বিশ্বসভ্যতা জেগে ওঠো, এক হও

হাসিবুল হক
Published : 4 March 2013, 08:20 AM
Updated : 4 March 2013, 08:20 AM

জামায়াত-শিবিরের তান্ডবলীলা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে । সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেত্রীর বক্তব্যের পর জামায়াত-শিবির তাদের দানবীয় সংঘাতকে আরো ছড়িয়ে দিয়েছে । আমার প্রিয় বাংলাদেশের প্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে ওরা নারকীয় হামলা চালাচ্ছে। কত ত্যাগ আর প্রিয়জন হারানোর বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ওরা প্রকাশ্যে অবস্হান নিয়েছে। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ওদের চরম সন্ত্রাসী অপতৎপরতা আর গোপন নেই।

ওরা একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ করেছে । যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচার চলছে । কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে পাওয়া রায়ে যারা সন্তষ্ট হতে পারেননি বা সংক্ষুব্ধ হয়েছেন তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন । এ আন্দোলন অহিংস । অথচ সাঈদীর বিচারের রায় পাওয়ার পর জামায়াত দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়ার মচ্ছবে নেমেছে । তাদের বক্তব্য সরকার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে দিচ্ছে না । তারা মিথ্যের বেসাতি করছে । জামায়াত তো ট্রাইব্যূনালকেই অবৈধ আখ্যা দিয়েছে । ট্রাইব্যুনালকে ভেঙে দেয়ার নষ্ট আবদার তুলেছে । যুদ্ধাপরাধকেই অস্বীকার করছে । তারা মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ট্রাইব্যুনালের বিরুদ্ধে অন্যায় অন্যায্য বক্তব্য না দেবার শর্তে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছিল । কিন্তু জামায়াত সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্হান নিয়ে ট্রাইব্যুনালকে হুমকি দিয়েছে ঐ সমাবেশ থেকে ।

হিন্দুদের বসতবাড়ি, উপাসনালয়ে আগুন জ্বালিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর মারাত্মক অপতৎপরতা ছড়িয়ে সকল ধর্ম বর্ণের মানুষের একসাথে মিলেমিশে থাকার প্রিয় মাতৃভূমিকে ছারখার করে দিচ্ছে জামায়াত-শিবির । স্নেহময়ী হিন্দু মেয়ের সামনে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা করে উল্লাস করেছে দানব জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা । বিকৃত উল্লাস প্রকাশ করে তারা অসৎ উদ্দেশ্যে অসাম্প্রদায়িক প্রিয় বাংলাদেশকে অপমান করেছে ।

ওরা দানবীয় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় আর বাংলাদেশের জনগণের মুখে ইচ্ছাকৃতভাবে মল ছিটিয়ে দেয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছে । বাংলার আপামর জনগণকে কী ওরা বুঝিয়ে দিতে চায়- দ্যাখ তোরা, ইচ্ছে করলে তোদের মুখ ভরে মুতেও দিতে পারি? এই অপকর্মটিই তোমরা পার তা বিশ্ববাসী জানে এর চেয়ে বেশি যোগ্যতা তোমাদের নেই ।

অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আমরা যারা লিখি, সমাজ সচেতনতার কাজ করি তখন ওরা আমাদের হত্যা করে। তাতে ভয় পাই না। সত্য যে কঠিন । সে কঠিনকে ভালবেসেছি তো সেই কবে থেকেই ।

ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জন করা রক্তভেজা বাংলাদেশের পতাকাকে ওরা ঘেন্না করে। বিশ্ববিবেক, বিশ্বসভ্যতা তোমরা কোথায়? দাঁড়াও বাংলাদেশের পাশে । বাংলাদেশ হেরে যাবে না, বাংলাদেশের মানুষ হারতে জানে না । বাংলাদেশকে হারতে দেব না । প্রিয় বাংলাদেশকে ছিন্নভিন্ন হতে দেব না যাতে এ দেশের ধর্মপ্রিয় মানুষ তার ধর্মাচারকে পালন করতে পারে নির্বিঘ্নে । দানবের কাছে কিছুতেই এ মাথা নোয়াবার নয় ।