১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আল শামস যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল সেই যুদ্ধাপরাধ তথা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইতোমধ্যে দুইজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া বিচার শেষে ট্রাইবুনালে মৃত্যুদন্ড ঘোষিত হয়েছে এমন আরো বেশ কয়েকজনের আপিল হাইকোর্টে বিবেচনাধীন আছে। এদের মধ্যে যারা আপিলে হেরে যাবেন, তারা হয়তো আগের দুইজনের মতই (কাদের মোল্লা এবং কামারুজ্জামান) রিভিউ পিটিশন করবেন। রিভিউতে রায় বহাল থাকলে তারপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রান ভিক্ষা না করলে অথবা প্রানভিক্ষা প্রত্যাখাত হলে তাদেরকেও ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে। ইতোমধ্যে যে দুটি রায়ই কার্যকর করা হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এরপর যারা পাইপ লাইনে আছে, তাদের ফাঁসিও হয়তো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই কার্যকর করা হবে।
কাদের মোল্লার অন্যতম প্রধান অপরাধস্থল মিরপুর। কামারুজ্জামানের অপরাধস্থল শেরপুরের বিধবাপল্লীতে। সাকা চৌধুরী অপরাধ করেছেন চট্টগ্রামে। সরকারের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধঃ যুদ্ধাপরাধের বিচার সংক্রান্ত আইনে একটা ছোট্ট সংশোধন কিংবা নতুন ধারা সংযোজন করুন। যে যেখানে অপরাধ করেছেন, তার ফাঁসি হবে সেখানেই। প্রয়োজনে একটা মোবাইল ফাঁসির মঞ্চ বানানো হোক। ফাঁসির নির্ধারিত দিনে মোবাইল মঞ্চটি অপরাধী যেখানে অপরাধগুলি করেছেন, সেখানে নিয়ে গিয়ে ফাঁসির রায় ঘটনাস্থলেই কার্যকর করা হোক। এতে করে শহীদদের আত্মীয় স্বজন যারা বেঁচে আছেন তারা কিছুটা হলেও মনে শান্তি পাবেন। আর অনাগত দিনগুলোর জন্যও এটা একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।