“ভারত-বাংলা গ্রন্থ ও লেখক উৎসব”

admin
Published : 8 Nov 2007, 05:15 AM
Updated : 8 Nov 2007, 05:15 AM

'ভারত-বাংলা গ্রন্থ ও লেখক উৎসব' বিষয়ে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি পাওয়া গেছে তাতে লিখিত হয়েছে, 'ভারত ও বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক প্রখ্যাত লেখক, কবি, অনুবাদক, সম্পাদক এবং প্রকাশক' 'এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন'। ভারত থেকে অনেক লেখক যোগদান করলেও বাংলাদেশের লেখকদের তেমন অংশগ্রহণ এ উৎসবে ছিল না। এ ধরনের ঘোষণার জন্য লেখকদের তরফে যে রকম অংশগ্রহণ দরকার ছিল বাংলাদেশ অংশের তেমনটি না থাকায় এ উৎসব মৃদু রহস্যের জন্ম দিয়েছে। উল্লেখ্য, প্রায় এক যুগ আগে অমর একুশে বই মেলায় ভারতীয় বই বিক্রয় নিষিদ্ধ করার পর এই 'ঢাকা ঘোষণা' দু দেশের প্রকাশনা শিল্পে হয়ত কিছু আশার সঞ্চার করবে। যেহেতু ভারসাম্যপূর্ণ বিনিময়কে ঘোষণার ১ নম্বরেই স্থান করে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের অধিকাংশ লেখকই এ ঘোষণা সম্পর্কে উৎসব সমাপণান্তে অবগত হয়েছেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি হুবহু বিধৃত হলো:

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
(নভেম্বর ০৭, ২০০৭)

সাধনা, রাইটার্স.ইনক ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস, ঢাকার সহায়তায় নভেম্বর ২-৬, ২০০৭ পর্যন্ত "ভারত বাংলা সাংস্কৃতিক উদ্যোগ" শীর্ষক একটি সমন্বিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানের আওতায় "ভারত-বাংলা গ্রন্থ ও লেখক উৎসব" শিরোনামে এক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ভারত ও বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক প্রখ্যাত লেখক, কবি, অনুবাদক, সম্পাদক এবং প্রকাশক ৫ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

উৎসব শেষে গত ৬ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে অংশগ্রহণকারীগণ 'ঢাকা ঘোষণা' নামে একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন ঘোষণাপত্রের উল্লেখযোগ্য অংশগুলো, যেগুলো ভবিষ্যতের কর্মসূচি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, নিম্নরূপ :

১। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গ্রন্থ ও অন্যান্য প্রকাশনাসমূহের ভারসাম্যপূর্ণ বিনিময়ের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করা:

২। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও আধুনিক সময়ে তা অক্ষুন্ন রাখা এবং বিশ্ব প্রকাশনার ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যগুলি চিহ্নিত করণ :

৩। উক্ত প্লাটফর্ম থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সাহিত্যকর্মের প্রতি উৎসর্গ করে প্রকাশিত বছরে কমপক্ষে একটি প্রকাশনা থাকতে হবে :

৪। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি সদস্য তাদের প্রকাশনা থেকে বছরে অন্ততঃ একটি লেখা ভারত ও বাংলাদেশের সাহিত্যকর্মকে উৎসর্গ করার চেষ্টা করবেন :

৫। সদস্যগণ কমপক্ষে বছরে একবার ভারতে নতুবা বাংলাদেশে একত্রিত হবেন।

*****