উদযাপিত উৎসব

‌ইমত‌‌িয়াজ আহমদ
Published : 1 March 2017, 02:45 AM
Updated : 1 March 2017, 02:45 AM

একুশ মানে মাথা নত না করা, একুশ আমাদের অহংকার। বর্তমান প্রজন্মের মুখে একথা যেনো একেবারেই বেমানান। একুশের বর্তমান চিত্রপট সম্পূর্ণ অন্যরকম। শুধু একুশই নয়, উৎসব উদযাপনের ধরন একেবারেই পাল্টে গেছে। ছুঁতো চাই কেবল, সেটা ভ্যালেন্টাইনস ডে হোক, কিংবা একুশে ফেব্রুয়ারি। সেজেগুজে, ভালো পোশাক পড়ে, সেলফি তুলে, সেগুলো ফেসবুকে আপলোড করার নামই যেকোনো দিবস উদযাপন!

একটু লক্ষ করলে দেখা যাবে ধারাবাহিক ভাবে উদযাপিত শেষ কয়েকটি দিবস প্রায় একই রকম ভাবে পালিত। পহেলা ফাল্গুন, ভ্যালেন্টইন ডে ও একুশে ফেব্রুয়ারি পড়েছে একই মাসে। হতে পারে তাই হয়তো ব্যাপারটা চোখে পড়েছে বেশি। পহেলা ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপনের বিরোধী আমি নই। আমি নিজেও সস্ত্রীক পহেলা ফাল্গুন পালনে কিছুটা হলেও সময় ব্যায় করেছি। ভ্যালেন্টাইনস ডে তে বউ কে ছোটখাটো উপহারও দিয়েছি।

যাক সে কথা। আমার আলোচ্য বিষয় হলো উৎসব উৎযাপন করবো তার মর্মার্থ বুঝে। শহীদ মিনারে আসা অনেকে জানেনই না একুশের মাহাত্ম্য কি বা কতটুকু। সবার আকর্ষণ কেবল সেলফি তোলা কিংবা ছবি তোলার জন্যে পোজ দেয়া। একুশ মানে কি সাদাকালো পোশাক পরে, মেকআপ করে, ডাক ফেস পোজে সেলফি তোলা? না, কেবল এখানেই এর শেষ না। সেই ছবি যখন ফেসবুকে আপলোড করা হয় তখন তার সাথে কোথাও কোথাও যুক্ত হয় অদ্ভুত কিছু স্ট্যাটাস। আমি দুঃখিত। আসলে আমার উদ্যেশ্য কাউকে আঘাত বা বিদ্রুপ করে ব্যাঙ্গাত্মক রম্যরচনা লেখা নয়। একুশ আমাদের অহংকার, একুশ মানে মাথা নত না করা, এই চেতনা সবার মাঝে পৌঁছে দেয়া। ফাল্গুন যেমন প্রেমের জন্য সুন্দর একটা সময়, ঠিক তেমনি এটা আমাদের মাতৃভাষার জন্য গৌরবের মাস। জহির রায়হানের একশে ফেব্রুয়ারী উপন্যাসে বলা আছে –  "এই ফাগুনে দ্বিগুণ হবো", এর অর্থ বুঝতে হবে।