প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতি নয়, কার্যকর পদক্ষেপ চাই

কাজী রাশেদ
Published : 25 Oct 2015, 04:47 AM
Updated : 25 Oct 2015, 04:47 AM

দারুস সালামে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছুরিকাঘাতে নিহত হওয়ার সংবাদের রেশ না মিলিয়ে যেতেই ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আশুরার মিছিলের প্রস্তুতি পর্বে বোমা বিস্ফোরনে প্রাণ হারালো একজন শিশু। আহত হয়েছে শতাধিক। বাংলাদেশে এই প্রথম আশুরার মিছিলে হামলা চালানো হলো।হতাহতের দিক থেকে সংখ্যাটা প্রণিধান যোগ্য না হলেও মৃত্যুর সংখ্যা আরো বেশি হওয়াটাই ছিলো স্বাভাবিক। গত কয়েকদিন ধরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় সরকার প্রসংশনীয় ভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করেছিলো। কিন্তু আশুরায় যে এমন হামলা হতে পারে এটি কল্পনাতেই আনে নাই কেউ।

বিগত বছরগুলোতে আমাদের দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার এক হীন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমাদের দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের দোষর এদেশীয় যুদ্ধপরাধীদের বিচার যেদিন থেকে শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই সেই পরাজিত শক্তি নতুন উদ্দোমে বাংলাদেশকে বিদেশের কাছে একটি জঙ্গি এবং অকার্যকর রাষ্টে পরিনত করার সকল প্রকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই যে তাদের কার্যক্রম এবং ষড়যন্ত্র এটাই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক আমাদের আইন শৃংক্ষলা রক্ষায় যারা নিয়োজিত তাদের বারবার ব্যর্থতা, এই ব্যর্থতা দেশবাসিকে সংকিত করে তুলছে। প্রতিবার একেকটি ঘটনা ঘটছে, মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে এরপরে কিছুদিন হইচই করে সময় পার হচ্ছে। সরকার এবং তার বাহিনীর আন্তরিকতার কোন দোষ দিচ্ছি না। কিন্তু জনগনের সহ্যের সীমা বলে একটি কথা আছে সেটা ভুলে গেলে চলবে না।

বাংলাদেশকে পাকিস্থানের মতো একটি ভংগুর রাষ্ট হিসাবে দেখার জন্যে এদেশের ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হয় নাই, দুই লাখ মাবোন সম্ভ্রম হারান নাই। সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে নাগালের বাহিরে। আত্ম তৃপ্ত হওয়ার সময় এখন নাই। সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এইসব চক্রান্তকারীদের আস্তানা গুরিয়ে দিতে হবে।

জনগন অনেক সময় নিরূপায় হয়ে নেগেটিভ সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করে না। সেক্ষেত্রে কিন্তু সব অর্জনই ধুলিসাৎ হয়ে যাবে।