বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ভাষণ: এডমন্টনে গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় জাহিদ

দেলোয়ার জাহিদ
Published : 26 March 2017, 08:41 AM
Updated : 26 March 2017, 08:41 AM

বাংলাদেশ হেরিটেজ সোসাইটি অব আলবার্টা প্রবাসে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ও স্বাধীনতার মর্মবাণীকে পৌঁছে দেয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ও প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশে গণহত্যা স্মরণ এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসকে উদযাপন করেছে।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কানাডা এর নির্বাহী ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব অব আলবার্টা সভাপতি দেলোয়ার জাহিদ প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাসুদ ভুঁইয়া।

আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের দাবি ও যৌক্তিকতা তুলে ধরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কানাডা এর নির্বাহী দেলোয়ার জাহিদ বলেন, '২৫মার্চ ১৯৭১ এর সার্চলাইট অপারেশন থেকে শুরু করে ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচার হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও করে স্বাধীনতাকামী বাঙালির কণ্ঠকে বুলেট দিয়ে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু তারা সফল হয়নি কারণ আপামর জনতা এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে। স্বসস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।'

সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণটি এ প্রজন্মের শিশু কিশোরদের বাজিয়ে শুনানো হয়। ভাষণটির উপর পর্যালোচনা করেন সভার প্রধান অথিতি। তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাষণটিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ভাষণ আখ্যা দেন এবং একে বাঙালির উদ্দীপনের যাদুমন্ত্র বলে বর্ণনা করেন। এতে ভাবাবেগ ছাড়াও রাজনৈতিক মহাত্ম্যের যে কারুকাজ রয়েছে সে পূর্ণতার চিত্র তুলে ধরেন।

প্রধান অথিতি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসকে খুঁজে পেতে কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, পুলিশ ও সিপাহী-জনতার কৃতিত্বকে তৃণমূল থেকে অনুসন্ধানে করতে বলেন। এসময় বর্ণাঢ্য কারুকাজ ও শৈল্পিক বিন্যাসে হেরিটেজ সোসাইটির সহ-সভাপতি ফয়সল ভুঁইয়ার ছবি প্রদর্শনীর ভুয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজনের নাম পাঠ, কোরআন তেলোয়াত এবং আলোচনা করেন কিশোর আনাস আইহাম ও আনবের আইহাম এবং শামসুর রহমানের কবিতা পাঠ করেন ফারহানা কাদের। মনোজ্ঞ আলোচনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন।

সভার সভাপতি বলেন, মেজর জিয়ার কন্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণাও বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিলো। যার যার অবদান ইতিহাসে তার নিজস্ব স্থান দখল করে আছে।