চিত্রকরের রঙিন ক্যানভাস আমাদের গ্রামখানি!

ফারদিন ফেরদৌসফারদিন ফেরদৌস
Published : 18 April 2016, 01:27 AM
Updated : 18 April 2016, 01:27 AM

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মারতা গ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে চিলাই নদী। কালের পথে হাঁটতে গিয়ে বয়সের ভার আর অযতনে শীর্ণকায় দেহখানি তার। এখন মেদবিহীন চিকনাই শরীরের সরু খাল। তবু কী রূপ তার! মুগ্ধ পরিব্রাজকের চোখ সরে না। চিলাই'র সবুজাভ পাড় ঘেষে বোরো ধান কাটার এই মৌসুমে সোনালী ধান আর খড়ের সাথে কিষাণ কিষাণির কর্মমুখর অনিন্দ্য দিনগুজরান আবহমান বাংলার চাষবাস সভ্যতারই সাক্ষ্য দেয়। এখানকার প্রাণ-প্রকৃতি এমন যেনবা ধ্যানমগ্ন চিত্রকরের রঙিন ক্যানভাস।


এমন গ্রামের টানেই হয়ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাণভরে পঙক্তি রচনা করেছিলেন-

ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে
লুটিয়ে যায় ধুলায় রে।।
ও যে আমায় ঘরের বাহির করে,
পায়ে-পায়ে পায়ে ধরে
মরি হায় হায় রে!!

আর আমাদের পল্লীকবি জসীম উদ্দিন বুঝি এই গ্রামখানি দেখেই বলেছিলেন-
তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়;
মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি
মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি,
মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়,
তুমি যাবে ভাই – যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়,

ছোট গাঁওখানি- ছোট নদী চলে, তারি একপাশ দিয়া,
কালো জল তার মাজিয়াছে কেবা কাকের চক্ষু নিয়া!!

ছবিঃ মারতা গ্রাম, শ্রীপুর, গাজীপুর।
০২ বৈশাখ ১৪২৩। ১৫ এপ্রিল ২০১৬!