একাত্তরের বিজয়ীরা আরাকানেও জয়ী হবে

মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন
Published : 19 Sept 2017, 03:07 AM
Updated : 19 Sept 2017, 03:07 AM

বাংলাদেশের ইতিহাস অত্যন্ত গৌরব ও ঐতিহ্যের। এ গৌরবের শুরুতে রয়েছে অস্ত্র-শস্ত্রে সুসজ্জিত পৃথিবীর এক পেশাদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জয়। একাত্তর সালে আমরা  হানাদার পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছি। তখন আমাদের অর্থনীতি বলতে কিছুই ছিল না। কিন্তু মনোবল ছিল তুঙ্গে। আমাদের ছিল সাহসী নেতৃত্ব। দীর্ঘ নয় মাস বীরদর্পে লড়াই করে অবশেষে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি।

তারপর সাতচল্লিশ বছর পেরিয়ে গেছে। আমরা দেশটিকে মধ্যম আয়ে উন্নীত করেছি। আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বেড়েছে। এখন আমাদের পূর্ব সীমান্তে নতুন শত্রুর আবির্ভাব ঘটেছে। তারা আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে রোহিঙ্গা নামক বিশাল বাঘ বসিয়ে দিচ্ছে। ওদের ভাষ্য, এরা রোহিঙ্গা নয় বরং বাঙালি। বাঙালিরা বাংলা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, আসাম ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপে বহু শতাব্দী ধরে বাস করে। যদি এ গোষ্ঠী বাঙালি হয়, তাহলে এদের রক্ষার দায়িত্ব বাংলার (বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের)। এদের জন্মস্হান ও পৈত্রিক বসতবাড়ী রক্ষা করতে হবে।

এ ব্যাপারে আমাদের বাংলাদেশ সরকার কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে,  চীনকে বুঝানোর চেষ্টা চলছে বলে পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে। কিন্তু চোর শুনে না ধর্মের কাহিনী। আমাদের জাতীয় কবির ভাষায়, 'অত্যাচারীর খড়গহস্তে করণীয় বর্ণিত আছে'। কবে রোহিঙ্গাদের অত্যাচার সহনের কাহিনী আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না আর?

একাত্তরেও আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে চীনের পরিস্কার অবস্থান ছিল। কিন্তু এরা আমাদের স্বাধীনতা ঠেকাতে পারেনি। আমরা যদি একাত্তরের মত গর্জে উঠে স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করি, তাহলে এবারও আমাদেরই বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। দু-চারটি রাষ্ট্র ছাড়া বাকি পৃথিবী এখন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পক্ষে। মুসলিম বিশ্বের সমর্থন আমরা পেতে পারি। আমেরিকাকে আরাকানে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে হবে মানব অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, সঙ্গে তাদের সাম্রাজ্যবাদী চাহিদাও পূরণ হবে। আমরা কেন পনের লক্ষ রোহিঙ্গার বোঝা সইব? আমরা অতটা দুর্বল রাষ্ট্র নই যে মিয়ানমারের মত মেরুদণ্ডহীন রাষ্ট্র আমাদের নির্যাতন দিয়েই যাবে, আর আমরা ১৯৭৮ সাল থেকে সহ্য করার পরও অনাদিকাল চুপ থাকব।

তাই স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। কারণ আরাকানের বর্তমান গণহত্যা বসনিয়ার গণহত্যাকেও হার মানিয়েছে। মিয়ানমার সরকার শান্তিপূর্ণভাবে এ সংকটের সমাধান চায় বলে মনে হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরকেই এগিয়ে অাসতে হবে।