মিরপুরে মা ও শিশু হাসপাতাল – সোনামণিদের কষ্ট, কান্না

আকাশের তারাগুলি
Published : 7 June 2011, 10:00 AM
Updated : 7 June 2011, 10:00 AM

মা ও শিশু হাসপাতাল। অবস্থান মিরপুর ২ এ হার্ট ফাউন্ডেশন পরবর্তী গলি দিয়ে একটু ভিতরে। শিশু ও মায়েদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। প্রতিদিনই প্রচুর পরিমান রোগীর আসা যাওয়া। একজন শিশু নামেই যথেষ্ট সেনসেটিভ। যখন হাসপাতালে আসে সে রোগী হয়েই আসে।

কিন্ত হাসপাতালে ঢোকার মুহুর্তেই যে বিড়ম্বনা পোহাতে হয় তাতে একটি সুস্থ শিশুই অসুস্থ হয়ে যাবার যথেষ্ট কারন রয়েছে, আর সেখানে একটি শিশু রোগীর অবস্থা যে কি করুন হয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রধান সড়ক থেকে মাত্র ১৫০-থেকে ২০০ মিটার পথ হবে বড়জোর। রাস্তাটির অবস্থা বড় করুন ভাংগা, রিক্সা বা কোন বাহনে যেতে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করা ছাড়া কোন উপায় নেই। সব চেয়ে কষ্টকর হলো সড়ক থেকে গলিপথে ঢুকতেই সিটি কর্পোরেশনের ৩ টি বিশাল ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। এই তিনটি ডাস্টবিন পার হতে সুস্থ মানুষেরই পেট উগড়ে বমি চলে আসে সেখানে একটি ফুলের মত শিশুর কি অবস্থা হয় বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক সময় শিশুটি সঠিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাঘাতের কারনে চোখ বড় বড় করে ফেলে। সবচেয়ে আশ্চর্য লাগে কতৃপক্ষ কোন বিবেকের বলে হাসপাতাল লাগোয়া রাস্তায় ডাস্টবিন স্থাপন করে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ এসব ব্যপারে কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা, কে জানে। নিলে শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন ডাস্টবিন স্থাপিত হয়ে দুর্গন্ধ পরিবেশ হতো না।

এবার আসি সবচেয়ে মজার ঘটনায়, যে গলি দিয়ে হাসপাতালে ঢুকতে হয় ঐ গলির বিপরীতেই আমাদের নাগরিক সেবা দানকারি প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের আঞ্চলিক অফিস। তার অদূরেই আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনি পুলিশের কার্যালয়। কি আজব দুই দুইটি প্রতিষ্ঠান থাকা সত্বেও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে ডাস্টবিন বহাল তবিয়তেই রয়েছে। সামান্য ২০০ মিটার ভাংগা রাস্তা মেরামত হয় না কিংবা মেরামতের দীর্ঘসুত্রিতা।

কর্তৃপক্ষ কি পারেনা শিশু হাসপাতালের কোমল মতি রোগীদের জন্য এই যত সামান্য সমস্যার সমাধান করে দিতে? আমার ধারনা এই কাজ টুকুর জন্য সিটি কর্পোরেশনের এমন কোন বিশাল কর্মযজ্ঞ পালন করতে হবেনা । সচেতন ভাবে একটু পদক্ষেপ নিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাব। শিশুগুলো কষ্ট থেকে রেহাই পাবে।