আবুল হোসেন নামের এই লোকটিতে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক হয়। দুই পা-ই শক্তিহীন মানুষটিকে দুই টুকরো কাঠকে অবলম্বন করে হাতের উপর ভর দিয়ে পথ চলতে হয়। দৌঁড়ে পালাতে পারে, সে সক্ষমতা তার নেই, দেখলেই বোঝা যায়।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে পঙ্গু ব্যাক্তিটিকে পুলিশ পাহারারত অবস্থায়ও হাতকরা পরানো রয়েছে! কি প্রয়োজনে এই লোকটিকে হাতকড়া পড়ানো হয়েছে, সেটা এক বড় প্রশ্ন? তাহলে কী চলত্শক্তিহীন এই পঙ্গু লোকটি পুলিশ সদস্যদের পরাস্ত করে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে পারে, এই শংকায়! সেই শারীরিক সক্ষমতা যে লোকটির নেই, দেখলেই বোঝা যায়। তবে কী এটা পুলিশের কর্তব্যের বাধ্যবাধকতা? সে ও তো হতে পারে না। কারণ আবার তো দেখা যায় কখনও কখনও হাতকড়া ছাড়াও কোনো কোনো অভিযুক্তকে স্থানান্তর হতে!
তাহলে এটা কি অমানবিকতা নয়?