ছোট ছোট দরিদ্র ছেলে-মেয়েরা চকলেটের প্যাকেট হাতে বাসে ওঠে। সাথে থাকে প্রিন্ট করা চিরকুট। এরা টাকা-পয়সা সরাসরি চায় না। বরং বাসে উঠেই সকল যাত্রীদের কোলে চিরকুট রেখে দেয়; হাতে চিরকুট ধরিয়ে দেয়ে। বিলি শেষ হয়ে গেলে আবার চিরকুট ফেরৎ নিতে শুরু করে; সাথে টাকা, চিরকুটে যেমনটা লেখা থাকে। বিনিময়ে চকলেট দেয়া হয়।
এ সরাসরি ভিক্ষাবৃত্তিক উপার্জন নয়। চকলেট ব্যবসা করেই উপার্জন। কিন্তু ভিন্ন-অভিন্ন রুটের বিভিন্ন বাসে বিভিন্ন ছেলেমেয়েদের হাতে ধরা চিরকুটের বক্তব্য একই রকম দেখা যায়। নামের পার্থক্য থাকে কেবল। বাদবাকি সবার ক্ষেত্রেই পারিবারিক সমস্যার বর্ণনা প্রায় একই থাকে।
রোজার সময় বিশেষত এই চিরকুট-চকলেট বেচা শিশু-কিশোর-কিশোরীদের বেশি দেখা যায়। সকলের একই পদ্ধতিতে ব্যবসা বা ভিক্ষাবৃত্তি করাকে একই সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ বলেই মালুম হয়।
প্রসাশনের নজরে বিষয়টি এসেছে কি?
***
ছবিটি বছর খানেক বা তারো কিছু আগে তোলা ছিল বোধকরি। সম্ভবত উত্তরা রুটের বাসে। মোবাইল ক্যামেরায় তোলা।