আমাদের দেশের বড় সমস্যা কি? যদি ' ….. সামনে, পেছনে মসজিদ' এমন ডায়লগ মারে কেউ তার জন্য কয়টা লাইক হবে?
দেশের সমস্যা কী আমি জানি না। মানে একবারে তীব্রতম সমস্যা। তবে বিবাহের বয়স যে ১৬ বছর করার – মানে ১৮ বছর থেকে ২ বছর কমিয়ে ১৬ বছর করা হচ্ছে এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র। দেশকে মধ্যযুগে না – প্রস্তরযুগে ফিরিয়ে নেবার জন্য প্রস্তরযুগের কিছু প্রাগৈতিহাসিক মানুষের কানপড়া প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন।
এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারে যে দুটো বিষয়কে তুলে আনা হয়েছে মানুষের দরবারে তা হলো ক) নারীর শিক্ষা – বিশেষত মেয়েদের ছোটবেলা থেকে শিক্ষার প্রতি অনাগ্রহ তৈরির যে সামাজিক আয়োজন তার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি আর খ) শিশুদের বাধ্য করে অথবা পরিস্থিতি তৈরি করে শ্রমযুক্ত কাজে নিযুক্ত করার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা।
দুটো বিষয় শিশুর অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট – একটাতে দরিদ্র শিশুদের তুলে আনা হয়েছে এবং আরেকটাতে ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে শিশুর বিপর্যয়ের বিষয় তুলে আনা হয়েছে।
আরো স্পষ্ট করে বললে দুটো বিষয়ে সবচেয়ে বেশি করুন অবস্থা বিশ্বের যে অঞ্চলে তা তুলে আনা হয়েছে। পরস্পর বিবাদমান রাষ্ট্র হলেও তাদের শিশুদের অবস্থা যে পরস্পর থেকে খুব আলাদা নয় সেটা স্পষ্ট হয়।
তবে একই সাথে এটাও আশার যে সেখানে আইকন তৈরি হয়েছে – শিশুর পক্ষে মানুষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির ক্ষেত্রে যা এখন আরো বেশি কাজে লাগবে।
ঠিক বিপরীত কাজটা হয়েছে বাংলাদেশে। যেখানে রাষ্ট্রপ্রধান প্রথমত অধিক সন্তান, দুইয়ের বেশী সন্তান নেবার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করেছেন – দরিদ্র মানুষদের অধিক সন্তান নেবার প্রচারণা চালিয়ে আরো বেশী দরিদ্র শিশু জন্মানোর ব্যবস্থা করেছেন এবং দ্বিতীয়ত ১৬ বছরের একটা শিশুকে বিবাহ দেয়ার আইন বানাবার চেষ্টা করে শিশুদের শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ করার চেষ্টা করছেন।
১৬ বছরের বিয়েতে বাংলাদেশের 'আর্লী ম্যারিজ' এর দুর্নাম ঘোচানোর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মূলত মানুষের সাথে চরমতম ধোঁকাবাজি। এর সাথে এনজিও, ডোনার এবং সরকারী যোগসূত্রতা আছে। কারণ যে এনজিওরা বিবাহের বয়স বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ আন্দোলন করেছে এখন তারা একদমই মুখে কুলুপ মেরে বসে আছে। কিন্তু এতে আর্লী ম্যারিজ সংক্রান্ত কোনো সামাজিক সমস্যাগুলো দূর হবে না তো হবে নাই, বরঞ্চ আরো প্রকট হবে।
আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, এমন দেশঘাতি সিদ্ধান্ত নিতে দেয়া যাবে না কোনভাবে, সংসদে পাস হবার আগে সংসদের সামনে দাঁড়াতে হবে প্রতিবাদী ব্যানার নিয়ে – নইলে অন্ধ, বদ্ধ, মৌলবাদী গোষ্ঠীর প্ররোচনায় দেশের সর্বনাশ করে ছাড়বে এই সরকার!