বেহুলার বাসর ঘর ও দর্শনার্থীদের হয়রানি

দীপেশ রায়
Published : 4 May 2015, 06:29 AM
Updated : 4 May 2015, 06:29 AM

এমন নির্মম ভাবে কে ভেঙ্গে ফেলেছিল বেহুলার বাসর ঘর!!! কোন প্রতিহিংসার আগুণ নিভিয়েছিল কে ??? নাকি ভেঙ্গে পড়েছিল এমনিতেই ??? শত-সহস্র বছর পরে এসে কেবল দল ধরে সেখানে দেখতে যাওাই কি সব। একবারও কি কোন প্রকার প্রশ্ন জাগে না? এখানে এক দিন মানুষ বাস করত এই ঘরে। তারা ঘুমাত আমাদের মতো করে , তারা হাসত, গাইত, নাচত, সুখ-দুঃখ্যের কথা বলত। ঘৃণা করত আবার ভালবাসত, সেদিনও এমনি করে রাত্রি গড়িয়ে সকাল, দুপুর গড়িয়ে আসত সন্ধ্যা, আরশী-কাকই আর তেলের শিশি নিয়ে মেয়েরা বসত চুল বাঁধতে। উকুন বাছত, একে অপরে গাল টিপে আলোচনা করত স্বামীর ভালবাসার কথা। সব কিছু আজ শ্মশানের নীরব দেশে…..!!! হতে পারত সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম তীর্থ স্থান। হতে পারত সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্যেও গরুত্ব পূর্ণ স্থান। প্রত্নতত্ব বিভাগের অবহেলিত তত্বাবধানে সেখানে চলছে পয়সার খেলা। প্রত্নতত্ব বিভাগ থেকে নির্ধারিত টিকেটের মূল্য =১০/=(দশ) টাকা। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে দেখলাম, ওখানে প্রবেস দ্বারে দায়িত্ব্যরত কর্তৃপক্ষ টিকেটের মূল্য =২০/=(বিশ) টাকা সীল তৈরী করে, প্রত্নতত্ব বিভাগের নির্ধারিত টিকেটের মূল্য =১০/=(দশ) টাকা থেকে আরও অতিরিক্ত =১০/=(দশ) টাকা নিচ্ছে দর্শনার্থীদের কাছ থেকে।
অমরা যে কোন দুর্নীতির জন্য চট করে দায়ী করে বসি দেশের সরকারকে। কিন্তু এর জন্য কেন দেশের সরকার দায়ী হবে? তবে কে দায়ী হবে? আমি বলব, আমাদের বিবেক। আমরা এমন এমন ঘর থেকে উঠে এসছি যে, অর্থের লোভটা সামলাতে পারি না। বড় দুঃখ্য হয় তাই আজ আমার বাংলা-বাঙ্গালার জন্যে….!!!!
০৩.০৫.২০১৫ খ্রীঃ
Dipeshroy21@gmail.com