কারও সুন্দর হাসি সবসময়ই অপরজনের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। সুন্দর হাসি বাক্তির অভিব্যক্তিকে যেমনি সবার সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে তেমনি অন্যদের মনোযোগ সহজে আকর্ষণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর এই সুন্দর হাসির অনেকাংশ নির্ভর করে আপনার সুন্দর দাঁতের উপর। মানুষের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গই অত্যন্ত মূল্যবান, ঠিক তেমনি দাঁতও প্রতিটি মানুষের একটি অমূল্যবান অঙ্গ। কিন্তু দাঁত নিয়ে কখনো সমস্যা পড়েন নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই বর্তমানে দুস্কর। আর মানুষের চেহারার ভিন্নতা ও দাঁতের সমস্যার ভিন্নতার উপর ভিত্তি করে, সঠিক সমাধান প্রদান করা যেমনি চিকিৎসকের জন্য কষ্টকর, সঠিক সমাধান পাওয়া রোগীর জন্য তেমনি কষ্টকর। নানান ডাক্তারের নানান পরামর্শ শুনে, অনেকে ভয়ে দাঁতের চূড়ান্ত চিকিৎসাই করাতে চান না। সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য সর্বপ্রথম সঠিক সময়ে আপনার দাঁতের সমস্যা আপনার নিজেকেই নির্ধারণ করতে হবে।
আসুন জেনে নেই কিভাবে দাঁতের সমস্যা নির্ধারণ করবেনঃ
প্রতিকারঃ উপরোক্ত কারনে আপনি যদি দাঁতের সমস্যায় পড়েন তাহলে প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিদিন একাধিকবার দাঁতব্রাশ করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারন প্ল্যাককে যদি সাবধানে ব্রাশ করে সরিয়ে ফেলা হয় তাহলে তা সময় নিয়া দাঁতের ইনামেলকে (দাঁতের শক্ত বহিরাবরণ) আক্রমণ করতে পারে না, ফলে দাঁতের ক্ষয়রোধ সম্ভব হয়। আর যদি এই সমস্যায় আপনি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আর দেরি না করে আজই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতিকারঃ আপনার মুখের লালা দাঁতকে ব্যাকটিরিয়ার এই আক্রমণ থেকে কিছুটা সুরক্ষা জোগায়। আপনি ভরপেট খাবার খান বা একটা-দুটো বিস্কুট যাই খান না কেন, খাবারের গুঁড়োগুলোকে পরিষ্কার করতে এবং আপনার দাঁতের প্ল্যাকে থাকা অম্লভাবকে দূর করতে মুখের লালার সাধারনত ১৫ থেকে ৪৫ মিনিট সময় লেগে যায়। এই সময়টা নির্ভর করে যে, আপনার দাঁতে কতটা আঠালো চিনি বা খাবারের গুঁড়ো লেগে আছে তার ওপর। স্পষ্টত, এই সময়টাতেই আপনার দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। তাই, আপনার দাঁতের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা আপনি কতখানি চিনি খেয়েছেন, তার ওপর নয়, বরং আপনি কত বার খাবার ও চিনি জাতীয় জলখাবার খাচ্ছেন, সেটার ওপর নির্ভর করে। স্বাভাবিক সময়ের চাইতে ঘুমিয়ে থাকার আপনার লালা প্রবাহ অনেক ধীরে ধীরে হয়ে থাকে। আর তাই আপনার দাঁতের সবচাইতে বেশি ক্ষতি সেই সময়টাই হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই ঘুমানোর আগে দাঁতব্রাশ করতে ভুলবেন না। আর যদি অবস্থা ইতিমধ্যেই খারাপ হয়ে থাকে তাহলে দেরি না করে আজই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রতিকারঃ নিয়মিত আয়োডিনযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে একাধিকবার দাঁত ব্রাশ করার মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হয়। আর যদি প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ বুজতে পারেন তাহলে লবন দিয়ে দাঁতে নিয়মিত কুলি করতে পারেন।
উপরোক্ত বিভিন্ন রোগের কারনে যদি আপনি ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার আজই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এর শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ। কারন তিনি আপনার দাঁতের অবস্থার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্রিজিং, ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টস, ইনভিসালিন, ক্রাওন্স, অরাল প্রপিলাক্সিস, ফিলিংস, রুট ক্যানেল ইত্যাদি কোনটির মাধ্যমে আপনার চিকিৎসা প্রয়োজন তা নির্দেশ করবেন এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন।
আপনার নিকটস্থ এবং সেরা দাঁতের চিকিৎসক ও প্রতিষ্ঠান খুঁজে নেওয়ার জন্য নিম্নোক্ত ঠিকানায় খুঁজে দেখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ রইলঃ http://www.exchangebangladesh.com/category-second.php?l=Dental-Technicians
আপনাদের সবার সুন্দর দাঁত এবং সুন্দর হাসির প্রত্যাশায় আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।