শিরোনাম দেখেই অনেকেই ভাবছেন, এটা কোনো প্রশ্ন হল? এটা তো একজন প্রাইমারির স্টুডেন্টও জানে ৪.৮ কিলোমিটার। সত্যই আমিও তাই জানতাম কিন্তু এখন জানি ৪.৮ না ৯০ কিলোমিটার। এখন ভাবছেন কীভাবে? আমার মত যারা ট্রেনে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াত করেন তারা একটু খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন। ধরুন আপনি ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পর্যন্ত টিকেট কাটলেন আপনার শোভন চেয়ারে ভাড়া নিবে ১৩৫ টাকা আবার যদি আপনি শহীদ মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত টিকেট কাটেন তাহলে ভাড়া পড়বে ২২৫ টাকা (আপ বা ডাউনে সেতুর এক প্রান্ত হতে ওপর প্রান্ত পর্যন্ত টিকেট দেয় না তাই মনসুর আলী পর্যন্ত ধরতে হল)।
সেতুর পূর্ব থেকে শহীদ মনসুর আলী পর্যন্ত দুরত্ব ১৪ কিলোমিটার কিন্তু ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে ৯০ টাকা। এই ১৪ কিলোমিটারের জন্য সর্বোচ্চ ভাড়া হতে পারে ১৫ টাকা। অনেকেই ভাবতে পারেন সেতু পারাপার হবার জন্যই বাড়তি টাকা নিচ্ছে। কিন্তু রেলওয়ের ক্ষেত্রে কোনো সেতুতেই টোল দিতে হয় না। যদি টোল হিসাবেও নিত তাহলেও এত বেশি হবার কথা না। একটা ৪০ সিটের বাসের ক্ষেত্রে টোল দিতে হয় ৯০০ টাকা, সুতরাং জনপ্রতি পরে ২২.৫০ পয়সা। সুতরাং একজন রেলের যাত্রীর পড়বে সর্বোচ্চ ২০ টাকা। এই ১৫ টাকা ভাড়া ও ২০ টাকা টোলও যদি ধরা যায় তাহলেও ৪৫ টাকা বেশি নেয়া হয়। আসলে রেলওয়ে এটাকে টোল হিসাবে নেয় না সাধারণ ভাড়া হিসাবেই নেয় তবে সেতুর দুরত্ব বেশি দেখিয়ে।
আপনি যদি কখনো স্টেশনে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্টেশনের দুরত্ব দেখেন তাহলেই বিষয়টি বুঝবেন। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তের দুরত্ব ৯০ কিলোমিটার। এবং এই হিসাবেই আপনার কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হয়। ১৯৯৮ সালেই ২৩শে জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলসেতু চালু করেন এবং তখন থেকেই এই সেতুতে রেল চলছে । এই ১৯ বৎসরে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা অন্যায় ভাবে আদায় করছে। আমি এই অন্যায় ভাবে আদায় করা টাকার হিসাব চাইছি না শুধু এই অন্যায়ভাবে টাকা আদায় বন্ধ করতে অনুরোধ করছি।