তার মৃত্যুতে পাহাড় হারিয়েছে সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ আলোকবর্তিকা।
সেলিব্রেটপ্রাইড
Published : 1 July 2015, 06:47 PM
Updated : 1 July 2015, 06:47 PM
গেল কয়েকদিন ধরেই স্বল্প বৃষ্টিতেও ফেসবুকাকাশে রঙধনুর ব্যাপক সাজ প্রকাশ! স্বয়ং ফেসবুক গুরু মার্ক জাকারবার্গ ও তাঁর জীবনসঙ্গীনি প্রিসিলা চ্যানও রঙধনু ঝড়ে আক্রান্ত! এমনকি আমেরিকার ভবিষ্যত কর্ণধার হিলারী ক্লিনটনও গর্বের সাথে 'All Love is Equal' বলে নির্বাচনী ভাষণ দিয়ে বেড়াচ্ছেন! এসব গণ্ড মূর্খ আমেরিকানরা ডেড সী, সামূদ জাতি বা লুত নবীর কেচ্ছা কাহিনীর 'ক' ও জানে না! জানলে কী আর এমন করে ঢাকঢোল পিটিয়ে ম্যারিজ ইকুয়ালিটি সেলিব্রেট করে?
আব্রাহামিক পুরাণ মতে, আজ থেকে ৩১০০ বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান ও ইসরাইলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ডেড সি বা মৃত সাগরের স্থানটিতেই ছিল সামূদ গোত্রের আবাসস্থল 'সদম ও গোমরা' নগর। এই নগরের অধিবাসীরা ব্যাপক সমকামিতায় জড়িয়ে পড়লে মহান প্রভু তাদের সংশোধনের জন্য লুত (আঃ)কে নবী হিসেবে পাঠান। কিন্তু ঐ জাতি লুত (আঃ) এর আহবানে সাড়া না দিয়ে পৌরানিক ভাষায় নিকৃষ্ট কু-কর্ম সমকামিতা চালিয়ে যায়। রেগে গিয়ে মহান প্রভু তাদের ওপর আসমান থেকে অগ্নিকুন্ড নিক্ষেপ করেন এবং তাদের নগরকে উল্টিয়ে ধ্বংস করে দেন।
কিন্তু আমরা অতি শিক্ষিত ও ধর্মাচারী বাঙালিরা কিন্তু এসবের সব জানি! তাই ফেসবুকে 'Hate Rainbow' ঝড় তুলেছি! সেই ফেসবুক…!
প্রচণ্ড রঙধনুয়াল জাকারবার্গ যার মালিক! আর প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছি 'রঙধনু' বা 'ইকুয়াল লাভে'র আধুনিকতম সূতিকাগার আমেরিকার বানানো উইন্ডোজ, এন্ড্রয়েড বা অ্যাপল!
৩১০০ বছর আগের ডেড সি'র সাদাসিধা সামূদ জাতির মানুষের ব্যাপারে কঠিনতর সিদ্ধান্ত নিতে মহান ঈশ্বরকে দু'বার ভাবতে হয়নি! কিন্তু এবার অতি বুঝদার ও দুর্দান্ত চতুর বাঙালির ব্যাপারে মাটি উল্টে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে মহাদ্বন্ধে পড়ে গেছেন ঈশ্বর! ভয়ঙ্কর রঙধনুবাজ আমেরিকার বানানো ফেসবুকে আমেরিকারই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেসব বাঙালি 'হেইট রেইনবো' তে অনুভূতি সরব করলেন তাদের ভিটেমাটি উল্টে দেবেন, নাকি যারা 'প্রাইড সেলিব্রেটে' (#Celebratepride) গা ভাসালেন, তাদের!
দ্বিচারিত্রিক বাঙালি মনুষ্য প্রজাতির প্রকৃত বিভাজন খুঁজতে গিয়ে মহান ঈশ্বরও আজ জেরবার…!!!
পাদটীকাঃ আমরা 'রেইনবো হেইটার' তাই সিনেপ্লেক্সে গিয়ে প্রিয়তমা স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে, তাঁর কাঁধে হাত রেখে, স্ন্যাক্স খেতে খেতে আর কখনো অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্রাড পিট অভিনীত বা স্টিভেন স্পিলবার্গ নির্দেশিত কোনো আমেরিকান মুভি দেখব না! আমেরিকায় পড়াশোনা বা গবেষণা করতে যাব না। আরক্ষা প্রশিক্ষণ নিতেও যাব না। আমেরিকার ফেসবুক, গুগল, জিমেইল, হটমেইল, ইয়াহু, ইউটিউব, উইন্ডোজ, এন্ড্রয়েড, অ্যাপল সবই ইকুয়াল লাভ তথা রঙধনুর দুর্গন্ধযুক্ত! তাই ভুলেও এসব ছুঁয়ে দেখব না। আমাদের ভুলে কখন না জানি আবার বিশ্ব ব্রম্মান্ড উল্টায়ে যায়!
ফারদিন ফেরদৌসঃ লেখক ও সাংবাদিক
০২ জুলাই ২০১৫
facebook/fardeen.ferdous
twitter/fardeenferdous
এ সম্পর্কিত খবর
ছবি তুলে বিপদে পড়ে যাওয়ার অবস্থা আমাদের পাঁচ বন্ধুর। শেষ পর্যন্ত ৬০০ টাকা দিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাই আমরা।
এখন অনাদরে জন্মাতে দেখা গেলেও বিষকাটালী গাছ ও এর ব্যবহার ক্রমশ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এমনটা বলছেন গ্রামের অনেকে।
