ইতিহাসের সাক্ষী ‘কল-রেডী’ এবং ঐতিহাসিক মর্যাদা প্রাপ্তির দাবিদার

আশফাক আবীর হাসিব
Published : 11 March 2016, 07:16 PM
Updated : 11 March 2016, 07:16 PM

ইতিহাস কথা কয়। কত ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে এসেছে আমাদের স্বাধীনতা। আত্মদানের পাশাপাশি আরও কত ত্যাগ কতভাবে স্বাধিকার আন্দোলনকে বেগবান করেছে, সফলতার শিখরে নিয়ে গেছে তা নিরুপন করা দুষ্কর। প্রতিটি আন্দোলন, সংরাম সফল করতে নানামুখি প্রচেষ্টা দরকার। বাঙলার স্বাধীনতার আন্দলনের প্রতিটি ধাপের সাথে তেমনি কিছু নাম ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নিরবে-নিভৃতে। অতীত খুঁড়ি, খুঁজে ফিরি স্বজাতির গুলিবিদ্ধ কড়োটি। ভাষা আন্দোলনের পরেই বাংলাদেশে পাকিস্তানের নিপিড়নের ইতিহাস ক্রমেই দীর্ঘ হতে থাকে এবং সেই সাথে বাড়তে থেকে মিছিল-সমাবেশ। মিছিল সমাবেশ হলেই সেখানে প্রয়োজন হত মাইকের। আর '৫২ পরবর্তী সময়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে "কল-রেডি" মাইক সার্ভিস জড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হিসেবে। কল-রেডি সার্ভিস ইতিহাসের এক অনবদ্ধ অংশ। ১৯৭১ এর সেই অগ্নিঝরা উত্তাল সময়ে কল-রেডি মাইক সার্ভিস ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হয়েও শুধুমাত্র দেশের স্বার্থে সেবা দিয়ে গেছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ এর ও ইতিহাসিক ৭ই মার্চের সমাবেশেও যোগ দিয়েছে কল-রেডী। কল-রেডীর মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এবং স্বাধীনতা পরবর্তীকালের জাতীয় নেতৃবৃন্দ। স্বাধীনতা পরবর্তী কালেও কল-রেডি'র মাইক সার্ভিস সমান ভাবে সেবা দিয়া যাচ্ছে। কিন্তু সময় এসেছে ভেবে দেখার যে, কলরেডি কি তার প্রাপ্য সম্মান মর্যাদা পেয়েছে? কী পেলাম আর কি দিলাম ?

'কল-রেডী' মাইকের ইতিহাস সম্পর্কে বিভিন্ন গনমাধ্যম ও ইতিহাসবিদের কাছ থেকে অল্প-বিস্তর জানা যায়। প্রাপ্ত তথ্যের কিছু অংশ উল্লেখ করছি।

বিক্রমপুরের শ্রীনগর থানার মঠবাড়িয়া গ্রামের সহোদর দুই ভাই দয়াল ঘোষ ও হরিপদ ঘোষ। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে মাইকের ব্যবসা শুরু করলেন। প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল আই এম অলওয়েজ রেডি, অন কল এট ইয়োর সার্ভিস বা আরজা (এআরজেএ) অথবা 'আরজু' ইলেকট্রনিক্স। বছরখানেক পরই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'কল-রেডি'। মূলত লাইটিং, সাজসজ্জা ভাড়া দিত আরজু ইলেক্ট্রনিক্স। বিয়ে-শাদিতে লাইটের সঙ্গে গ্রামোফোনও ভাড়া নিত লোকজন। দোকানটি পরিচিত হয়ে ওঠে অল্প দিনেই। সেই সাথে চাহিদাও বাড়তে থাকে, চাহিদা অনুযায়ী যোগান দিতে পার্শবর্তী দেশ ভারত থেকে কয়েকটি মাইক নিয়ে আসেন। কিন্তু তা দিয়েও চাহিদা পূরণ হচ্ছিল না।। মাইকের কারিগরি জানা থাকায় হরিপদ ঘোষ নিজেই যন্ত্রপাতি কিনে কয়েকটি হ্যান্ডমাইক তৈরি করেন। ১৯৪৮ সালে দেশ ভাগের পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করে। আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা মাইক ভাড়া নিতে শুরু করেন আরজু লাইট হাউস থেকে। চাহিদা বাড়তে থাকে দিনে দিনে। তাই তাইওয়ান, জাপান, চীন থেকে আনা হয় মাইক। তবে মাইকের মূল অংশ মানে ইউনিট বেশি আনা হতো বাইরে থেকে। এরপর নিজের দোকানের কারিগর দিয়ে হরিপদ ঘোষ তৈরি করতেন বাকি অংশ। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পর থেকে সভা-সমাবেশ বাড়তে থাকে এবং সামাজিক আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রয়োজনেও মাইকের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। তাই মাইক সার্ভিসের সাথে মিল রেখে 'কলরেডি' নামটিই ঠিক করেন করা হয়। প্রয়োজনে কল করলেই যেন মাইক রেডি থাকে।, অর্থাৎ কল করলেই রেডী- কলরেডি।

দায়িত্বশীলতার কারণে শহরে কল-রেডি সার্ভিসের গ্রহনযোগ্যতা বাড়তে থাকে। ব্যবসা শুরু করার পরে ১৯৫৪ সালে কল-রেডীর কর্মী ছিল ২০ জন। কাজের চাপ বৃদ্ধি পেলে বাড়তি লোক নিয়ে সামাল দিতে হত। মাঝেমধ্যে তাঁদের ছোট দুই ভাই গোপাল ঘোষ ও কানাই ঘোষও সাহায্য করতেন।

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ভাষণের মাইক্রোফোন হলো কল-রেডী। হাটে-মাঠে-ঘাটে সব জায়গায় তখন স্বাধিকারের চেতনায় ফুঁসছে মানুষ। সত্তরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুকে সারা দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করে না। দফায় দফায় মিটিং করেও হচ্ছে না সুরাহা। এরই মধ্যে চলে এলো ১৯৭১ এর অগ্নিঝরা মার্চ মাস। সমাবেশ যোগদানকারীরা শুনবেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ঐতিহাসিক ঘোষণা। দেশবাসী বঙ্গবন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে আভহে, অধীর আগ্রহে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা জানতে। নেতার ভাষণ সুন্দর-সাবলীলভাবে সবাই যাতে শুনতে পারেন তার জন্য প্রয়োজন হয়ে পরে সুন্দর একটি সাউন্ড সিস্টেম বা শব্দ নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা। কল-রেডীর মালিক হরিপদ ঘোষ ও দয়াল ঘোষকে ধানমণ্ডির বাসায় ডেকে পাঠালেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে [তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান] মাইক লাগাতে। জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই তাদেরকে নিষেধ করলেন। পাশাপাশি পাকিস্তানপন্থীদের হুমকি হুমকিও ছিল যাতে জনসভা সফল না হয়। কিন্তু হরিপদ ঘোষ ও দয়াল ঘোষের রক্তেও তখন শোষকদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মাইক সরবরাহের কাজে নেমে পরে কল-রেডি। তখন রেসকোর্সে মাইক লাগানো সোজা ছিল না-শাসকগোষ্ঠীর চোখ ছিল সদা সতর্ক। রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে লুকিয়ে মাইক লাগাতে লাগলেন দুই ভাই। মাইক লাগিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন তারা। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কিছু বাড়তি মাইক বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মজুদ রাখা হয় যেন সমাবেশের দিন তাৎক্ষণিকভাবে লাগানো যায়। তিন দিন ধরে ৩০ জন কর্মী নিয়ে বাঁশ, খুঁটি গাঁথার কাজ করেন ঘোষেরা।

তারপর সেই দিনটি আসে-৭ই মার্চ। কবি গিয়ে দাঁড়ান জনতার মঞ্চে। কল-রেডী'তে উচ্চা্রিত হলো 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।' বঙ্গবন্ধুর শ্বাস-প্রশ্বাসে দুলছিল কলরেডির মাইক্রোফোন, কাঁপছিল মাইকগুলো।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণকালে যেন কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি না হয়, সে জন্য নিজে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি একজন সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দিয়েছিলেন হরিপদ ঘোষ। অতিরিক্ত তিনটি মাইক্রোফোন সঙ্গে রেখেছিলেন দয়াল ঘোষ।

এত বড় একটি সমাবেশে মাইক সার্ভিস দিয়ে কত টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিল কল-রেডী?
হরিপদ ঘোষের ছেলে কল-রেডীর বর্তমান পরিচালক সাগর ঘোষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সেই সময় পারিশ্রমিকের কথা চিন্তা করার সুযোগ বাবা ও জ্যাঠা মশাইয়ের ছিল না। বঙ্গবন্ধু নির্দেশ দিয়েছেন সেটাই বড় কথা। আর তা ছাড়া দেশের পরিস্থিতি তখন সবাই কম-বেশি জানতেন। আর বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাবা-কাকার ভালো সম্পর্ক থাকার কারণে বাবা শুধু খরচটাই নিতেন। আরো বললেন, 'সেদিন সেই সমাবেশে আমার বাবার হাতে তৈরি অনেক হ্যান্ড মাইক ব্যবহৃত হয়েছিল।'
৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে কল-রেডীর যে মাইক্রোফোনে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সেই মাইক্রোফোন, মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ড আজও আছে কল-রেডীর কাছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আর অন্য কেউ সেই মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেননি। এরপর বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আবারও কল-রেডীর মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন।
দেশ-বিদেশের অনেক বিখ্যাত মানুষ কল-রেডীর মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, শেখ হাসিনাসহ আরো অনেকে আছেন এই তালিকায়।


বিদেশের নেতাদের মধ্যে আছেন ভারতের ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এসে তাঁর জন্য গড়া ইন্দিরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে কল-রেডীর মাইক্রোফোনে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯৬ সালে ইয়াসির আরাফাত, নেলসন ম্যান্ডেলা কল-রেডীর মাইক্রোফোনে ভাষণ দেন। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়িও কল-রেডীতে কথা বলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সমাবর্তনে মাইক সার্ভিস দেয় কল-রেডী।
১৯৮১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার প্রায় প্রতিটি সভা-সমাবেশে মাইক সার্ভিস দিয়েছে কল-রেডী। বর্তমানে ৩৬, এইচকে দাস রোড, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কলরেডি।

কল-রেডী বাংলার ইতিহাসের এক জ্বলন্ত সাক্ষী। বাঙালির প্রধান প্রধান আন্দোলন-সংগ্রামের সভা-সমাবেশে ছিল এই কল-রেডি মাইক কোম্পানি। কেবল বাণিজ্যিক নয়, দেশ ও জনগণের স্বার্থে বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে বাকিতেও সেবা দিয়েছে কল-রেডি। বিশেষ করে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে কল-রেডি বিনেপয়সায় সেবা দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশীদার হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে কল-রেডির যে মাইকগুলো ছিল, সেগুলো অযত্ন আর অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে। ওই দিন জনসভায় ব্যবহূত মাইক্রোফোনের স্ট্যান্ডটি আজো সংরক্ষিত আছে কল-রেডির কাছে। সেদিন যেসব অ্যামপ্লিফায়ার ব্যবহার করা হয়েছিল তার মধ্যে ৭টি অ্যামপ্লিফায়ার এখনও আছে। আছে চারটি মাইক্রোফোন। জাদুঘরে এসব সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা একান্ত প্রয়োজন। কল-রেডি মাইক সার্ভিস দেশভাগ থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্যয়ের সাথে একীভূত একটি ঐতিহাসিক সত্তার নাম। কল-রেডি বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজও সেবা দিয়ে যাচ্ছে অবিরত।

যদিও স্বাধীনতার পরে দীর্ঘ সময় অতক্রম হয়েছে। অনেকটা পথ এসেও আজ দেখা হয়নি অনেক কিছুই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন। জাতর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য কল-রেডি মাইক সার্ভিস অযত্ন-অবহেলায় পরে আছে, এটা ইতিহাসের দায় এবং প্রাপ্য ঐতিহাসিক মর্যাদা প্রাদানের দায় জাতির। পাকিস্তানী সামরিক শাসকের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে স্বাধীনতা অর্জনের পথে প্রত্যেকটি অগ্নি পরীক্ষায় সারথি হিসেবে জনতার পাশে থেকেছে 'কল-রেডি'।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সংরক্ষনের জন্য দৃঢ়চেতা পদক্ষেপ নিয়ে সঠিক ইতিহাসকে জাতির সামনে উপস্থাপন করছেন। তাতে আমরা আশাবাদী যে, মুক্তিযুদ্ধের কোন ইতিহাসই অরক্ষিত থাকবে না। ৭ই মার্চে জাতির জনকের ভাষন দেয়ায় ব্যবহৃত মাইক্রফোন, স্ট্যান্ড,অ্যামপ্লিফায়ার, মাইকগুলো এখনও কলরেডিএ কাছে সংরক্ষিত আছে। ইতিহাসের সাক্ষী এসব মূল্যবান জিনিসে সংরক্ষন করা সময়ের দাবী। অন্যথায় অবহেলায় হারিয়ে যাবে ইতিহাসের এই অমূল্য সম্পদ। সেই সাথে কালের সাক্ষী এই কল-রেডি মাইক সার্ভিসও ঐতিহাসিক মর্যাদা পাওয়ার দাবী রাখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধে কৃতিত্বের জন্য ধীরে ধীরে দেশের বীর সন্তানরা বিভিন্ন পুরষ্কারে ভূষিত হচ্ছেন। তেমনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতার আন্দোলনে যথাক্রমিক বিরল কৃতিত্বপূর্ন অবদানের জন্য কলরেডি মাইক সার্ভিসকে ঐতিহাসিক পুরষ্কারে ভূষিত করা হোক। উত্তাল ১৯৭১ এর ৭ই মার্চের স্বাধীনতার ঘোষনায় কল-রেডির যেসব যন্তাংশ ব্যবহৃত হয়েছে তা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হোক। আর কল-রেডি মাইক সার্ভিসের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা দরকার। ঐতিহ্যের ধারাকে অব্যাহত রাখতে, আগামী প্রজন্মের কাছে ইতিহাসকে পরিচয় করিয়ে দিতে পৃষ্ঠপোষকতা আবশ্যক। স্বাধীনতার সাক্ষী 'কল-রেডি' মাইক সার্ভিসকে তার প্রাপ্য ঐতিহাসিক মর্যাদা প্রদান করা হোক।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবেদন, আপনার সুদৃষ্টিই দেশের ইতিহাসের সাক্ষী, জাতির জনকের স্মৃতিধন্য "কল-রেডী" মাইক সার্ভিসকে তার প্রাপ্য ঐতিহাসিক মর্যাদা প্রদান করতে পারে।

তথ্য সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক কালের কণ্ঠ, দৈনিক মানবজমিন।