ভারত-পাকিস্তান মিসাইল উৎক্ষেপণ: খেলার পরিবর্তন নাকি শুধু পাঁয়তারা?

সংকলক
Published : 13 May 2012, 03:49 AM
Updated : 13 May 2012, 03:49 AM

ভারত ১৯শে এপ্রিল, ২০১২ তারিখে এর অগ্নি ভি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) সফলভাবে পরীক্ষামূলক-নিক্ষেপ করেছে। ৫,০০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি ভি ভারতের মিসাইল সক্ষমতাকে ক্রমবর্ধমানভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং চীনের কাছাকাছি জায়গায় নিয়ে আসছে। পরের সপ্তাহে পার্শ্ববর্তী পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম মিসাইল শাহীন ১-এ-এর সফল পরীক্ষামূলক-উৎক্ষেপন করেছে।

পিঠাপিঠি এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সামাজিক ও মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার এবং মন্তব্য পেয়েছে। বিশেষ করে, ক্রমশঃ তুঙ্গে উঠা দক্ষিণ এশিয়ার অস্ত্র-প্রতিযোগিতা এবং অঞ্চলটির সামগ্রিক নিরাপত্তার উপর এর প্রভাব সম্পর্কে নেটনাগরিকরা অনলাইনে জীবন্ত আলোচনায় লিপ্ত হয়েছে।

ভারত এবং পাকিস্তান জুড়ে অনেক নেটনাগরিক জাতীয়তাবাদী জোশ নিয়ে নিজ দেশের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সম্পর্কে বাগাড়ম্বরে জড়িয়ে পড়লেও, পাকিস্তানী ব্লগমণ্ডলে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্যের কিছু কিছু কঠোর সমালোচনা হয়েছে। এটিকে "দ্বৈতমান" আখ্যায়িত করে লাহোরভিত্তিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়াসমিন আলী পাকপটপুরি২ ব্লগে লিখেছেন::

এখানে অঞ্চলটির মধ্যে একটি দেশকে সমর্থনের অথবা চীনের একটি প্রতিবন্ধক হিসাবে আচরণ করার প্রয়োজন। নিশ্চিত পছন্দটি হলো: ভারত। আঞ্চলিক কর্তৃত্বের এই খেলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখানে যে বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছে সেটি হলো আপনি বোতল থেকে দৈত্যটিকে বের করার পর এটি কিন্তু বোতলে ফিরে যেতে অস্বীকার করবে। তার বের হওয়ার মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ার পর, একদিন এটি তার প্রভুর উপর চড়াও হবে।