কৃষ্ণচূড়া আড্ডা: রঙে রঙে রাঙায়িত, প্রাণে প্রাণে প্রাণায়িত

আইরিন সুলতানাআইরিন সুলতানা
Published : 30 April 2011, 08:27 AM
Updated : 30 April 2011, 08:27 AM

কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিখ রেজিয়া (Delonix regia)। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুন লাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। এটি ফাবাসিয়ি পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ যা গুলমোহর নামেও পরিচিত।

এভাবে উইকিপিডিয়া দিয়ে শুরু করলে আপনার নিশ্চয়ই মনে হবে, ব্লগের বদলে ভুল করে বোটানি ক্লাসে লগ-ইন করে ফেলেছেন। ব্লগার রাজামশাই কৃষ্ণচূড়াকে ছ্যাঁকা ফুল নামকরণ করেছেন। আমরা মোটেও শুরুটা এভাবে করবো না।

আমি ঠিক করেছি যদি একদিনের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারি তবে দেশে কৃষ্ণচূড়ার বিপ্লব ঘটিয়ে দিব!!

আমরা বরং শুরুটা ব্লগার তমা'র "~~এবং কৃষ্ণচূড়া~~" পোস্টের শেষটার মত করে করতে পারি।

বেরসিকের মত উইকিপিডিয়া বলছে,

কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়।

অথচ আমাদের চোখ প্রতিদিন পুড়ে যাচ্ছে পথেঘাটে কৃষ্ণচূড়ার বাহারি রক্তাভ বর্ণে! উত্তরা এয়ারপোর্ট রোড, টিএসসি অথবা সংসদ ভবন সংলগ্ন লেকের পাড়ে সারি সারি আগুন দূর থেকেও চোখে পড়ে। বনানী-গুলশানের মত ইট-পাথরের নিষ্প্রাণ এলাকায় কোন এক ফাঁকে গ্রীবা তুলে আগুন ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে কৃষ্ণচূড়া গাছ। মিরপুরের ধুন্ধুমার বৃক্ষ কর্তন উৎসবের পরও চোখে পড়ছে একটা-দুটো কৃষ্ণচূড়ার গাছ। মিরপুরবাসীর মন পোড়াতে বদ্ধ পরিকর ওরা।

আপনার চোখে কৃষ্ণচূড়া কিভাবে ধরা পড়ে বলুন তো?

এমন রাধাচূড়ার পাশাপাশি?

সাজানো অবসরের বুকে টুপ করে নেমে আসে কি কৃষ্ণচূড়ার ফুল?

ব্যস্ত যাত্রায় কৃষ্ণচূড়া ফুলের ময়ূরী ভঙ্গিমা আপনার অফিসমুখী যাত্রার মোড় ঘুরিয়ে দেয় নাকি?

পথের উপর এভাবে কৃষ্ণচুড়া পড়ে থাকলে টুপ করে তুলে নিয়ে পকেটে অথবা হাতের ব্যাগে পুড়ে নেন কি?

আচ্ছা, এক ছরা ডালে কতগুলো কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে থাকে জানেন কি?

আসুন, গুনে নেয়া যাক।

বিবর্ণ শহরটা হঠাৎ রঙিন ক্যানভাস হয়ে উঠেছে; দেখে নেয়া যাক।

নগরবাসীরা মৃত নয় আর। একটা চিৎকার দিয়ে জানান দেয়া যাক।

তো একটা আড্ডা হয়ে যাক? কৃষ্ণচুড়া ফুলের শোভায়, পাতার ছায়ায় আমরা জমায়েত হয়ে মাতিয়ে রাখি কিছুটা সময়।

প্রস্তাবিত দিন-ক্ষণ-স্থান:


শুক্রবার, ৬ই মে ২০১১
বিকেল ৪:০০ টা
জমায়েত স্থল: সংসদ ভবন সংলগ্ন লেক-সেতু

আড্ডায় আসার প্রথম, প্রধান এবং একমাত্র শর্ত হলো আপনাকে নির্মল আড্ডাবাজ হতে হবে।

আর প্রতিটি ব্লগ আড্ডায় ব্লগারদের কাণ্ডকীর্তি ক্যামেরার ফ্রেমে যেমন প্রাণবন্ত সাবজেক্ট, তেমনি কৃষ্ণচূড়াও যে দূর্ধর্ষ ফটোগ্রাফি সাবজেক্ট, তা নিশ্চয়ই বাঘা বাঘা ফটোগ্রাফাররাও মানবেন।

তাহলে ফটোগ্রাফারদের জন্য কৃষ্ণচূড়া প্রত্যাহ্বান আর আড্ডাবাজদের জন্য আড্ডাহ্বান!

আমরা জেনে নেব আপনার এলাকায় ক'টা কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে।

কৃষ্ণচূড়া আড্ডায় মেতে উঠি সবাই!

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ওখানে ঝালমুড়ি, বাদাম, ডাবের পানি, তালের রস, আইসক্রিম, কুলফি, চা-কফি যথেষ্ট পরিমাণে সুলভে আশেপাশে পাওয়া যাবে।

***
কৃষ্ণচূড়া নিয়ে …

১.ব্লগার সাদিক মোহাম্মদ আলম এর ফটো ব্লগ: ফটোব্লগ। বৃষ্টি বিকেলের কৃষ্ণচূড়া
২. ব্লগার মীর এর গল্প: গল্প: আমি তো দিয়েছিলাম তোমায় কৃষ্ণচূড়া ফুল