জ্ঞান ও সভ্যতা গ্রন্থমালা

ফারসীমমান্নানমোহাম্মদী
Published : 6 Feb 2018, 02:49 PM
Updated : 6 Feb 2018, 02:49 PM

কৈশোরের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আইনস্টাইন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন ১২ বছর বয়েসে পাওয়া সস্তায় ছাপা কতগুলো বিজ্ঞানের বইয়ের প্রতি, বালক কিংবা কিশোর আইনস্টাইনের চিন্তায় যে ভাঙচুর এনেছিল তারা, পরবর্তীকালের বিজ্ঞান চিন্তা জগতের এই দিকপালকে গড়ে তুলতে সেটাই বিরাট ভূমিকা রেখেছিল। কৈশোর কিংবা প্রথম তারুণ্যে তৈরি হওয়া আলোড়ন আরও অজস্র মানুষের জীবনে স্থায়ী আলোড়ন তুলেছিলো, আজও তুলছে, আমরা জানি। আমাদের এই 'জ্ঞান ও সভ্যতা গ্রন্থমালা'র প্রথম ও প্রধান উদ্দেশ্যও আসলে তাই। দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হলো যে কোন অবিশেষজ্ঞ পাঠক যেন কোন একটি বিষয় নিয়ে তার কৌতুহল মোটামুটি পাবেন, এমন কতগুলো সুনির্বাচিত গ্রন্থ প্রকাশ। জ্ঞান ও সভ্যতা গ্রন্থমালার সূচনার তাগিদটুকু এই।

বাংলাদেশে কিশোর-তরুণ-অনতিতরুণ কিংবা সাধারণ বিদ্যোৎসাহী পড়ুয়ার জন্য জ্ঞানের উৎস ক্রমশ সঙ্কুচিত হচ্ছে। সমৃদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য বই এক্ষেত্রে একটা বড় সম্পদ, কিন্তু সে সংখ্যাও খুবই কম। বই নির্ভরযোগ্য হলে তার পাঠযোগ্যতা আরেকটি মাথাব্যথার বিষয়। কেননা আমাদের বিশেষজ্ঞরা জ্ঞানে যত পারদর্শী, ভাষায় ততটা নয়। ফলে তাঁদের সমৃদ্ধশালী লেখা বাংলায় অনেকসময় সুখপাঠ্য হয়না। অন্যদিকে, ইংরেজিতে রচিত চমৎকার গ্রন্থাদি আমাদের পাঠক সমাজের কাছে অনেকটাই ব্রাত্য। কেননা ইংরেজিতে আমাদের সব কিংবা অধিকাংশ পাঠক সড়গড় হবে, এটা বাস্তব সম্মত নয়। কোন দেশেই তা হয়নি। কাজেই বিশ্ববিদ্যার পাঠ নেবার অতি পুরাতন কিছু উৎস ভিন্ন আমাদের আধুনিক পাঠকের কাছে তেমন কিছু নেই।

বিশ্ববিদ্যার কিংবা নিতান্ত যেকোনো কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়য়ের উপর ভাল সাধারণ আলোচনার জন্য বেশ কিছু ভাল বই কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। সে-ও আশি নব্বুইয়ের দশকের কথা। যেমন ছোটদের বিশ্বকোষ। আশি ও নব্বুইয়ের দশকে মোট ছ'খণ্ডে প্রকাশিত এই দুর্দান্ত সেটটি শুধু ছোটদের জন্য নয়, বড়দেরও চিন্তার খোরাক ছিল। আমাদের কৈশোরবেলা নিঃসন্দেহে এই বিশ্বকোষ সিরিজ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। কী ছিল না সে বিশ্বকোষে? কাউন্ট অব মন্টেক্রিস্টোর গল্প, চৈতন্যদেবের কথা, নৈয়ায়িকদের কথা, গণিতের কথা, স্পুৎনিকের কথা, এঞ্জিনিয়ারিংয়ের কথা, স্ফিংসের ধাঁধা, চাণক্যের দৌত্যের গল্প, অভিজ্ঞান শকুন্তলম্‌, খেলাধুলার কথা, পৃথিবীর তৈরি হবার কথা ইত্যাদি হরেকরকম জ্ঞানের কথা। এমন একটা জিনিস বাংলাদেশে তৈরি হতে গিয়েছিল বটে শিশু একাডেমীর উদ্যোগে, কিন্তু সে উদ্যোগ উর্দিশাসক এরশাদের আমলে অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়।
এরপর আমরা পাই ভাষাশহীদ গ্রন্থমালা। এটা বাংলা একাডেমীর তৎকালীন মহাপরিচালক মনজুরে মাওলার একটা দারুণ উদ্যোগ। এই গ্রন্থমালায় অনেকগুলো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিটি গ্রন্থ ছিল মানের দিক দিয়ে অসাধারণ। এগুলো ঠিক কিশোর-কিশোরীদের জন্য না হলেও ছোট সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিশ্ববিদ্যার একটা নির্বাচিত সারসংক্ষেপ এখানে পাওয়া যায়। উৎসব কেন হয়, অনুবাদ কেমন হওয়া দরকার, অ্যাবসার্ড নাটক কাকে বলে, সৌরজগতের পরিচয়, কৃষ্ণবিবর কারা, সংখ্যার যাদু, শাড়ির বৈচিত্র্য, বৃষ্টি ও বজ্র, সাপের পরিচিতি, ক্যান্সারের বর্ণনা, সক্রেটিসের শিক্ষা – এসব নিয়ে বিশেষজ্ঞ লেখকদের অসাধারণ পাচক ছিল এই বইগুলি। সেজন্য এদের অনেকগুলিই আজো পুনঃমুদ্রিত হচ্ছে। কিন্তু সেই অসাধারণ প্রচেষ্টার কোনো ধারাবাহিকতা আমরা এখন আর দেখিনা।

ঐ গ্রন্থমালার একাধিক বই পরবর্তীতে ক্লাসিকের মর্যাদা পেয়েছে – যেমন মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের 'গঙ্গাঋদ্ধি থেকে বাংলাদেশ', সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের 'নন্দনতত্ত্ব', হাসান আযিজুল হকের 'সক্রেটিস', জামাল নজরুল ইসলামের 'কৃষ্ণবিবর', এ এম হারুণ-অর-রশীদের 'মৌলিক কণা', মুহম্মদ ইব্রাহীমের 'বৃষ্টি ও বজ্র', সেলিনা বাহার জামানের 'সংখ্যা', জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর 'অনুবাদ', কবীর চৌধুরীর 'অ্যাবসার্ড নাটক', শরিফ হারুনের 'অস্তিত্ববাদ' ইত্যাদি গ্রন্থগুলো উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এখনকার এই একুশ শতকের নতুন নতুন চিন্তার চ্যালেঞ্জ নেবার মত কল্পনাপ্রসারী গ্রন্থ কোথায়? কে বলবে বিনির্মাণ কাকে বলে, মহাকর্ষীয় তরঙ্গ কীভাবে ধরা যায়, টাকার অর্থনীতি কীভাবে খেলা করে, বিশ্বায়ন আর বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কি পরস্পর সম্পর্কিত? কে বোঝাবে ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব কীভাবে ধরা যায়, মস্তিষ্কে স্বপ্ন ও কল্পনা কীভাবে খেলা করে, ভাষা কীভাবে সৃষ্টি হয়, অ-ইউক্লিডিয় জ্যামিতি কেন গুরুত্বপূর্ণ, আন্তর্জাতিক বাজার আর মুদ্রা তহবিল কীভাবে কাজ করে? এসব একুশ শতকীয় প্রশ্নের মুখোমুখি করবার লেখকই বা কই, গ্রন্থই বা কই?
অনেক কাল আগে রবীন্দ্রনাথ শুরু করেছিলেন বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহ। সেখানে ছোট ছোট বইয়ে লেখা হয়েছে জরথুস্ট্রবাদ, ভারতীয় দর্শন, জ্যোতির্বিদ্যা, বাংলা সাহিত্য, ইত্যাদি নিয়ে সহজ কিন্তু চিন্তাউদ্রেককারী গ্রন্থ। সেখানে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, তাঁর উদ্দেশ্য হল "বিদ্যার বহুবিস্তীর্ণ ধারার সঙ্গে শিক্ষিত-মনের যোগসাধন" কিংবা "শিক্ষণীয় বিষয় মাত্রই বাংলাদেশের সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপ্ত করে দেওয়া"। এমন উদ্যোগ আর দেখা যায় না। এই ভাবনা থেকেই আমাদের মাথায় এলো এমন একটি গ্রন্থমালা করা যায় কীভাবে? প্রতিটি বই যেন নতুন জ্ঞানকে পাঠযোগ্যভাবে তুলে ধরে নবীন পাঠকের কাছে। নিখুঁত হতে হবে তা নয়, কিন্তু মৌলিক ধারণাটি যেন পাওয়া যায়। যেমন আর্থিক ব্যবস্থা একটি বিষয় হতে পারে। এটা কী, কীভাবে কাজ করে, কারা এটি নিয়ন্ত্রণ করে– এসব প্রশ্নের উত্তর যেন পাওয়া যায় এমনভাবে লিখতে হবে। আমাদের সম্ভাব্য লেখকদের সামনে আমরা এমন একটি চিত্র তুলে ধরেছিলাম:
জ্ঞান ও সভ্যতার সিরিজটি এমনভাবে ডিজাইন করা হবে যাতে একজন তরুণ বা তরুণী বিষয়টি সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা পাবে। শুরু হবে সহজ কথা দিয়ে, কিন্তু শেষ হবে বেশ ভারী কথা দিয়ে। কতটুকু গভীরতায় যাবে সেটা লেখক ঠিক করে নেবেন নিজের মতো করে। তবে মনে রাখতে হবে, বইটি কিন্তু ছোট – মুদ্রিত ৮০ পাতা বা এর কাছাকাছি।
লেখক যদি এভাবে ভাবেন, তাঁর সামনে ১৭-২৪ বছর বয়সী একজন পাঠক বসে আছেন, তিনি তাকে বিষয়টি বোঝাচ্ছেন, তাহলে তিনি যেভাবে বলতেন, ঠিক সেভাবে লিখলে খুব ভাল হয়। … বাংলা একাডেমির ভাষা শহীদ গ্রন্থমালার বই, কিংবা অক্সফোর্ড ইন্ট্রোডাকটরি সিরিজের বইগুলোর কথা মাথায় রেখে এই সিরিজটি ভাবা হয়েছে। সেই সাথে যদি দেবীপ্রসাদের লেখনী স্টাইল যোগ করা যায় তো সোনায় সোহাগা!

আমরা সিরিজটির নাম দিয়েছি "জ্ঞান ও সভ্যতা গ্রন্থমালা"। শুধু যেন বিজ্ঞানের বই না হয়, যেন মানববিদ্যার বিবিধ রতন এতে ধরা যায় সেই জন্য এই প্রয়াস। এই সিরিজের ভূমিকায় আমরা লিখেছি-
"ইদানিং শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু শিক্ষার গুণগত মান বাড়েনি। তথ্যের চাহিদা বেড়েছে, কিন্তু তার সুষ্ঠু ব্যবহারের জ্ঞান আমাদের নেই। সমাজে জ্ঞানের বিস্তার কমেছে, কমেছে জ্ঞানীর সংখ্যা এবং কদর। পারিপার্শ্বিক সমাজ এবং বাইরের দুনিয়া সম্পর্কে তথ্য জানা যেমন জরুরি, তেমনি বৈশ্বিক জ্ঞানভান্ডারের সাথেও পরিচয় থাকতে হবে। বিশ্বায়নের এই যুগে যথোপযুক্ত জ্ঞান এবং তথ্য না থাকলে পিছিয়ে পড়তে হয়।
মাতৃভাষায় বৈশ্বিক জ্ঞানের এক নির্বাচিত ভান্ডার নিয়ে এই 'জ্ঞান ও সভ্যতা গ্রন্থমালা'। বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞান এবং মানব সভ্যতা-সংস্কৃতির বিবিধ রতন এখানে থাকছে খুব সহজ ভাষায় লিখিত ছোট ছোট বইয়ের ভেতরে। গ্রন্থমালার ভাষা সহজ, কিন্তু ভাবনায় ঋদ্ধ। রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন তাঁর বিশ্ববিদ্যাসংগ্রহ কিংবা লোকশিক্ষা গ্রন্থমালার ভূমিকায়, এই গ্রন্থমালার উদ্দেশ্যও "বিদ্যার বহুবিস্তীর্ণ ধারার সঙ্গে শিক্ষিত-মনের যোগসাধন" কিংবা "শিক্ষণীয় বিষয় মাত্রই বাংলাদেশের সর্বসাধারণের মধ্যে ব্যাপ্ত করে দেওয়া". আধুনিক চিন্তার সাথে পরিচয় ঘটানোও এই গ্রন্থমালার উদ্দেশ্য।"
এই প্রকাশনায় আর্থিক ঝুঁকি আছে, কষ্ট আছে, লেখক খুঁজে পাওয়ার ঝামেলা আছে। কিন্তু তবু আমরা এই সিরিজে এর মাঝেই সাতটি বই যুক্ত করতে পেরেছি, এই মেলায় যুক্ত হবে আরো দুটি, আশা করি। এটা আমাদের পরম সৌভাগ্য। আমাদের লেখককুল তরূণই মূলত, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরূণ শিক্ষক, স্বাধীন গবেষক, বিজ্ঞান গবেষক সবাই শামিল হয়েছেন। ড. দীপেন ভট্টাচার্য, ড. মল্লিকা ধর, ড. ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ আছেন দস্তুরমত অ্যাকাডেমিক গবেষক, তাছাড়া আছেন তরুণ শিক্ষক আদনান আরিফ সালিম, আরাফাত রহমান। তাঁরা সবাই সুন্দর বহনযোগ্য সংক্ষিপ্ত বই লিখেছেন। এখানে বিজ্ঞান ও ইতিহাসের বিষয়ে লেখা হয়েছে, ভবিষ্যতে মানববিদ্যার অন্যান্য বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত হবে আশা করছি।
'জ্ঞান ও সভ্যতা গ্রন্থমালা' ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে যাচ্ছে প্রকৃতি-পরিচয়। কালানুক্রমিকভাবে ইতিমধ্যে গ্রন্থমালায় প্রকাশিত হয়েছে ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর প্রাচীন মেলুহা: সিন্ধু সভ্যতার ইতিবৃত্ত; আরাফাত রহমানের মস্তিস্ক, ঘুম ও স্বপ্ন; আদনান আরিফ সালিম এর প্রত্মচর্চায় বাংলাদেশ, মল্লিকা ধর এর কণাজগৎ ও মহজগৎ; ফারসীম মান্নান মোহাম্মদীর ডার্ক ম্যাটার, দীপেন ভট্টাচার্যের বঙ্গীয় ব-দ্বীপের অতীত ও ভবিষ্যৎ এবং খান রুহুল রুবেলের লিখিত প্রাচীন বিজ্ঞান। এছাড়াও পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা ও পরিমার্জনার পর্যায়ে আছে বেশ কয়েকটি দারুণ গ্রন্থ, যেগুলোর প্রতিটিই বিদ্যার্থীদের দারুণভাবে আকর্ষণ করবে বলে আমরা বিশ্বাস রাখি।
আমাদের প্রকল্পের দুর্বলতার কিছু দিক রয়ে গেছে। বাংলা সাহিত্যের নানা বাঁক নিয়ে কয়েকটা চমৎকার গ্রন্থ আমরা প্রকাশ করতে চাই, যেমন মঙ্গলকাব্য কিংবা পুঁথিসাহিত্য। এই বিষয়গুলোতে জানাশোনা চমৎকার, এমন জ্ঞানী ব্যক্তির অভাব দেখি না। কিন্তু পাণ্ডুলিপি মেলেনি এখনো। ইংরেজি কী স্পানিশ অথবা আরবী বা ফারসী, এবং সংস্কৃত ও পালি ভাষার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও সাহিত্য সম্পর্কে ধারণামূলক একেকটা পাণ্ডুলিপি কত চমৎকারই না হতো! রাস্ট্রচিন্তার প্রধান ধারাগুলো নিয়ে একটা দারুণ বই কী হতে পারে না এই গ্রন্থমালায়? অথবা শিক্ষা বিষয়ে? চিকিৎসাবিদ্যার বিবর্তন নয় কেন? ফলে এই গ্রন্থমালা এখনো হাঁটি হাঁটি পা পা পর্যায়েই রয়ে গেছে। চেষ্টা চলছে যেটুকু অর্জন তাকেই পুঁজি করে সম্ভাব্য নতুন লেখকদের প্রলুদ্ধ করবার।

আমরা কেমন সাড়া পাচ্ছি? আশাপ্রদ বলা যথেষ্ট হবে না। ইতিমধ্যেই কয়েকটি বইয়ের মুদ্রন ফুরিয়েছে, দ্বিতীয় মুদ্রনে যাচ্ছে। গ্রন্থমালার বইয়ের তালিকা দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে, এবং পুরনো বইগুলো নতুন লেখকদের সামনে দৃষ্টান্ত হিসেবে দারুণ ভূমিকা রাখছে।
ছোট প্রকাশনা সংস্থার নানা সীমাবদ্ধতা নিয়েই আমরা এগুচ্ছি। একটি পূর্ণাঙ্গ এবং পেশাদার সম্পাদনা দল আপাতত আমাদের হাতে নেই, কবে হবে জানা নেই, সম্পাদনার অনেক ত্রুটি সত্ত্বেও যখন ফিরে তাকাই এই গ্রন্থমালাটির দিকে, তখন এর ত্রুটিগুলোই এর শক্তি বলে মনে হয়। অন্তত পায়ের ছাপটি তো রাখা গেল।