দশের মধ্যে এক না হয়ে এগারো হবার প্রবণতা ছাড়তে হবে

কাজী রাশেদ
Published : 12 Jan 2015, 06:20 PM
Updated : 12 Jan 2015, 06:20 PM

বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবি হিসাবে পরিচিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডঃ এমাজুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখেই নির্বাচন হতে পারে। গত বছরের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই একই কথা বলে আসছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সহ অনেক রাজনীতিবিদ এবং বুদ্ধিজীবি মহলের মহলের অনেকেই। আজ নতুন করে এমাজ স্যার যে কথাটি বলছেন সেটি বর্তমান বিশ্বের প্রায় সকল গনতান্ত্রিক দেশেই বিদ্যমান।

বিএনপি সমর্থক পেশাজীবীদের সংগঠন 'শত নাগরিক' এর আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন সোমবার একটি বাংলা দৈনিককে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেন, "হাসিনাকে রেখেও বিএনপি নির্বাচনে যেতে পারে।"

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এই প্রস্তাবে একটা তবে আছে। সেটা হল নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী আর স্বাধীন হতে হবে। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সেটা হবে না। সেনাবাহিনীকে স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে হবে।"(সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪)

শুধুমাত্র তৃতীয় বিশ্বের কিছু দেশ ছাড়া তত্বাবধায়ক সরকারের প্রথা চালু আছে, যা কিনা আমাদের বাংলাদেশেই শুরু হয়েছিলো যতদুর মনে হয়। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে যে সাংবাধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিলো তার থেকে বের হবার উপায় হিসাবে এই প্রথার শুরু। কিন্তু তা ছিলো সাময়িক এক পন্থা। কিন্তু মাগুরার উপনির্বাচনে এক নজিরবিহীন কারচুপির প্রেক্ষাপটে তৎকালীন বিরোধী দলের দাবীর মুখে এই তত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় পরবর্তী নির্বাচন গুলো অনুষ্ঠিত হলেও তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা যে সমাধানযোগ্য কোন ব্যবস্থা নয় তা প্রমানিত। সেই প্রেক্ষাপটে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক রিটের প্রেক্ষিতে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে খারিজ করে দেন। এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বিদ্যমান সরকারের অধীনেই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন।

অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার কথা বিবেচনা করে সকল দলের সমন্বয়ে এক অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং সেই অন্তর্বর্তী সরকার এর অধীনে সাধারন নির্বাচনের কথা ঘোষনা করেন কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এই প্রস্তাবে বেগম খালেদা জিয়া এবং জামাত রাজী হন নি। এবং এটাও সত্য যে সেই সময় অনেক নিষ্পাপ প্রাণঘাতী হলেও এমাজুদ্দীন স্যার এই প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলেন নি।

বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বের বিস্ময় হয়ে আবির্ভূত হচ্ছে শিক্ষা, কৃষি সহ অনেক ক্ষেত্রেই সাফল্য দেখিয়ে। সেইসময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদলের আত্মঘাতী আন্দোলন শুধুমাত্র এদেশের অগ্রগতিকেই পিছিয়ে নিতে পারবে অন্যকিছুই নয়। আমরা সাধারন মানুষ শ্রদ্ধেয় স্যারের মতামতকে গুরুত্বের সাথে বেগম খালেদা জিয়া অনুধাবন করবেন এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় দেশ কে বিশ্বের দরবারে আরো উঁচুতে নিয়ে যেতে যোগ্যভাবে নেতৃত্ব দেবেন এই প্রত্যাশা করছি।

ডাঃ লুতফর রহমান স্যারের কথা অনুযায়ী দশের মধ্যে এক না হয়ে এগারো হবার যে প্রবণতা তা শুধু আমাদের দেশকে পিছিয়েই নিয়ে যাবে। বিদেশীদের কাছে শুধু বিদ্রূপের পাত্র হতে সাহায্য করবে অন্য কিছু নয়।