অনেকের মত আমারও মনে হয়, প্রকৃত রাজাকারদের বিচার নীতি নির্ধারক মহল সহ অনেকেই চান না। নইলে সারাদেশের প্রকৃত রাজাকার, আলবদর, আল-শামসদের তালিকা করা হচ্ছে না কেন_ যেভাবে করা হয়েছে মহান মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা। ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনকে অপমানকারী (যদিও গাড়ী পোড়ান ও কোর'আন অবমাননা মামলায় আটক) ঐ সকল গুটি কয়েক ব্যাক্তি কি ছিল_ নাকি অন্য দলেও তারা আছে,তারও তালিকা বের হতো। পত্রিকায় তো প্রায় আসছে আওয়ামী, বি এন পি ও এরশাদের দলেও বড় বড় রাজাকার আছে।তাছাড়া, ৩০ লাখ শহীদের তালিকাও নির্যাতিত মা-বোনদের তালিকাও কোথাও খুজে পাওয়া যায়না! এমনকি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরেও এসব তালিকা খুজে পাইনি। আপনাদের কাছে থাকলে বলবেন। তাছাড়া, শুনেছি এদের তালিকা নাকি করাই হয়নি, এ কেমন দেশপ্রেমিক আমরা! আমাদের মত নবপ্রজন্মদের প্রশ্ন, কেন এমন লুকোচুরি! অথচ এখনো আদমশুমারীর মতোই সারাদেশে প্রশাসনিকভাবে জরীপ চালিয়ে প্রকৃত শহীদের সংখ্যা ও তালিকা, প্রকৃত রাজাকারদের সংখ্যা ও তালিকা, লাঞ্ছিত মা-বোনদের সংখ্যা ও তালিকা ইত্যাদি নিরুপন করা কি অসম্ভব নাকি উদ্দেশ্যমুলকভাবে করা হচ্ছে না, তাই প্রশ্ন!
একদল রাজাকারদের পক্ষে রেখে রাজনীতি করতে চায়, আরেকদল তাদেরকে বিচারের নামে নাটক করে ফায়দা লুটতে চায়। বস্তুত এদেশের আপামর জনসাধারণ অবশ্যই এদের বিচার চায়।
নিজামী সাঈদীদের অসংখ্য অপরাধের প্রমান যদি সরকারের হাতে থাকে তবে নানা কায়দায় নানা জায়গায় রিমান্ডের প্রয়োজন কী, বুঝে আসেনা। আবার প্রমান খুঁজতে খুজতেও দেখি তারা হয়রান!! যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালেও বার বার সময় নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে হিমশিম খায়! যদিও ৪ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্ট সম্প্রতি দাখিল হল; সাঈদী আবার একাই ২ লাখ মা-বোনকে ধর্ষন করেছে বলে সরকারী উকিল হায়দার সাহেব ট্রাইবুনালে অভিযোগ করলেন, তাহলে নিজামীসহ আর লাখ লাখ জামায়াতী কত লাখকে ধষন করেছে আল্লাহই জানেন!! তাই কি জনগন পত্রিকার জরীপমতে, হরতালের পক্ষে ৮০% সমর্থন দিতে বাধ্য হলো?
রাজাকার সব দলেই আছে, তাহলে কি করা হচ্ছে অবিরাম তামাশা , চলছে রং নিয়ে রং এর হলি খেলা!! জলের উপরে তরী ভাসিয়ে চলছে জল নিয়ে খেলা_ জল ডুব ডুব জল খেলা, ভিজে চুপ চুপ মন মেলা। জাতির মনে তবে কি আজ এই প্রশ্ন!
সম্পূরক লেখা: সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না