সৌদি আরবের সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতা!

ডাকপিয়ন
Published : 2 Jan 2011, 11:34 AM
Updated : 2 Jan 2011, 11:34 AM

ব্যক্তি কিংবা বস্তু পূজার পুঁজিবাদী রূপ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ অমুক তমুক অথবা হাবিজাবি প্রতিযোগিতা। আর এ কাজে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ইউরোপ। এখানে মহাদেশ ভিত্তিক আয়োজন প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়নি। সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে ধর্মভিত্তিক আযোজন প্রতিযোগিতা। এশিয়ার সাথে ইউরোপ ইত্যাদি প্রতিযোগিতার বদলে আমরা দেখছি ইহুদী/খ্রিস্টান বনাম মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিযোগিতা। এইতো, সৌদিআরবে চলছে শ্রেষ্ঠ সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতা। হতে পারে ইউরোপের সুন্দরী মানবী নির্বাচনকে খোঁচা মেরে সৌদি আরব পশু নির্বাচনে নেমেছে। পশুকে পুঁজি করে মুসলমান মানবদের এ ধরনের মনুষ্য ঠোকাঠুকির বিশেষ দিক আসলে কি?

শ্রেষ্ঠ সুন্দরী নারী নির্বাচনের নিরব প্রতিবাদ হিসেবে সুন্দরী ছাগল নির্বাচন নাকি মুসলমানদের পশুর প্রতি নারকীয় ঐতিহ্যের আধুনিক রূপ হিসেবে এ চর্চা? ভিন্ন আরেকটি রূপও আছে যার দিকে যেতে হয় একটু ঘুরি প্যাঁচিয়ে। এমনও হতে পারে যে, এ ছাগল প্রতিযোগিতা দিয়েই শুরু। তারপর উট, দুম্বা, রাজ সদস্য, বিদেশী প্রভু এবং সর্বশেষ লাফিয়ে লাফিয়ে ঘরের ভেতর লুকিয়ে রাখা স্ত্রী কন্যা প্রতিযোগিতা! অবশ্য সেসবের আগে ইসলামিক তকমা লাগাতে ভুলবে না পৃথিবীর অন্যতম গোঁড়া এ ধর্মরাষ্ট্র।

ইহুদী খ্রিস্টানদের পাশাপাশি আলোচনায় থাকতে চেয়ে এসব হাস্যকর ঘটনার জন্ম দিয়ে কৌতুকের যায়গায় আরবদেশ সমূহ একক আধিপত্য রাখতে সক্ষম হবে। হুমকী হিসেবে কেবল কিউবা, ভেনেজুয়েলার মতো কিছু তথাকথিত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র আছে। যারা ধীরে ধীরে প্রাইভেটাইজেশনের দিকে ঝুঁকছে।

দেখা যাক ধীরে ধীরে আমরা সৌদি আরবের আর কি কি প্রতিযোগিতা দেখার সৌভাগ্য অর্জন করি।