কক্সবাজারের বন্যাদুর্গতদের জন্য সংগৃহিত ফান্ড থেকে সাড়ে বাইশ হাজার টাকা রয়ে গেছে আমাদের হাতে, যা কিভাবে কাদের সাহায্যে ব্যয় করা হবে তা জানতে চাওয়া হয়েছিলো মিশন একমপ্লিশড! ব্লগারদের আন্তরিক অভিনন্দন! এই পোস্টে। কিন্তু তেমন কোনো অগ্রগতি হয় নি। উক্ত টাকা যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানে দেয়া যায় তার একটা ধারণা আমি নিচে দিলাম:
১. আমাদের পাঠশালা
বঞ্চিত শিশুদের জন্য মানসম্মত মানবিক শিক্ষা' স্লোগান নিয়ে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে কয়েক জন তরুণ সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে ঢাকার পল্লবীতে প্রতিষ্ঠা করেছেন আমাদের পাঠশালা নামে একটা বিদ্যায়তন। এখানে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে দরিদ্র ও বঞ্চিত শিশুরা।
আমাদের পাঠশালা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংবাদ ও ব্লগ পোস্ট
আমাদের পাঠশালা'য় স্বপ্নের বুনন
আমাদের পাঠশালা, একটি সামাজিক দায়বদ্ধতার বীজবপন। আড্ডা আর উদ্যোগের গল্প
২. স্বপ্নরথ
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়, যখন প্রতিদিন কিছু ছেলেমেয়ে স্কুলে যওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয়, তখন আরেক দল শিশু জাতীয় সড়কে নেমে পড়ে, জীবনের জন্য। এই সব রাস্তা তাদের জন্য জীবিকার একটা উপায়। এদের কেউ পথে আবর্জনা কুড়ায়, কেউ কেউ বিক্রি করে নানাবিধ পণ্য, যার মধ্য চা ও সিগারেট অন্যতম।
এই সব শিশুদের অনেকের জন্য স্কুল একটা স্বপ্নের জায়গা। এই সব শিশুরা যে সমাজে বাস করে সেখানে স্বপ্ন ও বাস্তবতার দূরত্ব অনেক। তবে এ রকম কিছু শিশুদের স্বপ্ন পুরণে এগিয়ে এসেছে একদল তরুণ। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য তারা একটি স্কুল চালু করেছে, যার নাম "স্বপ্নরথ"।
বিস্তারিত দেখতে পারেন এখানে বাংলাদেশঃ স্বপ্নরথ, বস্তির শিশুদের জন্য এক স্কুল
৩. ফাউন্ডেশন
একটা ফাউন্ডেশন তৈরী করার প্রস্তাব আগে থেকে আলোচিত হচ্ছিলো। তবে এ বিষয়ে যাবতীয় উদ্যোগ ও দায়িত্ব একমাত্র ব্লগারদের নিতে হবে। এ বিষয়ে আমার প্রস্তাব হচ্ছে ফাউন্ডেশনের সাথে প্রতিষ্ঠানের নাম সম্পৃক্ত না করা। এটা হতে পারে ব্লগারস ফর হিউম্যানিটি বা এরকম কিছু। টাকাটা এ ফাউন্ডেশনে যেতে পারে। তবে এ সিদ্ধান্ত ব্লগারদের নিতে হবে। ব্লগ টিম এই সংগঠনকে সহায়তা প্রদান করবে মাত্র, কোনোভাবেই এর কোনো দায়িত্ব নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছে।
তবে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আপনাদেরই নিতে হবে। প্লিজ দয়া করে জলদি করুন। টাকাগুলোর যত তাড়াতাড়ি মানুষের উপকারে ব্যয় করা যায় – ততই মঙ্গল।