বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশ ও কক্সবাজার

দর্পন চোখ
Published : 7 Jan 2012, 03:36 AM
Updated : 7 Jan 2012, 03:36 AM

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে আমরা একটু তাকালেই দেখতে পাই তাদের রাজস্ব আয়ের মধ্যে পর্যটন শিল্প চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের কথা বাদই দিলাম আমাদের এশিয়া মহাদেশের মধ্যেই মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালদ্বীপ, নেপাল ইত্যাদি তারই উদাহরণ। বাংলাদেশেও পর্যটন শিল্প বিকাশের পথ মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইলেন্ড, মালদ্বীপ, নেপালের চেয়ে কম নেই কিন্তূ পর্যটন শিল্প বিকাশের প্রতি সরকারের তেমন সুনজর না থাকাই বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প বিকাশ স্থবির হয়ে আছে। কুয়াকাটা এমন এক পর্যটন এলাকা যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়। কিন্তূ যোগাযোগ ব্যবস্থা এতই খারাপযে পর্যটক কুয়াকাটা যেতে আনীহা প্রকাশ করে। আতচ এই যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকারের তেমন সুনজর পরিলক্ষীত হয়না। কক্সবাজার বিশ্বের আন্যত্ম দীর্ঘ সমূদ্র সৈকত আবস্থিত যা দেখার জন্য বছরের ৩৬৫ দিন পর্যটক ভিড় করেন কক্সবাজার। পর্যটক শুধু দীর্ঘ সমূদ্র সৈকত দেখতে ভিড় করেন না কক্সবাজারে ওখানে আছে শৈবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, রামূর বৌদ্ধ মন্দির, হিমছড়ির ঝর্না, ইনানী সমূদ্র সৈকত, বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক দুলাহাজারা ইত্যাদি। কিন্তূ এই কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকারের তেমন কোন উদ্যোগ নেই যা গ্রহন করা হয় তা পরবর্তী স্থবির হয় কিংবা বাতিল হয়। যেমন বিগত সরকারের সময় কক্সবাজারের জন্য একটি স্টেডিয়াম আনুমোদন দেওয়া হয়েছিল কিন্তূ তৎকালীন সরকারের যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী উনার এলাকায় নিয়ে যায়। কক্সবাজারের বিমান বন্দর আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য আনুমোদন দেওয়া হয় কিন্তূ তার কাজের কোন চিহ্ন মাত্র নেই। সৈবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন টেকনাফেরও দক্ষিনে আবস্থিত। কক্সবাজার থেকে টেকনাফের দুরত্ব ৮৫ কিমি যার সম্পূর্নটাই খারাপ এবং এক লেইনের যাতে দুটো গাড়ী ক্রসিং করা খুবই কষ্টকর এতে পর্যটকদের আনিহা চলে আসে। তাই আশা করি কক্সবাজারের বিমান বন্দর দ্রুত আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলে সড়ক ব্যবস্থাও উন্নীতকরণ করে এবং বিদেশী পর্যটকদের জন্য আলাদা এক্সক্লুসিভ জোন করে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকার সুবিবেচনা করবে।