সরকারের দুর্নীতিতে ধ্বংসের মুখে স্বাস্থ্য সেবা

লিয়া সরকার
Published : 22 Nov 2012, 05:30 AM
Updated : 22 Nov 2012, 05:30 AM

চিকিৎসা সেবা পাওয়া আমাদের মৌলিক অধিকার । আমরা অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে ততটা অসহায়ও হই । আমরা কিংবা আমাদের প্রিয়জন যখন অসুস্থ হয় তখন যে কোন মুল্যে তাকে সারিয়ে তুলতে চাই । আর তখনই এই সেবা নিতে গিয়ে আমরা নানামুখী প্রতিকূলতার সম্মুখীন হই । প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাঃ এর অভাব থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব , হাসপাতালের অভাব ইত্যাদি । চিকিৎসার জন্য লাগামহীন খরচের কথা তো বলাই বাহুল্য ।কষ্ট করে এত কিছু নিশ্চিত করার পর দেখা যায় রোগ তো সারে না , রোগীর অবস্থা বেহাল হয়ে যায় । সব মিলিয়ে হয়রানির সীমা থাকে না । সেজন্য যারা সামর্থ্য বান তারা দেশের বাহিরে চিকিৎসা করেন এবং অন্যদেরও তা পরামর্শ দেন । আমাদের দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় সমস্যার অন্ত নেই । সব তো আলোচনা করা সম্ভব নয় ,তাই আমি মৌলিক কিছু সমস্যা তুলে ধরে তার সমাধানে কিছু পদক্ষেপের কথা বলব।

সমস্যা ঃ

হাসপাতাল , ডাঃ এর অভাবের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর ভুয়া ডাঃ ,কবিরাজ , তান্ত্রিক গ্রামের সাধারন মানুষকে ঠকিয়ে ঝাড় ফুঁক , তাবিজ কবজ ও বিভিন্ন তান্ত্রিকতার আশ্রয় নিয়ে হাজার হাজার টাকা কামিয়ে নিচ্ছে । আর এসব অপচিকিতসায় রোগীর জীবনে এনে দিচ্ছে লাগামহীন দুর্দশা ।
রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে ঢোকা মুশকিল হয়ে যায় । এ্যাম্বুলেন্স কিংবা অন্য কোন বাহন যাই হোক না কেন, হাসপাতাল গেটে প্রবেশ করা মাত্রই দালালেরা টানা হেঁচড়া শুরু করে । এরা স্থানীয় ক্লিনিকের দালাল । সামান্য কমিশনের বিনিময়ে তারা এই কাজটি করে থাকে । হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা হবে না ,কম খরচে উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশল করে রোগীর আত্মীয় স্বজনকে ক্লিনিকে নেয়ার জন্য ঠিকই পটিয়ে ফেলে । তারপর রোগীদের আর হয়রানীর শেষ থাকে না । টাকা নিয়ে আর সেবার নাম নেই । প্রয়োজনে শুরু করে নতুন করে টাকা নেয়ার কৌশল । হাসপাতালের কতিপয় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা স্থানীয় ক্লিনিকের সাথে কমিশনের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হাসপাতালের রোগী ক্লিনিকে সরবরাহ করে থাকেন।

রোগীর তুলনায় হাসপাতাল , ডাঃ , নার্স , এর সংখ্যা অনেক কম । এই সমস্যা তো আমাদের আছেই । তার উপর অনেক সময় অফিস চলাকালে ডাঃ দের পাওয়া যায় না । কিন্তু কেন ? তাহলে তো তিনি অনৈতিক কাজ করছেন । সরকার তো তাকে বেতন দিচ্ছে । হাজিরা খাতায় নাম আছে ঠিকই , কিন্তু তিনি অনুপস্থিত । এই পবিত্র পেশার কাণ্ডারিরা এত অনৈতিক কাজ কেন করবেন ?

বিপদ আপদ ত বলে কয়ে আসে না । ঈদের সময় রোগীরা ডাঃ এর অভাবে হাসপাতালে সেবা পায় না । কিন্তু এটা ত স্বাভাবিক চিত্র থাকার কথা নয় । ঈদ এলেই স্বাস্থ্য মন্ত্রী হাসপাতাল ভিজিট করেন এবং ঈদের সময় হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চিকিৎসায় সেবায় অনিয়ম পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সতর্ক করেন । তার পরও চিত্র বদলায় না । এ সময় রোগীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না ।

হেলথ ওয়াচ নামের এক বেসরকারি সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য: বাংলাদেশে একজন চিকিৎসক গড়ে প্রতিটি রোগীর পেছনে সময় দেন মাত্র ৫৪ সেকেন্ড। হেলথ ওয়াচের সমীক্ষার হিসাবে, বাংলাদেশে ২০১০ সালে মোট ছয় হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের একজন শিক্ষক ও গবেষক বলেন, এর অর্ধেকটাই, তিন হাজার কোটি টাকার ওষুধ অতিরিক্ত, অপ্রয়োজনীয়; 'ইর্র‌্যাশনাল ইউজ অব ড্রাগ' বা ওষুধের অযৌক্তিক ব্যবহার।১৯৯৪ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ওষুধ বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে চার গুণেরও বেশি। সাধারন ডাঃ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ ডাঃ এর প্রায় সবাই ঔষধ কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের সাথে কমিশনে চুক্তিবদ্ধ থাকেন । তাই তাদেরকে খুশি করা তার জন্য ফরজ হয়ে পড়ে । সে জন্য তিনি অনেক অপ্রয়োজনীয় ঔষধ প্রেসক্রিপশন করে থাকেন । সেসব মনিটরিং করার জন্য চেম্বারের বাহিরে সারাক্ষন মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ গন অবস্থান করেন ।

ডাঃ গন ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর কাছ থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন। তাই রোগীদেরকে ব্যবস্থাপত্রে তিনি নানান টেস্ট দিয়ে থাকেন ।যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় । প্রতি টেস্ট ফি থেকে ডাঃ ২০ -৩০ % কমিশন পায় । যার ফলে এসব টেস্টে রোগীদের বেশী টাকা গুনতে হয় । যেমন ধরুন , Widal test এর কথা । এই টেস্টের ফি ৪০০ টাকা ,কিন্তু এতে খরচ পরে মাত্র ২০০ টাকা । বাকি টাকায় ডাঃ এর কমিশন এবং লাভ ।সব টেস্টের গল্প একই রকম । এই অবস্থার যদি উন্নতি না হয় তবে সুলভ চিকিৎসা ব্যবস্থা কখনই সম্ভব হবে না ।

ডাঃ এর ফি কিভাবে নির্ধারিত হচ্ছে , আমাদের তা জানা দরকার । কেন তাদের ফি সর্বনিম্ন ৫০০ ,৮০০ টাকা ? তারা কেন রসিদ দেন না ? দিনে দুই বেলা রোগী দেখেন । রাত ১২ টা ১ টা বেজে যায় , রোগীর ভিড় কমে না ।টেস্টের রিপোর্ট দেখলেও আবার টাকা দিতে হয় । এত টাকা যার আয় ,তার কাছ থেকে সরকার কত টাকা আয়কর পাচ্ছেন ?

প্রস্তাবনা ঃ

সকল গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রাখা । থানা পর্যায়ে আধুনিক হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ডাঃ নিয়োগ করা । প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ঔষধ নিশ্চিত করা । জেলা, বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে উন্নত সেবা নিশ্চিত করা ।

ভুয়া ডাঃ ,কবিরাজ , তান্ত্রিকদের চিহ্নিত করে কোঠর সাস্থি প্রদান করা । তাদের মদদ দাতাদেরকে সাস্থি কঠোর প্রদান করা । জাতে ভবিষ্যতে এ কাজ করতে কেউ সাহস না পায় ।
একটা জেলা শহরে কতগুলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রয়োজন ? হয়তো ভাল মানের ১০ টা হলেই চলতো । কিন্তু একেকটা জেলা শহরে কমপক্ষে ৪০ টা ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে । এগুলো ঠিকই ব্যবসা করছে । আর এসবের চাহিদা পুরন করছে এলাকা ভিত্তিক ডাক্তারেরা । তারা বিনা প্রয়োজনে নানান টেস্ট দিয়ে সংশ্লিষ্ট সেন্টারে রোগী পাঠান ,আর বিনিময়ে পকেটে পুরে নেন ২০-৩০% কমিশন ।

মেডিক্যাল পাড়ায় অলিতে ,গলিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টার । সরকার কেন একটি শহরে এত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমতি দেয় ?

ক্লিনিকের বেলায়ও একই অবস্থা । অলিতে ,গলিতে , নোংরা পরিবেশে ব্যঙ্গের ছাতার মত ক্লিনিক । মানুষ কি এসব ক্লিনিক থেকে আদৌ স্বাস্থ্য সেবা পায় ? সরকারের উচিত এসব নিয়মিত মনিটরিং করা । একটা শহরে কতগুলো ক্লিনিক , ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রয়োজন , তার হিসাব নিকাশ করা । ভাল মানের প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লিনিক , ডায়াগনস্টিক সেন্টার রেখে বাকিগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা উচিত । প্রয়োজনে ওদেরকে অন্য খাতে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করা হোক ,এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা প্রধান বলে আমি মনে করি । নয়তো স্বাস্থ্য সেবার নামে প্রতারনা কোনদিনও বন্ধ হবে না ।

গ্রামের হাসপাতাল গুলোতে ডাঃ যেতে চান না । তারা রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে কৌশলে তাদের পোস্টিং শহরের হাসপাতালে করিয়ে নেন । এতে করে গ্রামের মানুষ উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পান না । আর এই সুযোগে ভুয়া ডাক্তারের রমরমা ব্যবসা । আমাদের দেশ গ্রাম প্রধান দেশ । ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতাদের আনাগোনা দেখা গেলেও পরে উনারা ডুমুরের ফুল হয়ে যান । এইসব সাধারন মানুষের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা কি নেতাদের দায়িত্ব নয় ? ক্ষমতায় গেলে কেন তা ভুলে যান ?বিশেষজ্ঞ ডাঃদের গ্রামের হাসপাতালে যেতে উৎসাহিত করতে হবে । প্রয়োজনে উনাদের বেতন ,বোনাস বাড়িয়ে দেয়া হোক ।

অনেক সাধারন ডাঃ গন Mal practice করে থাকেন । যা মোটেও উচিত নয় । আমার এক আত্মীয়ের জ্বর হয়েছে ২দিন যাবত । তিনি ডাঃ এর কাছে গেলে ডাঃ তাকে Widal test করতে দিলেন । এই জ্বরে ৬/৭ দিনের আগে ব্লাড টেস্ট করলে তা ধরা পরে না । একজন ডাঃ কখনই ৬/৭ দিনের আগে Widal Testদিতে পারেন না । এসব বহু উদাহরণ দেয়া যাবে । এত মানবতার পেশায় যে নিয়োজিত কালের গড্ডালিকা প্রবাহে সে কেন ভেসে যায় ? সে তো দেশের মানুষের কাছে সেবার দায়িত্ব নিয়েছে । ডাঃ গনদের মানবতা বোধ জাগানোর দায়িত্ব তাদের , এখন সময় তাদের ঋণ শোধের ।

ঈদে ডাঃ , নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করা । যারা এ সময় ছুটি পাবেন না তাদের জন্য বোনাসের ব্যবস্থা করা ।

অনেক সময় রোগীরা ডাঃ এর প্রেসক্রিপশনে আস্থা রাখতে পারেন না ।যেমন ,জ্বরের জন্য ডাঃ নাপা প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ দিল । ২/৩ দিনে জ্বর ভাল না হলে ডাঃ এর উপর আস্থা হারিয়ে উনি নতুন করে অন্য একজন ডাঃ দেখান ,তিনি হয়ত টেস্ট দেন কিংবা অন্য এন্টিবায়োটিক । যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর । সাধারণ ফ্লু হলেও ত সারতে ৬/৭ দিন লেগে যায় । তাই আমাদের একটু ধৈর্য ও বিশ্বাস রাখতে হবে । নয়ত আমাদের ক্ষতি আর সেই ডাঃদেরই লাভ ।

হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করে তার সঠিক বিতরন নিশ্চিত করা হোক ।

প্রয়োজনীয় সংখ্যক মান সম্মত ঔষধ কোম্পানির অনুমোদন দেয়া । অন্যথায় এই অতিরিক্ত ঔষধ কেনা আমাদের কোনদিনও কমবে না । অনেক ঔষধ কোম্পানি নিম্ন মানের ও ভেজাল ঔষধ তৈরি করে , যা তাদের রিপ্রেজেন্টেটিভ দের কল্যানে, ডাঃ দের বদৌলতে আমরা কিনি এবং জীবন দিয়ে খেসারত দিই । আর ঔষধ তৈরির খরচ , ঔষধ কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভের খরচ ডাঃদের কমিশন সব মিলিয়ে ঔষধের দাম অনেক বেড়ে যায় । এ ব্যপারে সরকারই প্রধান ভুমিকা রাখতে পারে ।

অফিস চলাকালীন সময়ে ডাঃ উপস্থিত আছে কিনা এ ব্যপারে সরকার মনিটরিং সেল গঠন করতে পারে ।যারা নিয়মিত তা পর্যবেক্ষণ করবে ।

পিজির আউট ডোরের অনিয়ম নিয়ে অনেক কথা আছে । পিজিতে যত সংখ্যক ডাঃ থাকা দরকার ডাঃ আছে তার চেয়েও বেশি , কিন্তু কেন ? এর হয়ত নানা কারন থাকতে পারে ।ঢাকায় থাকার প্রবণতা কিংবা কোন রাজনৈতিক কারণ কিংবা অন্য কিছু । সারা বাংলাদেশের রোগীরা ঢাকার পিজি মুখী হয় । সব কিছু মিলিয়ে পিজি একেবারে ভারসাম্যহীন । সরকার এ ব্যপারে কেন নজর দিচ্ছে না ?

ডাঃ এর ফির পরিমান ,রসিদ প্রদান ,কর আদায়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।

যদি কোন ডাঃ এর অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক ,প্রয়োজনে ছাটাইয়ের শাস্তির বিধান করা হোক ।

হাসপাতালে দালালদের অবস্থান কমাতে হবে । হাসপাতাল তো দালালের আয়ের উৎস হতে পারে না । এ ব্যপারে সরকারের আশু পদক্ষেপ নেয়া উচিত ।

সবছেয়ে বড় কথা আমাদের শিক্ষিত হতে হবে । একজন অশিক্ষিত লোক হাসপাতালে যে ভাবে প্রতি পদে পদে দালালদের টাকা দেয় , কিংবা স্বাস্থ্য সেবা পেতে প্রতারিত হয় , শিক্ষিত লোকটি কখনই সেভাবে দুর্ভোগ পোহায় না ।

আমাদেরকে হাসপাতাল মুখী হতে হবে । স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার আদায় করতে হবে ।

প্রত্যেক মা বাবা তার সন্তানকে ডাঃ হিসেবে গড়ে তোলার সাথে সাথে মানবতার শিক্ষা দিবেন । ডাঃদের উপর আঙ্গুল তোলার ইচ্ছে আমাদের কারো নেই , উনারা হচ্ছেন আমাদের দুখের সাথী , বিপদের বন্ধু।

সাধারন জনগন মনে করে , সরকার যদি চায় তবে সকল কাজই সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয় । ডাঃদের তখন দুর্নীতি করার জায়গাই থাকবে না । সরকার বদলায় কিন্তু জনগনের ভাগ্য বদলায় না । শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার মত মৌলিক খাত গুলোকে রাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে । রাজনৈতিক দলগুলো কেন যে এগুলোকে রাজনৈতিক ক্ষেত্র বানিয়ে রেখেছে তা সত্যিই বোঝা মুশকিল ।

হাসপাতাল নির্মাণ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার প্রয়োজনীয় সুব্যবস্থা করা এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা সরকারের দায়িত্তের মধ্যে পড়ে। মনে রাখতে হবে এটা ব্যবসা কিংবা রাজনীতির জায়গা নয় । সরকার যদি সৎ ভাবে এ দায়িত্ব পালন করে তবে কোন ডাঃ এর পক্ষে কোনভাবেই দুর্নীতি করা সম্ভব নয় । আর তখনই আমরা ফিরে পাব আমাদের মৌলিক অধিকার ভোগের নিশ্চয়তা ।

তথ্য সুত্র প্রথম আলো ও অন্যান্য ।

লিয়া সরকার ।