আমাদের দেশের অনেকেই ব্যবসায় বা চাকুরী করার জন্য স্থায়ী ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করতে আগ্রহী। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইন জানা না থাকার কারনে তারা এই ব্যবস্থাকে স্কিল মাইগ্রেশন নামে অভিহিত করে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ায় মূলত তিন ধরনের ওয়ার্ক ভিসা প্রদান করা হয়ঃ (১) টেম্পরারি ওয়ার্ক ভিসা, (২)পারমানেন্ট ওয়ার্ক ভিসা এবং (৩)স্কিল্ড বা নমিনেটেড ওয়ার্ক ভিসা । এই প্রতিটি ক্যাটাগরিতে একাধিক ভিসা রয়েছে এবং প্রতিটি ভিসাকে একটি নির্দিষ্ট সাবক্লাস এ চিহ্নিত করা হয়।
টেম্পরারি ওয়ার্ক ভিসার আওতায় বর্তমানে ১৪টি সাবক্লাসে বিভিন্ন ভিসা প্রদান করা হয় যার কোন কোনটিতে এপ্রুভড প্রতিষ্ঠান থেকে স্পন্সর নিতে হয় আবার কোন কোনটি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য উপযোগী ভিসা নয়। একটি প্রতিষ্ঠান তখনি কাউকে স্পন্সর করতে পারে যখন ডিপার্টমেন্ট অফ ইমিগ্রেশন এন্ড বর্ডার প্রটেকশন অস্ট্রেলিয়া (ডিআইপবিপিএ) থেকে এপ্রুভাল থাকে, তাই এই ভিসাগুলো পাওয়া বেশ কঠিন। পারমানেন্ট ওয়ার্ক ভিসার আওতায় বর্তমানে ১২টি সাবক্লাসে বিভিন্ন ভিসা প্রদান করা হয় যার মধ্যে আমাদের দেশ থেকে কেবলমাত্র স্কিল্ড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসা (সাবক্লাস ১৮৯) এবং স্কিল্ড রিজিওনাল প্রভিশনাল ভিসা (সাবক্লাস ৪৮৯) পাওয়া সম্ভব।
স্কিল্ড বা নমিনেটেড ওয়ার্ক ভিসার আওতায় বর্তমানে ৮টি সাবক্লাসে বিভিন্ন ভিসা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কেবলমাত্র দুটি সাবক্লাসে এপ্রুভড এমপ্লয়ারের নমিনেশন ছাড়া এবং বর্তমানে অন্য কোন সাবক্লাসের কোন প্রভিশনাল ভিসা ছাড়া সরাসরি ভিসা পাওয়া সম্ভব। যার একটি হল বিজনেস ইনোভেশন এন্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রভিশনাল ভিসা (সাবক্লাস ১৮৮) এবং অপরটি হল স্কিল্ড নমিনেটেড ভিসা (সাবক্লাস ১৯০)। বিজনেস ইনোভেশন এন্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রভিশনাল ভিসার জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা দিয়ে ইনভাইটেশন টু এপ্লাই (আইটিএ) পেয়ে গেলে স্কিলসেলেক্ট প্রগ্রামের মাধ্যমে এপ্লিকেশন জমা দিতে হয়। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ভিসা পেতে ৬-৯ মাস সময় লেগে যায়। মনে রাখতে এটি একটি প্রভিশনাল ভিসা এবং এর পরের ধাপটি হল বিজনেস ইনোভেশন এন্ড ইনভেস্টমেন্ট পারমানেন্ট ভিসা (সাবক্লাস ৮৮৮)। আর স্কিল্ড নমিনেটেড ভিসার জন্য এই প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হয় স্কিল্ড অকুপেশন লিস্ট (এসওএল) এ অন্তর্ভুক্ত পেশায় আবেদনের জন্য স্কিল এসেসমেন্ট পাওয়ার শর্ত।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আই ই এল টি এস। আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানই ক্লায়েন্টকে আই ই এল টি এস এর ব্যাপারে সঠিক তথ্য দেয় না। মনে রাখতে হবে, অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশনের জন্য ইংরেজী ভাষার দক্ষতাকে তিনভাগে ভাগ করা হয় – কম্পিটেন্ট ইংলিশ, প্রফিসিয়েন্ট ইংলিশ এবং সুপেরিওর ইংলিশ। এর প্রতিটির জন্যই আলাদা পয়েন্ট রয়েছে। এছাড়াও হেলথ ক্লিয়ারেন্স ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সর্বক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। এসকল বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনা না থাকার কারনে আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানই ক্লায়ন্টকে শেষ পর্যন্ত সাবক্লাস ৬০০ ভিসা ধরিয়ে দেয় যা মুলত ভিসিট ভিসা।
এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড, ডেন্মার্ক, ইউএসএ, ইউকে, কানাডা বা মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন সঙ্ক্রান্ত যে কোন তথ্য Immigration & Inspiration এর অফিস থেকে জেনে নেয়া যেতে পারে। ঠিকানাঃ বাসা ২২, রোড ৩৪, সেক্টর ৭, উত্তরা, ঢাকা, ফোনঃ 00801675523976, 00801941879218, 00601135562301
ইমেইলঃ imm.insp@gmail.com।
লেখকঃ সৈয়দ আফতাব আহমেদ, Barrister-at-Law
Immigration Law Practitioner's Association (ILPA) এবং Association of Regulated Immigration Adviseers (ARIA) এর ফেলো মেম্বার এবং Immigration & Inspiration এর কর্ণধার