতারণা করলাম ।