হৃদয়ের ভালোবাসায় কৃষ্ণসেবা

গৌতম বুদ্ধ পাল
Published : 25 August 2016, 05:21 PM
Updated : 25 August 2016, 05:21 PM

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, গৃহ আঙ্গিনায় ফুটে যে কুসুম তাই, দেই দেবতারে, আর পাব কোথা দেবতারে প্রিয়ে করি প্রিয়ারে দেবতা খায় যেন মোর সকল ভালোবাসা প্রভু তোমার পানে যার যেন মোর সকল গভীর আশা প্রভু তোমার কানে। তোমার কানে। এজগত স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসারমধ্যেই মানুষের জন্ম। একটি শিশু জন্ম গ্রহন করেই মায়ের ভালোবাসা লাভকরে,এবং শিশু ও মায়ের ভালোবাসা পেয়ে মার বুক ভালোবাসায় জড়িয়ে বুকের দুগ্ধ পান করে ধীরে ধীরে শিশুটি বড় হয়। এবং পিতা ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজনের ভালোবাসায় দিনে দিনে বড়হতে থাকে। তার পর একদিন মারকুল ছেড়ে প্রতিবেশী খেলার সাথীদের সঙ্গেভালোবাসায় খেলতে শিখে।

খেলিতে খেলিতে ঐ খেলার সাথীদের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধন গড়ে উঠে। তারপর জ্ঞান অর্জনের জন্য বিদ্যালয়ে যাওয়া। সেখানে গিয়ে আবার সহপাঠীদের ভালোবাসায় জীবনের নতূন এক ভালোবাসার গুঞ্জন খুলে যায়্সহপাঠীদের সংঙ্গে অধ্যায়নের সাথে সাথে ও খেলাধুলার সাথে সাথে তাদের সাহচর্য্যে জীবনের উন্নত একটি পর্য্যায় আসে। তাদের মধ্যে থেকে বন্ধুবান্ধব আপনমনের মানুষ ভালোবাসার মানুষ পেয়ে জীবন একটি অভিনব আনন্দে অতিবাহিত হতে থাকে। এ শিক্ষাজীবনেই আসে জীবনের যৌবন।

এযৌবনে জীবনের আকুল পরিবর্তন নিয়ে আসে পূর্বের সকল বালোবাসার মধ্যে এক র্যেবনের নবজাগরণে জীবনের সকল দিকের পরিবর্তন নিয়ে আসে যৌবনের আনন্দকে, জীবনের উপলব্ধি করার জন্য চিন্তা চেতনা ভাবনা এবং হৃদয়ের ভালোবাসার নতূন সাথী খোঁজে আর তারই ফলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ছেলের ভালোবাসা আর মেয়ের ভালোবাসা মিলে সংসারে পরিবারের রুপ নেয় , আর তারই ফলে ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। এখন এই ভালোবাসা সন্তানের দিকে দিকে এবং পরে ঐভালোবাসা মায়ারুপ ধারণ কলে।

আরও নীচের দিকেনাতি নাতনীর দিকে কামনায় জড়িত হয়ে আট সিড়িঁ যথা – (১) বিষয় চিন্তা (২) সঙ্গ (৩) কাম(৪) ক্রোধ(৫) সংমোহ(৬) স্মৃতিবিভ্রম (৭) বুদ্ধিনাশ বিনাশ, অর্থাৎ ঘোর অন্ধকার যমালয়ে স্থিতি। তখন যদি ঐ স্বামী স্ত্রী চিন্তা করে ভাবনা করে, আমাদের মানব জীবনটি কি ভাবে স্বার্থক হবে আমাদের ভালোবাসার কিভাবে উর্দ্ধগতি হবে , আমার কি প্রভু আছেন? আমি কে, কোথায় ছিলাম, কোথায় যাব, ইত্যাদি প্রশ্ন জীবন জিজ্ঞাসা জাগে।

তবেই কোন সৎসঙ্গ প্রভাব জীবনের নতূন দিক উন্মোচিত হওয়ার সমম্ভবনা দেখা দেয়। তখন সৎগুরুর আশ্রয় ভাগবত সেবায় জীবনকে উৎসর্গ করতে পারলেই মানব জীবন সার্থক হওয়ার সম্ভবনা। তখন ঐ ভালোবাসার উর্দ্ধগতি লাভ করে প্রথমে বিজ্ঞানময় স্তরে পৌঁছে তারপর আরও সাধনার ধারা আনন্দময় প্রেমের স্তরে পৌঁছে ধীরে ধীরে প্রণয় রাগ অনুরাগ ভাব মহাভাব রূপ আর্বিভূত স্তরে উঠে । শুভ জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালে আমরাও প্রতিজ্ঞা করি একে অপরকে ভালবাসব। হৃদয়ের গভীরতম ভালবাসায় শ্রীকৃষ্ণের সেবা করব। ভয়কে করব জয়।