একবার এরা, আরেকবার ওরা

হাসান মামুনহাসান মামুন
Published : 3 April 2011, 10:14 AM
Updated : 29 August 2013, 06:52 AM

সংবিধান থেকে 'এক চুলও না নড়া' এবং 'আন্দোলনের বাতাসে সব চুল উড়ে যাওয়া' সংক্রান্ত দুই নেত্রীর বক্তব্য নিয়ে অনেক আলোচনা হল। হয়তো আরও হবে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিরোধী নেত্রী যেদিন দ্বিতীয় উক্তিটি করেন রাজধানীর এক সমাবেশে, সেদিন আরেকটি উক্তি করেছিলেন তিনি। সেটি অত মজার না হলেও গুরুত্বপূর্ণ, যদিও তা বোধহয় আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি।

বিরোধী নেত্রী বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের মানুষ এমন যে, যত কাজই করুক না কেন, তারা পরিবর্তন চায়। একবার এরা, আরেকবার ওরা'। সম্প্রতি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকারি দল সমর্থিতরা হেরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীও আক্ষেপ করেছিলেন 'অনেক উন্নয়নকাজের পরও' অন্তত দুজন মেয়র প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে। সাধারণভাবেও মনে করা হচ্ছিল, ওই দুজন যে কোনো পরিস্থিতিতে জয়ী হবেন।

সেটি ঘটেনি। কেন ঘটেনি, তা নিয়ে আছে একাধিক মত। এমন একটি মত আছে যে, মানুষ পরিবর্তন চায়। এ ক্ষেত্রে কেউ কেউ ভোটারদের মহিমান্বিত করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের বিরোধী প্রার্থীদের তারা নির্বাচিত করে বিশেষত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। এভাবে নাকি তারা শাসনব্যবস্থায় একটা 'ভারসাম্য' আনতে চায়। সব ক্ষেত্রে এমনটি না ঘটলেও এ তত্ত্বায়ন কিন্তু হয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বলা হয়ে থাকে, কোনো ক্ষমতাসীন দলকে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত করতে চায় না এ দেশের মানুষ। এরশাদ পতনের পর যত নির্বাচন হয়েছে (১৫ ফেব্রুয়ারির 'নির্বাচন' বাদে), সত্যি সত্যি ততবারই দেখা গেছে বিরোধী দলকে ক্ষমতায় চলে আসতে। বিরোধী নেত্রী যেমনটা বলেছেন– একবার এরা, আরেকবার ওরা।

নব্বইয়ের আগে গেলে কিন্তু দেখা যাবে, নির্বাচনে এমন আচরণ করেনি জনগণ। তখন যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেগুলোর মান নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন আছে। বিএনপি এ সংক্রান্ত আলোচনায় গিয়ে স্বস্তি পাবে না; ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টিও না। এ দুটি দলই গড়ে উঠেছিল রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে, অর্থাৎ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারায় নয়। মানহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে তারা এক ধরনের বৈধতাও পায়। সেই সঙ্গে জনভিত্তি লাভে সমর্থ হন দুই সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।

ক্ষমতায় থাকাকালে কোনো 'নির্বাচনে' তাদের দল কি পরাজিত হয়েছিল? তর্কের খাতিরে অবশ্য বলা যায়, ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনেও বিপুলভাবে জয়ী হয় বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ। কোনো কোনো আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মান নিয়ে তখনও বিতর্ক ওঠে। তবে ব্যাপকভাবে নিম্নমানের নির্বাচন হয়েছিল ১৯৭৩ সালে, সেটি বলা যাবে না। ১৯৭৫-এর পর ১৯৯০ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোর সঙ্গে তার তুলনা করাও সঙ্গত হবে না।

পেছন ফিরে তাকাতে শুধু বলতে যে, একবার এরা, আরেকবার ওরা– আমাদের দেশে এটা সত্য হয়েছে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পরই। তার আগে নয়। সেটি কি এ জন্য যে, জনগণের মনোভাব পাল্টেছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, অভিজ্ঞতার নিরিখে? নাকি তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর মতো ব্যবস্থাই ছিল না তখন?

কোনো একটি নির্বাচনে 'মিডিয়া ক্যু'র অভিযোগও জোরেশোরে উঠতে দেখেছিলাম আমরা। তখন অবশ্য সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াই নির্বাচনের ফল প্রচার করত। নব্বইয়ের পর সেখানেও এত পরিবর্তন এসেছে যে, অসম্ভব ক্ষমতাধর কেউ চাইলেও মিডিয়া ক্যু এখন আর সম্ভব নয়।

যাহোক, নব্বইয়ের পর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনগুলো মানসম্পন্নই হয়েছে। পরাজিত দল ছাড়া তেমন কেউ এ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেননি। তো যাদের তত্ত্বাবধানে এসব নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পেরেছিল, তাদের আবারও দায়িত্ব দেওয়ার কথা তুলেছে বিরোধী দল। সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও সে অনুযায়ী সংশোধিত সংবিধান অবশ্য বলছে ভিন্ন কথা। সেখান থেকে 'এক চুলও' নড়তে রাজি নন প্রধানমন্ত্রী। আর এরই জবাবে বিরোধী নেত্রী বলেছেন, আন্দোলনের বাতাসে তার সব চুল উড়ে বা এলোমেলো হয়ে যাবে ইত্যাদি।

এ নিবন্ধে আলোচনার বিষয় সেটি নয় অবশ্য। বিষয়– একবার এরা, আরেকবার ওরা। বিরোধী নেত্রী এতটাই আস্থাশীল যে, যত উন্নয়নকাজই করুক সরকার, কোনো লাভ নেই– ক্ষমতাসীনদের পুননির্বাচিত করবে না জনগণ। বিরোধী দলকেই ক্ষমতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।

একথা তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলছেন পাঁচ সিটি নির্বাচনে তাদের সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা দারুণভাবে জিতে যাওয়ার পর। এতে ক্ষমতাসীনদের মধ্যেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে জনমত ঘিরে দুশ্চিন্তা। ভোটারদের বিচারবুদ্ধি নিয়েও এক ধরনের প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাদের দিক থেকে। নিয়মিতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল সাধারণত এমন প্রশ্ন তোলে না। তাদের বরং প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় নির্বাচনের মান নিয়ে।

অবশ্য ক্ষমতায় থাকাকালে এমন প্রশ্ন তোলা যায় না। বর্তমান সরকারকে তো বলতে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে বা সরকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে না আগের মতো; সুতরাং এ সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে। গণতান্ত্রিক দেশে যে এমনটাই হয়ে থাকে, সেটিও তারা ঘটা করে বলছেন।

তাদের কথায় বিএনপি ও এর মিত্ররা মোটেও কান দিচ্ছে না। ছোটখাটো ওইসব নির্বাচনী বিজয়ের মধ্য দিয়ে জাতীয় নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিই জোরালো হচ্ছে বলে বক্তব্য দিচ্ছেন তারা। এটাও ধরে নিয়ে বসে আছেন, তেমন একটি নির্বাচন হলে তারাই জিতবেন এবং অতীতের মতো জিতবেন বিপুলভাবে।

সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোয় ক্ষমতায় পরিবর্তনই শুধু হচ্ছে না, জয়-পরাজয়ও ঘটছে বিপুলভাবে। যত দিন যাচ্ছে, আরও স্পষ্ট হচ্ছে এ প্রবণতা। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। 'সুইং ভোটাররা' ব্যাপকভাবে হেলে পড়াতেই ঘটেছিল এটি। এবারও তেমনটি ঘটলে একই ধরনের ফল হওয়ার সুযোগ নাকি রয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য সেটি ভালো না মন্দ, তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন ছিল; এখনও আছে।

এটিও বর্তমান নিবন্ধের আলোচ্য নয়। আলোচ্য বরং– একবার এরা, আরেকবার ওরা। 'যতই কাজ করুক', লাভ হবে না! বিষয়টি কি তাই? বিরোধী নেত্রীর এ কথা সত্য হলে তো কোনো সরকারই উন্নয়নকাজ করত না। বড়জোর 'রুটিন ওয়ার্ক' করত। তার নেতৃত্বাধীন দুটি সরকারও বসে থাকত হাত গুটিয়ে; কেননা পরবর্তী নির্বাচনে পরাজয় তো সুনিশ্চিত। কিন্তু বাস্তবতা হল, অনির্বাচিত সরকারও কিছু না কিছু উন্নয়নকাজ করে আর এতে রাখে তার রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার ছাপ।

নির্বাচিত সরকার সুস্পষ্টভাবে কিছু নীতিও গ্রহণ করে এবং তা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়। নির্বাচনী কিছু অঙ্গীকারও থাকে। সেগুলো বাস্তবায়নে ব্রতী না হলে তাদের আবার সমালোচিত হতে হয়।

এখন কথা হল, বিরোধী নেত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী জনগণ কি মূল্যায়ন করে না এর কোনোটারই? চোখ-কান বন্ধ করে শুধু একবার একে আর অন্যবার ওকে ভোট দিয়ে বাড়ি চলে যায়? এমন উক্তি করে তিনি কি জনগণের প্রশংসা করলেন; নাকি নিন্দাই করলেন প্রকারান্তরে?

একই উক্তি কি তিনি করবেন আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় চলে এসে সেই মেয়াদের শেষ ধাপে পা রেখে? তখন কিন্তু উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে তিনিও বলবেন, অ্যাত্তো 'কাজ' করেছি, জনগণ ভোট দিয়ে আমাদেরই আবার ক্ষমতায় বসাবে।

আমাদের প্রধান নেতা-নেত্রীরা প্রতিদিন এত বক্তৃতা করেন আর তাদের নামে এত কথা প্রচারিত হয় যে, অনেক গুরুত্বপূর্ণ উক্তি হয়তো সুধী সমাজেরও নজরে পড়ে না। বিরোধী নেত্রীর আলোচ্য উক্তিটি বোধহয় সে রকম। এমন উক্তি করেছেন বলে তিনি কিন্তু অন্য কোথাও বলতে অসুবিধা বোধ করবেন না যে, সরকার কাজের নামে অকাজ করেছে বেশি। আর এজন্যই জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে আগামী নির্বাচনে, যদি সেটি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় ইত্যাদি।

আমাদের বিরোধী নেত্রী এমন একটি উক্তি ছুঁড়ে দেওয়ার কয়েকদিন পরই ভারতের ক্ষমতাসীন ইউপিএ সরকারের মূল শরিক কংগ্রেস প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করলেন যে, আগামী নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন জোটই তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করবে। আমরা জানি, দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠন করে তারা প্রতিবেশী এ দেশটি পরিচালনা করছেন এখন। তথ্য অধিকার, শিক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখার জন্যই ভারতের জনগণ আবারও তাদের ভোট দেবে বলে তিনি মনে করেন।

এমনটি মনে করেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীও। ঈদের সময়টায় রাজধানীর বিলবোর্ডে ক্ষমতাসীনরা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন বর্তমান শাসনামলে কী কী করেছেন তারা। রীতিনীতি ভেঙে কাজটিতে নেমেছিলেন হয়তো; তারা সেখান থেকে সরেও এসেছেন। কিন্তু যেসব দাবি ওখানে তারা করেছেন, সেগুলোর সব মিথ্যা নয়। কোথাও কোথাও হয়তো অতিরঞ্জন রয়েছে, তবে কাঁচা মিথ্যা কোনোটাই নয়।

জনগণ এগুলোর কোনো রকম মূল্যায়ন না করলে নিশ্চয়ই ঠিক করবে না। সরকার যেসব করেনি বা করতে গিয়ে গোলমাল করে ফেলেছে কিংবা মুখে একটা বলে করেছে অন্যটা, তারও মূল্যায়ন জনগণ করবে বলে মনে হয়।

আমাদের দেশে একটা মুশকিল বোধহয় ঘটছে যে, নির্বাচনে জনগণ কেবল বিচার করছে সরকারের কাজকর্ম। কাজকর্মের ভেতর দিয়ে তার যে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পাচ্ছে, সেটির। তারা মনে হয় না বিরোধী দলের কোনো রকম মূল্যায়ন করছে।

সরকারে না থাকলেও বিরোধী দল হিসেবে সংসদে ও রাজপথে তারা কী ভূমিকা রাখল, গণতন্ত্র শক্তিশালী করা বা জনস্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট হল কিনা– বিচার করা উচিত নয় এগুলো? এর ভেতর দিয়ে তাদেরও কি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটছে না? ভোটাধিকার প্রয়োগে সেটি কি কোনো মূল্যায়নের বিষয় নয়?

তারা নিকট অতীতে দেশ পরিচালনা করে থাকলে তাও কি একেবারে বিস্মৃত হওয়ার বিষয়? বিগত নির্বাচনে তাদের বিচার একবার হয়ে গিয়ে থাকলেও দেখার বিষয় নয় কি ওটা থেকে দল বা গোষ্ঠীটি কোনো শিক্ষা নিয়েছে কিনা?

'জনগণ' বলতে আমরা কাদের বোঝাচ্ছি, সেটি অবশ্য খতিয়ে দেখার বিষয়। জনগণের সবাই তো ভোটার নয়। কোনো নির্বাচনেই ভোটারদের সবাই ভোট দিতেও যায় না। যারা যায়, তার সিংহভাগ আবার প্রধান কয়েকটি দলের একনিষ্ঠ ভোটার। পছন্দের দল কাজ বা অকাজ যাই করুক, তারা সেটির সঙ্গে আছে। জনবাদী হয়ে এ প্রবণতার প্রশংসা করা যাবে কি?

নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণে ভূমিকা রাখছে আসলে (শতাংশের হিসেবে) কমসংখ্যক সুইং ভোটার। এদের নিয়েই চলছে কাড়াকাড়ি। নব্বইয়ের পর প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে এরাই একবার এর, আরেকবার তার দিকে হেলে পড়ছে; বেশি হেলে পড়লে ঘটে যাচ্ছে 'সুনামি'। এ সুইং ভোটারদের কাছেই বেশি দাবি থাকবে যথাযথ মূল্যায়ন করে ভোট দেওয়ার।

উভয় পক্ষকেই তো ক্ষমতা ও ক্ষমতার বাইরে দুবার করে খেলতে দেখল তারা। এ অবস্থায় কিছুটা মোহমুক্ত হয়ে ও দায়িত্ব নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপার রয়েছে বৈকি।

গণতন্ত্র অবশ্য কেবল ভোটাভুটির ব্যাপার নয়; সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত একদিনের একটা নির্বাচনে কোনো দল বা গোষ্ঠীকে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ক্ষমতায় বসানোর বিষয়ও নয়। এটি গণতন্ত্রের পদ্ধতি বা শর্ত মাত্র। দুর্ভাগ্যজনক হল, গণতন্ত্রকে শুধু এই একটি বিষয়ে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে দেশে। এটা সফল হতে দেওয়া যাবে না। প্রতিদিনের চর্চা তথা রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার জবাবদিহিতার জায়গায় আনতে হবে গণতন্ত্রকে।

একবার একে, আরেকবার ওকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যাওয়াটা যে কোনো কাজের কথা নয়, সেটি জোর দিয়ে বলতে হবে।

হাসান মামুন : সাংবাদিক