পাতানো নাটক বন্ধ করুন

এস এম শারফুদ্দিন শাওন
Published : 31 May 2016, 09:34 PM
Updated : 31 May 2016, 09:34 PM

"ষড়যন্ত্র নাটকের ভিলেন জিয়া,মিথ্যা নাটকে খালেদা জিয়া"।

নাটক দেখেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। নাটক দেখতে কম বেশী সব শ্রেনী-পেশার মানুষই পছন্দ করেন। নিঃসন্ধেহে কিছু নাটক সারা জীবন মন আধারে হৃদয়ের খোরাক যোগায়,আবার কিছু নাটক ঘৃনার খোরাক যোগায়। কাহিনি ও মুল চরিত্রের বৈস্বাদৃশ্য দেখা দিলে নাটক তখন হয় সমালোচনার পাত্র।

বিশেষ করে নাটক করতে হলে ভাল অভিনেতা-অভিনেত্রীও হওয়া চাই,নচেৎ ফ্লপ খাওয়ার সম্ভবনা থাকে প্রবল।যেমন জননন্দিত দর্শক উপভোগ্য নাটক ছিল সংসপ্তক,বহুব্রিহী,রুপনগর।বর্তমানে মোশারফ করিমের নাটক খুবই জনপ্রিয় বলে দর্শক মুখে প্রচারিত।তবে এ সব নাটক হচ্ছে কল্পনার রংতুলি দিয়ে আকা নাটক,রুপকথার গল্প দিয়ে সাজানো নাটক।দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য আমাদের সদ্য স্বাধীন দেশে মেজর জিয়া যে নাটকের সুচনা করে গেছেন জানিনা সেই নাটকের শেষ অধ্যায় কখন কবে কিভাবে সমাপ্ত হবে???

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা যে সকল নাটকের মহরত করছেন,দেশ ও জাতির জন্য মারাত্মক রকমের হুমকির সম্ভবনা রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে সর্বপ্রথম যিনি রাজনৈতিক নাটকের মহরত করে গেছেন সে আর কেহ নয় বাংলার মীরজাফর খ্যত ষড়যন্ত্রের হুরু মেজর জিয়া।রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য সকল প্রকার নাটকের জন্ম দাতা হিসাবে ইতিহাসে সমধিক পরিচিত।আবার ইতিহাসের খল নায়ক হিসাবেও আলোরন সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রনায়ক ও সেনাপ্রধান। সোজাকথা হত্যার নাটক বা রাজনৈতিক নাটকের প্রবক্তা ছিলেন মেজর জিয়া। তিনি নানান প্রকার ক্রু ও ষড়যন্ত্রের নাটকে পারর্শিতার কারনে, হত্যা,খুনের নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে জন্ম দিতে লাগলেন বা তৈরি করতে লাগলেন কাল্পনিক মিথ্যা নাটক।সেই জাগদল থেকে বিএনপি নামক ভূয়া নাট্য গোষ্টি একের পর এক মিথ্যা নাটক জনতার সম্মুখে উপস্থাপন করে মিথ্যা সংস্কৃতি চালু করে বাঙ্গালীর প্রকৃত চরিত্রে দুর্নীতির বীজ বপন করে গেছেন।সেই বীজ শিকর ঘেরা বৃক্ষ হয়ে সমাজের রন্ধে রন্ধে রক্ত কনিকার সাথে মিলে মিশে একাকার।আজ বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সাধারন নাগরিক মেধা বিকাশের পথ পরিহার করে জুকছে রাজনীতির নাটকের দিকে।রাজনীতি করলে অল্প পরিশ্রমে অল্প সময়ে টাকার কুমির হওয়া যায়। এমন মনভাবাপন্ন হয়ে ব্যবসায়ী,শিল্পপতি, তরুন ছাত্র সমাজ সকলেই দৌড়াচ্ছে একই দিকে।লক্ষ একটাই সে হল দুর্নীতির প্রতিযোগীতা।এ অসম প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হয়ে জাতি হিসাবে আমরা অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছি।

মেধাবিরা ক্রমশ অবহেলা অবজ্ঞার কারনে নতুন প্রজন্ম মেধা বিকাশে নিরুৎসাহি হয়ে পড়ছে।এ ধরনের পরিনতি আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের পরিপন্থী।কেবল অসত্য কাহিনি দ্বারা জল গোলা করার বহুরুপী ষড়যন্ত্রের নাটক সাজিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে একটা হযবরল অবস্থায় ফেলে বিদেশী অভিনেতা কর্তৃক নাটকের স্যুটিং করে দিনের আলোটাকে ম্লান করে দেয়া ছাড়া আর কোন লাভ হবে বলে আমি মনে করি না। মা যেমন সন্তানের কাছে নিঃস্পাপ।তেমনি সাধারন জনগন রাষ্ট্র বা সরকারের কাছে নিঃস্পাপ।সন্তানের ধারনা মা কোনরুপ অন্যায় মুলক নাটক করতে পারেন না। মায়ের উচিত সন্তানের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নাটক তৈরি করা। যে সকল নাটকে সত্য ঘটনাকে পুজি করে নির্মিত হয় সে সব নাটকই আলোর মুখ দেখে সফলতাও অনিবার্য এবং পুরুস্কার প্রাপ্তও হয়। যেমন বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সফল রাজনীতির কারনে দেশে এবং দেশের বাহিরে নামী দামী খ্যাত নামা প্রতিষ্ঠান তাকে সম্মান স্বরুপ এ্যাওয়ার্ড প্রধান করেছেন।

আমি অভিনয় জানি না,আমার দ্বারা অভিনয়ের কাজ করা হলে পাঠক প্রিয় নাটক তৈরি করা সম্ভব কবেনা।যে টুকু করানো হবে তা হবে তাহা ব্যঙ্গচিত্র ছাড়া আর কিছুই হবে না বলে আমি বিশাস করি। তেমনি ভূয়া নাটকের অভিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের ঘনিষ্ট বন্ধু একবার মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জ্বাল করে ধরা পড়তেও আমরা দেখেছি,আরো দেখেছি ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরন্দ্র মোদির সাথে টেলি আলাপের বিষয়টিও পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।

সকল ষড়যন্ত্রের সেরা নাটক হিসাবে মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছিলেন ইহুদী নাছারিদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাথেও গোপন নাটক করে সরকার উৎখাতের মহা পরিকল্পনার মহা নাটকটি।দুর্ভাগ্যবশত মেন্দি এন সাফাদির সাথে হাইব্রিড নেতা আসলাম চৌধুরীর ষড়যন্ত্রের বোমা বাষ্ট হলে দেশে-বিদেশে ব্যপক কম্পন জাগে।আমরা তখন বিষয়টি জানতে পারি। এরপর থেকে নাটকের হোতা গ্রেফতার হলে তাকে বাচানোর জন্য বহুমুখী চক্রন্তের নাটক হিসাবে আমাদের সবার প্রিয়, বাংলাদেশের আগামী রাষ্ট্র নায়ক, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে পাতানো নাটক মঞ্চস্থ করে ঐ তারেকের বন্ধু।যে কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল।

যে চক্রান্তের নাটক জিয়া প্রয়োগ করে সফল হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনকের সহ পরিবারকে ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর নির্মম হত্যা কান্ডটি ঘটিয়ে।আজ ২০১৬ সালে এসে তারই দৌহিত্র সজীব ওয়জেদ জয়কে ঘিরে তাদের সকল রাজনৈতিক নাটকের মহরত উৎযাপন করছে সেও আবার ইহুদীরাষ্ট্রের লিকুদ পাটির নেতা, সাবেক মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সাথে।

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।বিবিসিকে দেয়া মেন্দি এন সাফাদির নাটকীয় বক্তব্য প্রমান করে বিএনপির সাথে তাদের গোপন ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ভাবতে ভীষন অভাক লাগছে বিবিসির সংবাদ প্রচারে। যে বিবিসিকে গোটা বিশ্বের জনগন সেরা সংবাদ দাতা হিসাবে জানত তারা কি করে বিএনপির এক প্রবাসী নেতাসহ তারেকের সেই বন্ধু যিনি স্বাক্ষর জাল করে ধরা পরেছিলেন তাদের উপস্থিতিতেই জয়কে ইডিট করে মেন্দি এন সাফাদির সাথে যুক্ত করে ভিডিও চিত্র পরিবেশন করেন।যাহা ঢাহা মিথ্যা বলে গতকাল সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেইস বুক স্টেটাসে কঠোর ভাষায় নিন্দাসহ ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। বিবিসিকে বলেছেন, যাচাই ছাড়া ভিডিও প্রদর্শন করে বিপরীতে তার নিজেরই সর্বনাশ নিজেই ডেকে এনেছে। এখন শুধু জানাজা পড়া বাকী।

নতুন নাটক সজীব ওয়াজেদ জয়ের অপহরন ও হত্যা, মোসাদের সাথে তাদের ষড়যন্ত্র মুলক বৈঠককে আড়াল করার জন্য জয়ের সাথেও সাফাদির বৈঠক হয়েছে মর্মে বিবিসিতে যে ভিডিও প্রচারের নাটক মঞ্চস্থ করছেন তা সম্পুর্ন অসত্য ঢাহা ধোকাবাজি। আর মিথ্যায় যে তাদের গিলে ফেলেছে এটাই তাদের শেষ নমুনা।

হে আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুন। নতুবা ধ্বংস নিশ্চিত করুন। দেশের মানুষগুলোকে একটু সস্তি দান করুন।মিথ্যার জয় হলে তোমার প্রেরিত রাসুলের আদর্শ বিনষ্ট হবে।তুমিতো পরাক্রমশালি সর্বজান্তা। তুমি ছাড়া কেউ নেই এ সমস্যার সমাধান করা।তুমি রহমতের ফেরেস্তা দ্বারা প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সহায়ক হও।আমাদেরকে মিথ্যার বেড়াজাল থেকে মুক্ত কর। যুদ্ধাপরাধী মুনাফেকের দল জামাতিদের আশ্রয় দাতা বেগম খালেদা ও তার চাটুকারী সিপাহীসালার কবল থেকে ১৬ কোঠি প্রানের সত্যের বন্ধনা করার পথ সুগম করে দাও। আমিন।